Read Time:3 Minute, 31 Second
অভ্যন্তরীণ শিল্পে উত্পাদন বৃদ্ধি ৯.২৭%, সৃষ্টি হয়েছে ১৪৪ কোটি কর্মদিবস
“হ্যাম হন্গে কামিয়াব ইক দিন’ সেই দিন এসে গেছে | বাংলা আর পিছিয়ে পরা শিল্পের দেশ নয় বা বাঙ্গ করে বলা চপ শিল্পের দেশ নয় | সঠিক বিকাশের পথ ধরলে বাংলার মানুষ আজও ভারত কে পথ দেখায় | পাহাড় প্রমান ঋণের বোঝা সত্তেও ঘুরে দারান যায় মমতা সরকার তার প্রমান দিল |
বিগত দুবছরে পশ্চিমবঙ্গে শিল্প উত্পাদন ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে। রাজ্য সরকারের শিল্প সংক্রান্ত দপ্তরগুলির পরিসঙ্খ্যানে দেখা যাচ্ছে, অভ্যন্তরীণ শিল্প উৎপাদন ২০১৬-১৭তে বৃদ্ধি পেয়েছে ৯.২৭ শতাংশ। গোটা দেশে এই বৃদ্ধির হার ৭.৯১ শতাংশ।
বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য রাজ্য প্রথম স্থান অর্জনের স্বীকৃতি পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে থেকে। শ্রম দপ্তরের পরিসংখ্যানের দাবি, একশো দিনের কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে রাজ্যে ১৪৪ কোটি শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে। যা দ্বারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক।
বন্ধ কলকারখানার শ্রমিকদের জন্য কর্মনিজুক্তিতে সুযোগ বৃদ্ধিতে উদ্দেশ্যে তাঁদের দক্ষতা বিকাশ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা করে প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি পাঠক্রমের জন্য বেতন ও প্রশিক্ষণ ব্যয়ও সরকার বহন করছে।
গত বছর থেকেই রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগের পথকে সহজ করতে শিল্পসাথী প্রকল্পে এক জানালা পোর্টাল শুরু করা হয়েছে। যা ব্যবসা, শিল্প সরলীকরণ ও সম্প্রসারণের কাজে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি শুরু হয়েছে জিটুবি পরিষেবা।
২০১৭-তে রাজ্যে ১২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শিল্প পার্ক উন্নয়ন ও গ্রোথ সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। তাজপুরে তৈরী হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর। কুলপিতে জাহাজ নির্মাণ ও মেরামতির কারখানা এবং বন্দরে পণ্য পরিবহনের জন্য ৫৬০৩ একর জমি দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে সিমেন্ট গ্রাইন্ডিং কারখানা ও ২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ৯৮৩২ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্ধমানে ১২ মেগা ওয়াট ছাড়াও আরও ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৮৯ একর জমি দেওয়া হয়েছে।
২০১৮-১৯ রাজ্য বাজেটে শিল্প, বাণিজ্য ও উদ্যোগ সংস্থা বিভাগের জন্য অর্থমন্ত্রী বরাদ্দ করেছেন ৯৮৬৫৭ কোটি টাকা।
Advertisements