রাজ্য ও অন্যান্য জেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে বাঁকুড়া জেলায় – বিষ্ণুপুরকে পৃথক স্বাস্থ্য জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে

0
2299
Mamata
Mamata
0 0
Azadi Ka Amrit Mahoutsav

InterServer Web Hosting and VPS
Read Time:19 Minute, 16 Second

বাঁকুড়া জেলার উন্নয়ন – এক নজরে

রাজ্য ও অন্যান্য জেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে বাঁকুড়া জেলায়

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণঃ

  • বিষ্ণুপুরকে পৃথক স্বাস্থ্য জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

  • এর মধ্যে, এই জেলার বড়জোড়া, ওন্দা, ছাত্না এবং বিষ্ণুপুরে গড়ে উঠেছে ৪টি নতুন মাল্টি-সুপার স্পেসালিটি হাসপাতাল।

  • বাঁকুড়া সম্মিলনী, বিষ্ণুপুর, তালডাংড়া, সোনামুখী ও খাতরা মহকুমা হাসপাতালে ৫টি ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান চালু হয়ে গেছে। জেলার এই সকল ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কেনার ফলে, ১২ লক্ষ ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ, ১৬ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকারও বেশি ছাড় পেয়েছেন।

  • বাঁকুড়া সম্মিলনী ও বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ৬টি ডায়াগনস্টিক পরিষেবা চালু হয়ে গেছে।

  • এই জেলায় ২০টি SNSU চালু হয়ে গেছে (রাইপুর, বড়জোড়া, ছাত্না, ইন্দাস, ইন্দপুর, কাঞ্চনপুর, ওন্দা, রাধানগর, রানীবাঁধ, সিমলাপাল, সারেঙ্গা, খাতড়া, অমরকানন, কোতুলপুর,সোনামুখী, তালডাংরা, শালতোড়া, পাত্রসায়ের, মেজিয়া ও জয়পুর)।

  • বাঁকুড়া সম্মিলনী ও বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ২টি SNCU চালু হয়ে গেছে।

  • বাঁকুড়া সম্মিলনী, বিষ্ণুপু্র,‌ খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে ৩টি CCU/HDU চালু হয়ে গেছে।

  • বাঁকুড়া সম্মিলনী হাসপাতালে Mother & Child Hub, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও স্কিলস ল্যাব গড়ে তোলা হয়েছে।

  • ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্পে এই জেলায় প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ নথিভুক্ত হয়েছেন।

  • ‘শিশু সাথী’ প্রকল্পে এই জেলার ৯০০টিরও বেশি বাচ্চার সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে

শিক্ষাঃ

  • এই জেলায়, গড়ে তোলা হয়েছে নতুন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্নায় বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

  • এই জেলায় ৩টি নতুন সরকারি কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে (ইন্দাস, রানীবাঁধ ও মেজিয়া)।

  • সিমলাপাল, খাতড়া, সোনামুখী, বড়জোড়া, ইন্দপুর ও রানীবাঁধে ৬টি নতুন আইটিআই কলেজ নির্মাণ করা হয়েছে।

  • বাঁকুড়া ও রাইপুরে ২টি নতুন পলিটেকনিক কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে।

  • ‘উৎকর্ষ বাংলা’ কর্মসূচিতে, জেলার ৩০ হাজারেরও বেশি যুবক যুবতীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

  • এই জেলায়, ২ লক্ষ ৭৩ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে ‘সবুজসাথী’ প্রকল্পে সাইকেল প্রদান করা হয়েছে।

  • মেজিয়া, ছাতনা, ওন্দা, পাত্রসায়র, শালতোড়া, ইন্দপুর, হীড়বাঁধ ও রানীবাঁধে ৮টি নতুন মডেল স্কুল নির্মাণ করা হয়েছে।

  • জেলায় গত সাড়ে ৬ বছরে, প্রায় ৯০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্তরে উন্নীত করা হয়েছে।

  • সব স্কুলে মিড ডে মিল চলছে, যার ফলে পুষ্টি ও উপস্থিতির হার বেড়েছে এবং স্কুল-ছুট ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমেছে।

  • প্রতিটি বিদ্যালয়ে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচাগার নির্মিত হয়েছে।

ভূমি সংস্কার, কৃষি ও পশুপালনঃ

  • জেলার ৬ হাজার যোগ্য ভূমিহীন পরিবারের হাতে ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পে পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ১১ হাজারেরও বেশি কৃষি ও বনাধিকার পাট্টা প্রদান করা হয়েছে।

  • এই জেলায় প্রায় ৯৯% কৃষক পরিবারকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। বাকিদেরও খুব দ্রুত কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হচ্ছে।

