ভাঙড়ে আট থেকে আশি সকলেই মাতলেন রঙের উৎসব হলি খেলায়
সংবাদদাতা, ভাঙড়:
ভাঙড়ের কলামন্থন একাদেমী অব্ ফাইন আর্টসের এবছরও বসন্ত উৎসব সবার মনে দাগ কাটলো। একাদেমীর ছাত্রছাত্রীরাই নাচে-গানে,কবিতা পাঠে ও নাটক মঞ্চস্থ করে সবার নজর কাড়লো।
বসন্ত উৎসবের উদ্দোক্তা তথা কলামন্থন একাদেমী অব্ ফাইন আর্টসের ডিরেক্টর সুমন দাস বলেন, এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার চেষ্ঠা করি। হিন্দু-মুসলিম সকলে মিলে আমরা রঙের খেলায় মেতে উঠি। পাশাপাশি আমরা শান্তির বার্তাও দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি।
উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ও ভাঙড়ের ভূমিপুত্র ফারুক আহমেদ বললেন, কলামন্থন একাদেমী অব্ ফাইন আর্টসের সকল সদস্যকে কুর্নিশ জানাই, ভাঙড়ে বসন্ত উৎসব সকলকেই মুগ্ধ করলো। নতুন ভাঙড় গড়তে সুমনদের মতো সবাই এগিয়ে আসবে আগামীতে আশা করি।
বিগত বছর গুলির মতো এবছরও ভাঙড়ে অনুষ্ঠিত হল বসন্ত উৎসব। কালিবাড়ী জাগ্রত সংঘের মাঠে দুদিন ধরে চলবে রঙের এই উৎসব। আট থেকে আশি সকলেই মাতলেন রঙের উৎসব হলি খেলায়।
মহিলা ও কচিকাচারা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে রঙের খেলায় নিজেদের রাঙিয়ে তুললো। সবার জন্য এদিন দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যাবস্থাও করা হয়।
নানা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগে যারা ভালো ফলাফল করেছিল তাদের মঞ্চ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। তুলে দেওয়া হয় মেডেল ও সার্টিফিকেট। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে পুরস্কার পেয়ে শিশুদের আনন্দ- উল্লাসে মাততে দেখা যায়। অভিভাবকদের চোখে-মুখেও ধরাপড়ে খুশির আমেজ।
এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন, অভিনেতা সাহেব চ্যাটার্জি। তাঁকে কাছে পেয়ে মঞ্চে সেলফি তোলার ধূম পড়ে যায়। তিনি বলেন, ভাঙড়ে যে এত সুন্দর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, তা ভাঙড়ে না আসলে দেখতে পেতাম না। ভাঙড় সম্পর্কে আগে যে ধারণা ছিল সেটা ভেঙে গেল।
জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য কাইজার আহমেদ বলেন, আমরা আজ যেমন রঙ নিয়ে হলি খেললাম, ঠিক তেমনই ভোটের পর আবার রঙ নিয়েই হলি খেলব। তার আগে যেন আমাদের রক্তের হলিখেলা না দেখতে হয়।
এছাড়া এদিন উপস্থিত ছিলেন, ভাঙড় ১ ব্লকের বিডিও সুগত বসু, ওসি হাবু কুমার আচার্য, সমাজসেবি জিয়ারুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, মানস সর্দার, কৌশিক সর্দার প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অভিক পাল ও কেয়া ইসলাম।