সারা দেশ জুড়ে কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন এবং শিক্ষিত করে তুলতে উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দিল্লীতে এসভিইইপি কর্মশালায় ১২০টি কমিউনিটি রেডিও’র অংশগ্রহণ
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০১ এপ্রিল, ২০১৯
এই প্রথম সারা দেশের দেড়শোটির বেশি কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন এবং শিক্ষিত করে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এরই অঙ্গ হিসাবে দিল্লীর দ্বারকায় ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল ম্যানেজমেন্ট(আইআইআইডিইএম)-এবং সেকিং মর্ডান অ্যাপ্লিকেশন ফর রিয়্যাল ট্রান্সফর্মেশন (এসএমএআরটি) যৌথ উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ভোটারদের সচেতন এবং শিক্ষিত করে তুলতে কমিউনিটি রেডিওকে দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগানো।
৩০শে মার্চ শনিবার, কর্মশালার সমাপ্তি ভাষণে উপ-নির্বাচন কমিশনার উমেশ সিনহা বলেন, দেশের প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছানোর গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল এই কমিউনিটি রেডিও। তিনি বলেন, ভোটারদের নির্বাচন সম্পর্কে জানানো, ভোটদানে উৎসাহ দেওয়া, বুথমুখী করা এবং নিজেদের দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই কমিউনিটি রেডিও। তিনি আরও জানান, দেশের প্রত্যেক ভোটারই সমান গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে প্রত্যেক ভোটারের সমান দায়িত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে কমিউনিটি রেডিও তৃণমূল স্তর পৌঁছে প্রত্যেক ভোটার তাদের সচেতন ও শিক্ষিত করে তুলতে পারে এবং গণন্ত্রকে মজবুত করতে পারে। উপ-নির্বাচন আধিকারিক এবং আইআইআইডিইএম-এর ডিজি চন্দ্রভূষণ কুমার গত ২৫শে মার্চ এই কর্মশালার উদ্বোধন করেছিলেন। তিনি জানান, গণতন্ত্রের উৎসবে ভোটারদের অংশগ্রহনে উৎসাহ দিতে কমিউনিটি রেডিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থনৈতিক অবস্হান, শ্রেণী অথবা জাতপাতের ওপর ভিত্তি করে কোন ভোটার যাতে ভোটদান থেকে বিরত না থাকে সেদিকে প্রত্যেকেরই নজর দেওয়া উচিত। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি কমিউনিটি রেডিও দায়িত্বপূর্ণ ভূমকা পালন করে থাকে বলেও তিনি জানান।
কর্মশালায় উপস্হিত ছিলেন এসএমএআরটি-এর প্রতিষ্ঠাতা অর্চনা কাপুর। তিনি বলেন, কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন করে তুলতে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ হল এটি। এই রেডিও স্টেশনগুলি তার নিজের নিজের এলাকায় এ ধরণের সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালাবে বলে জানান তিনি।