  • এই জেলার বাকুরা-১, ইন্দাস, বিষ্ণুপুর, পাত্রসায়ের, শালতোড়া, জয়পুর, ওন্দা, কোতুলপুর ও ছাতনায় ৯টি ‘কিষাণ মান্ডি’ গড়ে তোলা হয়েছে।

  • জেলায় প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর, ২৯ লক্ষ ১৫ হাজারেরও বেশি হাঁস ও মুরগীর বাচ্চা বিতরণ করেছে।

পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নঃ

  • এই জেলায় ১০০ দিনের কাজে, ১৫০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করে প্রায় ৭ কোটি ৩৫ লক্ষ শ্রম দিবস সৃষ্টি হয়েছে।

  • ২০১৩-১৪ সালে, ১০০ দিনের কাজে শ্রেষ্ঠ গ্রাম পঞ্চায়েত হিসেবে দেশ সেরার পুরষ্কার পেয়েছিল বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর ব্লকের লেগো গ্রাম পঞ্চায়েত।

  • জেলার প্রায় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার মানুষ গ্রামীণ আবাসন যোজনায় উপকৃত হয়েছেন।

  • এই জেলার আরও প্রায় ২৬ হাজার উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির সহায়তা দেওয়া হয়েছে

  • জেলায় গ্রামীণ সড়ক যোজনায় প্রায় ১৫০০ কিমি রাস্তা নির্মিত হয়েছে।

  • জেলায় গ্রামীণ সড়ক যোজনায় প্রায় ১১২০ কিমি রাস্তা নির্মাণ/সংস্কারের সূচনা করা হয়েছে।

  • ‘সমব্যাথী’ প্রকল্পে জেলার প্রায় ১২ হাজার ৮০০ জন উপকৃত হয়েছে।

  • জেলায় ‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে, প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে – যা লক্ষ্যমাত্রার ৭২%।

সংখ্যালঘু উন্নয়নঃ

  • বিগত সাড়ে ৬ বছরে, এই জেলার প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীকে, প্রায় ৭০ কোটি টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে।

  • এছাড়া, স্বনির্ভরতার জন্য সংখ্যালঘু যুবক-যুবতীদের, প্রায় ১৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।

  • IMDP-তে, প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয় করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়িত করা হয়েছে।

  • এই প্রকল্পে জেলায় ১৩৪০ টিরও বেশি হেল্থ সাব-সেন্টার, অতিরিক্ত শ্রেণী কক্ষ, অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র, বাসগৃহ ইত্যাদি গড়ে তোলা হয়েছে।

  • এর মধ্যে, এই জেলায় বড়জোড়া, পাত্রসায়ের, বিষ্ণুপুর, ওন্দা, সিমলাপাল, সোনামুখী (২টি), রাইপুর, ছাত্না, বাঁকুড়া-১ (২টি) ও রানীবাঁধে ১২টি ‘কর্মতীর্থ’ গড়ে তোলা হচ্ছে

অনগ্রসর কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়নঃ

  • বিগত সাড়ে ৬ বছরে, এই জেলায় ৩ লক্ষ ৫৭ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী ‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পে সহায়তা পেয়েছে।

  • জেলায় বিগত সাড়ে ৬ বছরে, ৩ লক্ষ ১২ হাজারেরও বেশি SC/ST/OBC Certificate প্রদান করা হয়েছে।

  • সাঁওতালী ভাষাকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে WBCS পরীক্ষায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অলচিকি লিপিতে স্কুলের পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করা হচ্ছে।

  • জাহের থানের পাট্টা ও সেগুলির চারিদিকে প্রাচীর দেওয়া হচ্ছে।

নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণঃ

  • এই জেলায়, ২ লক্ষ ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্রী ‘কন্যাশ্রী’র আওতায় এসেছে।

খাদ্য সুরক্ষা কর্মসূচী-‘খাদ্য সাথী’ প্রকল্পঃ

  • এই জেলায় ১০০% যোগ্য মানুষকে (প্রায় ৩৩ লক্ষ ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে), ২/- টাকা কেজি দরে (অথবা বাজার দরের অর্ধেক দামে)খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে- যা জেলার জনসংখ্যার প্রায় ৯২%।

শিল্পঃ

  • জেলায় ৪টি Industrial Park তৈরি করা হয়েছে (বড়জোড়ায় প্লাস্টো স্টিল পার্ক – ১ম, ২য়, ৩য় পর্যায় এবং বিষ্ণুপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার)।

  • বড়জোড়ায় ১টি আইটি পার্ক গড়ে উঠেছে।

  • জেলায় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের ৩০টি ক্লাস্টার গড়ে উঠেছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-

