মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দিলীপ ঘোষের ধোঁয়াশা ভরা শিক্ষাগত যোগ্যতা
হীরক মুখোপাধ্যায় (৩০ অগস্ট ‘২০):- মেঘালয় থেকে তথাগত রায় পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসার পর, ২০২১ সালের নির্বাচনে ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’-র সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।এই মুহুর্তে যেকটা নাম ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’-র পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ শাখার তরফ থেকে হাওয়ায় ভাসিয়ে রাখা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম নাম দিলীপ ঘোষ।
১৯৬৪ সালের ১ অগস্ট জন্মগ্রহণ করা এই নেতা দীর্ঘদিন ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ’-র বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করার পর ২০১৪ সালে ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’-র প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক রূপে যোগদান করেন।পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে দিলীপ ঘোষ ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’-র পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ শাখার সভাপতি রূপে নির্বাচিত হন।এর ঠিক ১ বছর পর ২০১৬ সালে দিলীপ ঘোষ খড়্গপুর সদর বিধানসভা থেকে ‘ভারতের জাতীয় কংগ্রেস’ দলের দীর্ঘদিনের বিধায়ক জ্ঞানসিং সোহনপাল-কে পরাজিত করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রবেশাধিকার লাভ করেন।২০১৯ সালে দিলীপ ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুর লোকসভা নির্বাচনী ক্ষেত্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।
‘ভারতীয় জনতা পার্টি’-র অন্দরমহলে এই দিলীপ ঘোষ এখন চর্চার প্রথম ও প্রধান বিষয়।দিলীপ ঘোষ কে নিয়ে চর্চার প্রধান কারণ তাঁর ধোঁয়াশা ভরা শিক্ষাগত যোগ্যতা।২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘ভারতের নির্বাচন আয়োগ’-কে জমা দেওয়া অভিজ্ঞানপত্রে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, তিনি ঝাড়গ্রামের ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক’ থেকে তিনি ডিপ্লোমা পাস করেছেন।
অথচ পরে ‘তথ্য জানার অধিকার আইন’ বলে কোন একজন ব্যক্তি ওই শিক্ষা সংস্থার অধ্যক্ষর কাছে দিলীপ ঘোষ-এর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ‘আইসিভি পলিটেকনিক’-এর অধ্যক্ষ জানিয়েছেন (মেমো নম্বর : আইসিভিপি/ ৫৪৭/আরটিআই/১৭, তারিখ : ০৬/ ০৩/ ২০১৭) ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ওই সংস্থা থেকে দিলীপ ঘোষ পাস করেননি।স্বভাবতই, দিলীপ ঘোষ-কে নিয়ে সেই সময় থেকেই বিতর্কের এক আবহাওয়া তৈরী হয়।এক সময় পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজেকে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী বলে চিহ্নিত করেছিলেন।
তিনি নিজে তাঁর অফিসিয়াল প্যাডেও তাঁর নামের আগে ডক্টর লিখতেন।কিন্তু পরবর্তী সময়ে বামফ্রন্টের তাবড় কর্তাব্যক্তিরা তাঁর ডিগ্রি সম্পর্কে তথ্য দিয়ে জানান, “ইস্ট জর্জিয়ার যে সংস্থা থেকে মমতা ডক্টরেট পেয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তাদের ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করার ক্ষমতাই নেই।”এই তথ্য বাইরে আসার পরেই তড়িঘড়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, ঝাড়গ্রাম ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক’-এর অধ্যক্ষ এত বড়ো কথা লিখিতভাবে বলার পরেও আজ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ একবারও বলতে পারেননি তিনি প্রতারিত হয়েছেন না তিনি নিজেই ‘ভারতের নির্বাচন আয়োগ’-কে প্রতারিত করেছেন !
যদি ধরে নেওয়া যায় ২০২১ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’ সত্তায় আসতে চলেছে, তাহলে প্রশ্ন, কে হবেন ভাবী মুখ্যমন্ত্রী!এখনও পর্যন্ত যে তিনটে নাম ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’-র পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ শাখা বাতাসে ভাসিয়েছে, তার মধ্যে দিলীপ ঘোষের নামও রয়েছে।ভাবী মুখ্যমন্ত্রী রূপে দিলীপ ঘোষ-এর নাম বাইরে আসতেই দলের আভ্যন্তরীণ মহলে তীব্র কোলাহল শুরু হয়েছে।এই মুহুর্তে ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’-র পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ শাখার সঙ্গে জড়িত যে সমস্ত শিক্ষিতমুখেরা রয়েছেন তাঁরাই সর্বাগ্রে এর প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
এতদিন রাখঢাক করে বললেও ইদানিং তাঁরাই প্রকাশ্যে বলছেন, “দিলীপ ঘোষ-এর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে, কোথাও বলা হচ্ছে তিনি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, তো কোথাও বলা হচ্ছে তিনি পেশায় আইনজীবী (https://www.oneindia.com), এই রকম অস্বচ্ছ শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যক্তিকে পশ্চিমবঙ্গের আপামর শিক্ষিতমহল কোনোদিনই মুখ্যমন্ত্রী রূপে মেনে নেবেনা। তাই অযথা কালবিলম্ব না করে আসন্ন নির্বাচনী ময়দান থেকে এখনই দিলীপ ঘোষের স্বেচ্ছায় সরে যাওয়া উচিত।”
অসাধারণ নেতৃত্ব গুন্ থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দিলীপ ঘোষের ধোঁয়াশা ভরা শিক্ষাগত যোগ্যতা
ইন্দিরা গান্ধী বা রাজীব গান্ধী বা অন্য অনেক নেতারই ডিগ্রী ছিলোনা, কিন্তু সফল নেতা হিসাবে সমাজ মেনে নিয়েছিল । দিলীপ বাবুর শিক্ষা গত যোগ্যতা যাই হোক , প্রশ্ন হলফনামা দিয়ে কি মিথ্যা বললেন? সেটা যে অনৈতিক কাজ সেটা আশা করি সকলে বুঝবেন ।
বাংলার মানুষ বারবার প্রতারিত হচ্ছেন পরিবর্তনের নামে ,আবারো কি প্রতারণার শিকার হবে বাংলা ?
অথবা মানুষের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য প্রকৃত সত্য জনগণ কে জানাবেন ।
#DilipGhosh#StatePresident_BJPWestBengal#Projected_ChiefMinister2021#Fack_Education_Certificate#ElectionCommissionOfIndia#ECI#IswarChandraVidyasagarPolitechnic#Political_News
News Source Special News.