অভিজিৎ পাল,কলকাতা, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
অনেক শূন্যতা রয়েছে না বলা
তার গ্রহণযোগ্যতা বিষাদের এই গান মন উজানে বাইছে সেতো
নাব্যতারই গান…
অনেক সময় সব না বলা কথারা
চুপ থাকতে চায়… চায় নীরবে কোন পাড়ে বসে জীবনের সমীকরণ গুলোকে আবার খুঁজে নিতে… চায় আবার রোজ চিঠি আসুক দুপুরের ঘুম ভাঙিয়ে…. চায় ভোরের কাকটা এসে জানলায় বসে ঘুমটা ভাঙিয়ে দিক… পাশের বাড়ির রেডিওতে বাজুক নচিকেতা…. চলুক মন কেমনের গান… হোক না হরতাল.. বন্ধ থাকুক শহুরে রাজপথ … কিন্তু,
“রইলো অজুহাত থাকলো পরে গল্পগাঁথা আবার কেনো সব ভুলিয়ে গায়ে জড়াও সেই নকশিকাঁথা “
গল্পে সাঁকো আসে… সেই সাঁকো ভাঙলে তাকে মেরামত করার জন্য কবি আসেন… কিন্ত জীবনের সাঁকো ভাঙলে তাকে কে বাঁচায়? তাকে কে বাঁচাবে…
বাড়ি পাল্টে ফ্ল্যাট হয়, ঠাকুর ঘর হয়ে যায় পোষ্যের বেডরুম, বাবা মা পৃথিবীর কোন এক কোনায় জমে বরফ হয়ে বেঁচে থাকেন কিন্তু তবুও কোলকাতা শহর হারায় না… অঝোর কান্নার শিক কাবাবে পুড়তে পুড়তে বেকারির প্রেম “নকশিকাঁথার” রূপ নেয়…
কবি অম্বালী চক্রবর্তী তার সব কথা বলে দিয়েছেন এই কবিতা গানে…অতিযত্নে পালকের মতো ম্যাজিসিয়ান মহুল চক্রবর্তী একটা সুরেলা মিষ্টি বাঁশির মতো সুর দিয়ে তৈরী করেছেন এই গানের জামা… সায়িনী পালিত সব টুকু উজাড় করে গেয়েছেন এই গীতিকবিতা…. অসামান্য গান হয়ে উঠেছে ” নকশিকাঁথা “… শব্দের বুনোট সুরের চলন কণ্ঠের সম্প্রদান চোখে জল এনেছে বারে বার…
“অর্ধেক জীবন আর নতুন ছবিটা আঁকা, হেঁটে পথ পেরোলেও দেখি পিছন আঁকাবাকা “
শহরের রাস্তা গুলো একই থাকলেও মনখারাপ গুলো তাদের শহর গলি হারিয়ে ফেলছে যে…
তাকে ধারণ করবে কে?
তাকে লালন করবে কে?
@অভিজিৎ