বিদ্যুৎ ও জলের দাবীতে পথ অবরোধ করলেন অবসর ভবন বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা
এম রাজশেখর (১ জুন ‘২০):- বর্তমানে চিকিৎসালয়ে গিযে যখন চিকিৎসক রোগীকে আর রোগী বাঁকা চোখে চিকিৎসককে ‘কোরোনা’ আক্রান্ত কিনা ভেবে ভয়ে নিরাপদ দূরত্বে থাকছেন, ঠিক তখন বিদ্যুৎ আর জল-এর মতো অত্যাবশ্যকীয় দুই পরিষেবা চালুর দাবীতে পথে বসে পথ অবরোধ করতে হচ্ছে ‘অবসর ভবন’ বৃদ্ধাশ্রমের অশীতিপর বদ্ধবৃদ্ধাদের।
গত মাসের ২০ তারিখ দক্ষিণ বঙ্গে তাণ্ডব লীলা চালিয়েছিল অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদীয়া সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটা জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের পর এই রাজ্যকে পুনরায় স্বাভাবিক করার জন্য রাজ্য সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি পথে নেমেছে এনডিআরএফ, সেনা সহ ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।
এইসব বিভাগকে সাথে নিয়ে শুধু কোলকাতার বুকেই বিদ্যুৎ ও জল পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ সংগঠিত হলেও অবহেলিত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য স্থান।
ঘূর্ণিঝড়ের এতদিন পরেও তাই আজ নীলগঞ্জ ও দত্তপুকুর-এর একাংশ।
এর সাথে বিদ্যুৎ বিহীন গুমা চৌমাথা থেকে নতুনহাট হয়ে বদর, কুমড়াকাশীপুর থেকে দক্ষিণ নাংলা বিদ্যালয় পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তার দুইধার।
না এখানেই শেষ নয় বিদ্যুৎ বিভাগের অপদার্থতায় আজও বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সাধের বিশ্ববাংলা-র অগুন্তি গ্রাম।
প্রতিটা গ্রাম থেকেই উঠে আসছে একই অভিযোগ, “বিদ্যুৎ বিভাগের কেউই বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ করতে আসছেননা, এলেও অবৈধভাবে উপরি অর্থ দাবী করছেন।”
অভিযোগ সাংঘাতিক হলেও অভিযোগ নিরসনে কারোকে সামনে দেখছেননা অভিযোগকারীরা।
ধিকি ধিকি তুঁষের আগুনে জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গ। এখনই এই সমস্যার প্রতিকার না হলে অগ্নিউদ্গার শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।