লাইফলাইন উড়ানের আওতায় দেশজুড়ে অত্যাবশ্যক চিকিৎসা সামগ্রী পরিবহণের কাজে ২৭৪টি উড়ান চালানো হয়েছে
By PIB Kolkata
নতুনদিল্লি, ১৮ এপ্রিল, ২০২০
কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে দেশকে সাহায্য করতে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের ‘লাইফলাইন উড়ান’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এয়ার ইন্ডিয়া, এলায়েন্স এয়ার, বাযুসেনা এবং বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলি এই প্রকল্পের আওতায় ২৭৪টি উড়ান চালিয়েছে। এর মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া ও এলায়েন্স এয়ারের উড়ান ১৭৫টি। শেষ পাওয়া তথ্যে লাইফলাইন উড়ানে পণ্য বাহী বিমানগুলি ২,৭৩,২৭৫ কিলোমিটার পথে ৪৬৩.১৫ টন পণ্য পরিবহণ করেছে।
পবন হংস লিমিটেড সহ বিভিন্ন হেলিকপ্টার পরিষেবার মাধ্যমে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, দ্বীপভূমি এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে জরুরী চিকিৎসা সামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়েছে।
অন্তর্দেশীয় উড়ানগুলি দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, কোলকাতা, হায়দ্রাবাদ, ব্যাঙ্গালোর ও গুয়াহাটিতে নানা সামগ্রী পৌছে দিচ্ছে। সেখান থেকে লাইফলাইন উড়ানের মাধ্যমে এই সব সামগ্রী ডিব্রুগড়, আগরতলা, আইজল, ডিমাপুর, ইম্ফল, জোরহাট, লেঙপুই, মাইসুরু,নাগপুর, কোয়েম্বাতুর, ত্রিবান্দ্রম, ভুবনেশ্বর, রায়পুর, রাঁচি, শ্রীনগর, পোর্ট ব্লেয়ার, পাটনা, কোচিন, বিজয়ওয়াড়া, আহমেদাবাদ, জম্মু, কার্গিল, লাদাখ, চণ্ডীগড়, গোয়া, ভোপাল ও পুণেতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে উত্তরপূর্বাঞ্চল, দ্বীপভূমি, পার্বত্য রাজ্যগুলিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া, বায়ু সেনার সঙ্গে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, দ্বীপভূমি এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে জরুরী সামগ্রী পৌছে দিচ্ছে।
ভারতের বেসরকারি বিমান সংস্থা, স্পাইসজেট, ব্লু ডার্ট ও ইন্ডিগো বাণিজ্যিকভাবে ২৪ মার্চ থেকে পণ্য পরিবহণ করছে।
এছাড়া ৪ এপ্রিল থেকে চারটি আন্তর্জাতিক রুটে এয়ার ব্রিজ তৈরি করে ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী সহ কোভিড-১৯ কে প্রতিহত করার নানা সামগ্রী নিয়ে আসা হচ্ছে।
কৃষি উড়ান কর্মসূচীর আওতায় এয়ার ইন্ডিয়া মুম্বাই থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট ১৫ এপ্রিল দ্বিতীয় একটি বিমান চালিয়েছে। এই বিমানটি ২৭ টন মরশুমী ফল ও সব্জী নিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্ট যায় আর ফেরার সময় ১০ টন সাধারণ পণ্য নিয়ে আসে। এয়ার ইন্ডিয়া ১৩ এপ্রিল মুম্বাই থেকে প্রায় ২৯ টন ফল ও শাকসব্জী নিয়ে লন্ডন যায়। ফেরার সময় ওই বিমানটি ১৫.৬ টন পণ্য নিয়ে এসেছে। এ ছাড়া দিল্লি-সেসলস-মরিশাস- দিল্লি রুটে এয়ার ইন্ডিয়ার আরেকটি বিমান ১৫ এপ্রিল চলাচল করে। এই বিমানে সেসলসের জন্য ৩.৪ টন ও মরিশাসের জন্য ১২.৬ টন চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়।