  • শালতোড়ায় একটি মুরলু রুফিং টাইলসের ক্লাস্টার।

  • বাঁকুড়া-১-এর কেঞ্জাকুড়া ও লালবাজার, ওন্দার সুকলাই এবং সিমলাপালের পুকুরিয়ায় ৪টি পিতলের ক্লাস্টার।

  • বাঁকুড়া-২-এ একটি ডোক্রার ক্লাস্টার।

  • ছাতনায় শুশুনিয়ায় একটি পাথরের কাজের ক্লাস্টার

  • রাইপুরে ২টি শালপাতার থালার ক্লাস্টার

  • বাঁকুড়া-১, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পৌরসভা এবং ইন্দপুড়ে ৪টি হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার প্রভৃতি

  • ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে এই জেলায় ৩৫৩০ কোটি টাকারও বেশি ব্যাঙ্ক ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

পূর্ত ও পরিবহনঃ

  • বিগত সাড়ে ৬ বছরে, এই জেলার পূর্ত দপ্তর ১২০টির বেশি রাস্তাঘাট, ব্রীজ ইত্যাদি প্রকল্প রূপায়ণের কাজ হাতে নিয়েছে, যার মধ্যে ৯৫ টিরও বেশী প্রকল্পের কাজ প্রায় ১৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। এর ফলে, প্রচুর মানুষ উপকৃত হয়েছেন। বাকী প্রকল্পের কাজ খুব শীঘ্রই সমাপ্ত হবে।

  • জেলার সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলায় বিগত সাড়ে ৬ বছরে, প্রায় ৯৫০ কিমি রাস্তা নির্মাণ/পুননির্মান/সম্প্রসারন ও উন্নীতকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

  • এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ

    • বাঁকুড়া – দুর্গাপুর রাস্তা,

    • বড়জোড়া – মেজিয়া রাস্তা,

    • রসুলপুর – ইন্দাস রাস্তা

    • রানীবাঁধ – ঝিল্মিলি রাস্তা

    • কৃষ্ণপুর-রায়পুর-ফুলকুস্মা-বেনাগড়িয়া রাস্তা

    • বিষ্ণুপুর-কোতুলপুর-জয়রামবাটি-কামারপুকুর রাস্তা

    • গঙ্গাজলঘাটি- শালতোরা রাস্তা প্রভৃতি।

  • বৈতরণী প্রকল্পে, ৩৯টি শ্মশান-ঘাটের উন্নয়ন সহ ১টি বিদ্যুতের চুল্লি বসানোর কাজ চলছে।

  • বাঁকুড়া – দুর্গাপুর রাস্তার সতীঘাটে গন্ধেশ্বরী নদীর ওপর, দলপুর-বিষপুরিয়া রাস্তায় দ্বারকেশ্বর নদীর ওপর এবং গড়্গড়িয়া কাদাখালের ওপর ৩টি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে

  • এই জেলার প্রায় ২২০ জন যুবক-যুবতী গাড়ি কেনার ঋণ পেয়ে আত্মনির্ভর হয়েছেন।হাতে নেওয়া হয়েছে, Safe Drive Save Life এবং Slow Drive Save Life কর্মসূচী। ফলে, উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে দুর্ঘটনা এবং হতাহতের সংখ্যা।

বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তিঃ

  • সমগ্র জেলায় ‘সবার ঘরে আলো’ প্রকল্পে, ১০০% গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সেচঃ

  • জেলায় প্রায় ৩০কিমি দৈর্ঘ্যের বাঁধ সংরক্ষণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য কারিগরীঃ

  • বিগত সাড়ে ৬ বছরে, ৩৯ টি জলপ্রল্পের কাজ শুরু হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪ টির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এর ফলে জেলার প্রচুর মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। বাকি জলপ্রকল্পগুলির কাজ শীঘ্রই সমাপ্ত হবে।

  • হাতে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১১০০ কোটি টাকার রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প। এটি রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প। এর ফলে, পুরুলিয়া জেলার ২০৫৩ টি মৌজার ১৮ লক্ষেরও বেশী মানুষ উপকৃত হবেন

  • সিমলাপাল, সারেঙ্গা, রাইপুর ও রানীবাঁধে, ১৬১টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত নলবাহিত জল্প্রকল্প চালু হয়ে গেছে।

বন ও পর্যটনঃ

  • ‘সবুজশ্রী’ প্রকল্পে, ২৮ হাজারেরও বেশী সদ্যোজাত শিশুকে মূল্যবান গাছের চারা দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছর উত্তীর্ণ হলে, গাছ বিক্রির টাকায় শিশুটির পড়াশোনা, বিয়ে ইত্যাদির খরচ মেটানো যাবে।

  • পাত্রসায়র ও শুশুনিয়াতে ২টি ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

