কান্দে শহিদের মা
ফারুক আহমেদ
ভারতমাতার কৃষ্ণ কিংবা ধূসর মৃত্তিকা
লোহিত বর্ণে রঞ্জিত, বীর ভারতীয় সেনাদের রক্তে,
শতকোটি মানুষের নয়নে অশ্রু।
মায়ের বুকে হাহাকার সিক্ত ক্রন্দন
কান্দে শহিদের মা, কান্দে ভারতবাসী
এ নয় মানুষের কান্নার আওয়াজ
এ আওয়াজ ভারতমাতার ক্রন্দন
শত কোটি মানুষের আবেগ আর ক্রন্দন
আজ মহাশক্তি হয়ে ধাবমান শত্রুর পানে
বাঁধভাঙা জোয়ারের শক্তি নিয়ে ধাবমান।
প্রতিকার হবেই, প্রতিশোধ দিয়েই হবে প্রতিকার,
পূর্ব থেকে পশ্চিম, দক্ষিণ থেকে উত্তর
উপমহাদেশ জুড়ে মানব-স্রোত
সত্যের সন্ধানে, ন্যায়ের অন্বেষণে ভারতবাসী একাট্টা।
নিত্য হানাহানি, ভাইয়ে ভাইয়ে, মানুষে মানুষে
কে মারছে কাকে?
তবু চেতনা আজ চেতনাহীন,
মরণ খেলা তবু না কি গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য নির্বাচন…
মৃত্যমিছিলের আয়োজনে কতটা গণতন্ত্র ফিরল?
কবির কলম ভেঙ্গে যায়, বাগ্মীর বক্তৃতা থেমে যায়,
তবু কবিতা উৎসব হয়, কবিরা কবিতা পড়ে,
আজানুলম্বিত সফেদ পাঞ্জাবী গায়ে
মৃত্যুমিছিল নিয়ে কবিতা পাঠ?
উন্নয়ন মিছিল নাকি থমকে দাঁড়ায় তাতে।
বীরত্বের বীরভূম অনেক শিক্ষা দেয়-
আর এক গানওয়ালা বিভাজনের বার্তা ছড়ায়।
দিবানিশি এদের জোগান দেয় হিংসা ও ঘৃণা…
দেশ পুড়ুছে আর পুড়ছে শহিদের রক্ত
যে দিকে তাকাই রক্তের দাগ
যুদ্ধে ঢাকা পড়েছে আকাশ, সূর্যও যেন অদৃশ্য
চোখ ফেরাই মৃত্তিকায়, রক্তে রঞ্জিত মায়ের বক্ষ
আকাশের বুকে চিরে নতুন সূর্য উঠুক
রক্তের দাগ মুছে যাক
মায়ের স্নেহময় বুক থেকে।
শহিদের বলিদানে মুজবুত ভারত দিচ্ছে ডাক
বিভেদকামী শক্তির হোক অবসান
সন্ত্রাসবাদ হানাহানি হিংসাত্মক নৈরাজ্য ঘুচিয়ে
এসো মহান ভারত গড়ি।