ঘুটিয়ারি শরীফে ৬০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
মৌসুমী বিশ্বাস
জিবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরীফ এলাকায় রয়েছে ঐতিহ্যশালী সৈয়দ গাজী মোবারক শাহ-এর মাজার শরীফ। এই মাজার শরীফ দর্শনে প্রতিদিনই হাজার হাজার দর্শনার্থী এখানে আসেন। এই মাজার শরীফ কে ঘিরে যেমন বেশকিছু মানুষের জীবন-জীবিকা চলে তেমনি অসহায় গরীব মানুষদের অন্নের সংস্থানও হয় এই মাজারে আসা দর্শনার্থীদেরকে কেন্দ্র করেই। কলকাতা থেকে ঘুটিয়ারি শরীফ এর দূরত্ব কম হওয়ায়় এবং এখানে থাকার খরচ কম হওয়ায় প্রান্তিক মানুষজন বেছে নেন এই জায়গাটিকেই।
এরই মধ্যে হঠাৎ লকডাউনে জনজীবন স্তব্ধ। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জিবনতলার ঘুটিয়ারি শরিফে ২০,০০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ও সদস্য আটকে পড়েছেন যার মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে। চরম খাদ্য সংকটে ভুগছেন এইসব মানুষজন।
এরই মধ্যে পবিত্র রমজান মাসের আগমন। এই রমজান মাসে কয়েক হাজার মানুষ রোজা রাখার পর ইফতার সারছেন শুধুমাত্র জল দিয়েই। এমনই এক করুন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন বম্বে আই আই টির গবেষক আশিফ আকরাম, উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ, কবি লিটন রাকিব, সাংবাদিক হাসিবুর রহমান প্রমুখের সহযোগিতায় ৬০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া সম্ভব হল।
এদিন আশিফ আকরাম বলেন-“ফারুক ও রাকিব ভাইয়ের সাথে কথা বলার পর বুঝলাম যে তাদের অবিলম্বে সাহায্যের দরকার। আমি আমার পরিচিত বাঙালী ও অবাঙালী গ্রুপে সাহায্যের আবেদন রাখলাম। আশ্চর্যজনকভাবে অবাঙালীরা বেশি এগিয়ে এলেন। পরিশেষে এই অঞ্চলের জন্য আমরা যথাসম্ভব সাহায্য পাঠালাম।”
ফারুক আহমেদ ও লিটন রাকিবরা সকল মানবিক মানুষদের কাছে আবেদন রাখছেন–“অসহায় মানুষদের জন্য এগিয়ে আসুন। যার যেমন সামর্থ্য আছে সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এলে অসহায় মানুষগুলো বাঁচতে সাহস পাবে এবং কেউ না খেতে পেয়ে মরবে না “