  • বিহারীনাথ, জয়রামবাটী ও মুকুটমণিপুরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।

  • হাতে নেওয়া হয়েছে বাঁকুড়া হোমস্টে ট্যুরিজম ও বাঁকুড়া-পুরুলিয়া ট্যুরিজম সার্কিটের কাজ।

শ্রমঃ

  • এই জেলায় ‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’য়, প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক নথিভুক্ত হয়েছেন। এখনো পর্যন্ত, প্রায় ৪৩ হাজার উপভোক্তা, ১৯ কোটি টাকারও বেশি সহয়তা পেয়েছেন।

  • ‘যুবশ্রী’ প্রকল্পে, এই জেলার প্রায় ২ হাজার যুবক-যুবতী উৎসাহ ভাতা পাচ্ছেন।

স্বনির্ভর দল ও স্বনিযুক্তি কর্মসুচীঃ

  • ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পে, প্রায় ৩৪ হাজার স্বনির্ভর দল গঠিত হয়েছে।

  • বিগত সাড়ে ৬ বছর, ‘স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসূচী প্রকল্পে’, প্রায় ১১ হাজার উদ্যোগকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ৭৫ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

  • বাঁকুড়া-১, পাত্রসায়ের, শালতোড়া, ইন্দাস, কোতুলপুর, ছাত্না, বিশ্নুপুর ও জয়পুর ব্লকে ৮টি কর্মতীর্থ গড়ে উঠেছে।

পুর ও নগরোন্নয়নঃ

  • মুকুটমণিপুর অঞ্চলের নির্দিষ্ট উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে ‘মুকুটমণিপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’। উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, সৌন্দর্জায়ন ইত্যাদি করা হয়েছে। হাটে নেওয়া হয়েছে ভ্রমনার্থীদের জন্য ই-রিক্সা, উন্নত মানের নৌকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি প্রকল্প।

  • জেলায় ৩টি মিউনিসিপ্যালিটি, ১০০কোটি টাকারও বেশী পরিকল্পনা খাতে ব্যয় করেছে।

  • শহরাঞ্চলের গরীবদের জন্যে বাসস্থান প্রকল্পে, প্রায় ২ হাজার ৭০০ জন মানুষ উপকৃত হয়েছেন।

তথ্য ও সংস্কৃতিঃ

  • এই জেলায় ৩১ হাজারেরও বেশী লোকশিল্পী, ‘লোকপ্রসার প্রকল্পে’ রিটেনার ফি ও পেনশন পাচ্ছেন।

  • বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনকে নবরূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

আবাসনঃ

  • জেলায় আর্থিক ভাবে দুর্বল মানুষদের জন্যে গীতাঞ্জলী ও অন্যান্য প্রকল্পে প্রায় ২০ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন।

  • ভ্রমনার্থীদের সুবিধা এবং স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য বাঁকুড়ার শালগারায় ১টি ‘পথসাথী’-মোটেল গড়ে তোলা হয়েছে।

ক্রীড়া ও যুব কল্যাণঃ

  • ক্রীড়ার মান উন্নয়নে জেলায় ৫৯৫টিরও বেশী ক্লাবকে ২০কোটি টাকারও বেশী অর্থ সাহায্য করা হয়েছে।

  • জেলায় প্রায় ১১০টি মাল্টি জিম ২৫টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয়েছে।

  • খাতড়ায় স্পোর্টস আকাদেমি গড়ে তোলা হয়েছে

  • নতুন প্রতিভার অন্বেষণে নিয়মিত ভাবে আয়োজিত হচ্ছে বার্ষিক ‘জঙ্গলমহল কাপ’ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নঃ-

  • পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তর জলসংরক্ষণ, সেচ, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক নিরমাইন, পানীয় জলের ব্যবস্থা প্রভৃতি প্রকল্পগুলি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রূপায়ন করেছে।

  • জল সংরক্ষণের জন্যে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তর, জঙ্গলমহল এলাকায় একাধিক চেক ড্যাম নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

  • পাশাপাশি, লাক্ষা চাষের উৎপাদন বাড়িয়ে এই অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আইন শৃঙ্খলাঃ

  • গড়ে তোলা হয়েছে নতুন মেদিনীপুর বিভাগ।

  • এই জেলায় স্থাপন করা হয়েছে নতুন বাঁকুড়া মহিলা থানা।

About Post Author

Editor Desk

Antara Tripathy M.Sc., B.Ed. by qualification and bring 15 years of media reporting experience.. Coverred many illustarted events like, G20, ICC,MCCI,British High Commission, Bangladesh etc. She took over from the founder Editor of IBG NEWS Suman Munshi (15/Mar/2012- 09/Aug/2018 and October 2020 to 13 June 2023).
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Advertisements

USD





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here