খোলা হাওয়া- ছোট থেকে বড় হওয়ার গোপন কথা
ড:পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা , ২০ অগাস্ট ২০২০
জীবনের চলার পথে সবথেকে বড় জংশন হলো ছোট থেকে বড় হওয়ার সন্ধিক্ষণ।এ বিষয়ে আমরা আজ টুকটাক কিছু জেনে নেই চলুন……
■এটি একটি স্ত্রী ও পুরুষ যৌন হরমোন নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি।সঙ্গে অন্য হরমোন গুলিরও সহায়তা থাকে।ফলত ছোট থেকে বড় হওয়ার পদ্ধতি অস্বাভাবিক ভাবে ত্বরান্বিত বা অযথা বিলম্বিত হলে তা হরমোনেরই দায় মেনে নিয়ে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার প্রতিবিধান দেন।
■বিশ্বব্যাপী সমীক্ষা বলছে গত কুড়ি বছরে বয়ঃসন্ধির সূচনার গড়পড়তা বয়স নারীদের ক্ষেত্রে কম হলেও রজ:স্বলা হওয়ার বয়সের খুব একটা হেরফের হয়নি।সুতরাং এখন আগের থেকে নারীর বয়ঃসন্ধি দীর্ঘমেয়াদি হয়েছে।
■নারীদের ক্ষেত্রে ছোট থেকে বড় হওয়ার অর্থাৎ ক্রমবিকাশের ধাপগুলি হলো মোটের উপর এরকম:
●প্রথমে স্তনগ্রন্থির বিকাশ শুরু হয়। সাড়ে আট থেকে সাড়ে বারো বছর বয়সের মধ্যে সাধারণত এর শুরু।
●প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় দৈহিক ভাবে আকার আয়তনে বৃদ্ধি পাওয়ার পর্যায়।
●প্রথম ঋতুস্রাব শুরু হয় সাধারণত বয়ঃসন্ধির শুরুর আড়াই বছরের মাথায়।এই পর্যায়ে উচ্চতায় বাড়া প্রায় শেষের দিকে আসে এবং কেবল
পাঁচ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উচ্চতা বাড়া বাকি থাকে।
■পুরুষদের ক্ষেত্রে বিষয়গুলি হলো:
●সাধারণত অন্ডকোষের চার মিলিলিটার বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে পুরুষের ছোট থেকে বড় হওয়ার সূচনা হয়।
●এর পরেই শুরু হয় যৌন কেশগুচ্ছের বৃদ্ধির পর্যায়।এবং লাগাতার অন্ডকোষ বৃদ্ধির পর্যায়।সাধারণত এগারো থেকে চোদ্দ বছর বয়সের মধ্যে এর সূচনা।
●এর দেড় বছর পর,যখন অন্ডকোষ আয়তনে বারো থেকে পনেরো মিলিমিটার হয়,তখন সাধারণত পুরুষের দ্রুত দৈর্ঘ্যে বাড়ার সূচনা।লিঙ্গর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি সাধারণত এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়।
■সুষম খাদ্যগ্ৰহণ এবং স্বাভাবিক পুষ্টি অর্জন এই পর্যায়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
■পুরুষ সাধারণত নারীর তুলনায় পরে দৈর্ঘ্যে বাড়তে শুরু করে।অবশ্য এই বৃদ্ধি নারীর তুলনায় দীর্ঘকালীন হয় এবং গড়পড়তায় চূড়ান্ত দৈর্ঘ্য নারীর তুলনায় পুরুষের বেশি হয়।
■নারীর শ্রোণীচক্র পুরুষের তুলনায় বেশি চওড়া হয়ে ওঠে এই সময় এবং পুরুষের কাঁধের গঠন..নারীর তুলনায়।
■পুরুষের ভারী গলা আর নারীর রিনরিনে গলা এই পর্যায়ের শেষে হয়।
■নারী এবং পুরুষ উভয় লিঙ্গের ক্ষেত্রেই বয়ঃসন্ধিকালীন ব্রণ,যৌন কেশগুচ্ছ,বিশেষ শারীরিক গন্ধ এবং মুডের ওঠানামা পরিলক্ষিত হয়।
■ঋতুস্রাব বিষয়ে জানতে হবে:
●স্বাভাবিক চক্র একুশ দিন থেকে পঁয়তাল্লিশ দিন পর পর হতে পারে।
●প্ৰতি চক্রে আশি মিলিলিটার পর্যন্ত রক্তস্রাব স্বভাবিক এবং ছ’টির বেশি প্যাড লাগা অস্বাভাবিক।
●প্রথম রজঃস্রাব শুরুর মাস ছয়েক আগে থেকে সাধারণত তলপেটে ব্যথা শুরু হয় ।প্রথমদিকের চক্রগুলিতে সাধারণত ডিম্বাণু নির্গত হয় না এবং এইসময়কার ঋতুস্রাব বেশি বেদনার হয়।
■■মোটের উপর বিষয় হলো এই।উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশে স্কুল পর্যায় থেকেই যৌন শিক্ষার চল এখোনো শুরু হয়নি।।অভিভাবকদের কর্তব্য হলো এ বিষয়গুলি সহজভাবে তাদের সন্তানদের জানিয়ে দেওয়া।কিভাবে জানাবেন তা তাঁরাই ঠিক করবেন।
আগামীতে আসবো আবার অন্য একটি প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনায়।ততদিনের জন্য,নমস্কার।
#পলাশ_বন্দ্যোপাধ্যায়
২০.০৮.২০২০
***This document is a guideline from a reputed Child specialist . But do consult your doctor for any further consultation for any medical conditions described. Do not do self treatment without medical supervision.***