
শিক্ষকদিবসে
শিক্ষকদিবসে ড:পলাশবন্দ্যোপাধ্যায়
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
■শিক্ষা আবার সমাজমুখী হোক।
■সকল মানুষ গড়ার কারিগরদের বিনম্র শ্রদ্ধা।
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
তোমাদের পুজোর ছলে বছরভরে একটি দিনে।
শ্রদ্ধায় স্মরণ করার ভান করি সব স্বার্থবাদী।
সবই সেই মানুষ হওয়ার ছদ্মবেশে স্বার্থ চিনে।
কিভাবে চিনবে জগৎ এমন কেবল ফন্দি ফাঁদি।।
তোমরা শিখিয়েছিলে,বেশ! হয়েছি মানুষ তাতে।
মানুষের সংজ্ঞা টা কি? মানুষ সেজে মানুষ ভোলা?
লাগাতার ইঁদুর দৌড়ে সফল বেগে উঠলে জাতে-
ভুলে সব অতীত শপথ আকাশ ধরার ফায়দা তোলা?
তোমাদের শিক্ষা ছিলো সবাই মিলে বাঁচতে হবে।
তোমরা শিখিয়েছিলে, নিজের থেকে গোষ্ঠী বড়।
তোমরা বলতে কেবল, সহজ এবং অসম্ভবে-
নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে প্রথম নিজের সমাজ গড়ো।।
আমরা পাল্টে গেছি, উল্টে গেছে কথার মানে।
প্রথমেই নিজের ভালো ভাবতে বসে সকল ভুলি।
আমাদের বদলে যাওয়ার ইচ্ছে দেখে সমাজ মানে-
তোমাদের সব শেখানোই কথার কথা, তুচ্ছ বুলি।।
তোমরা চাওনি কিছু,পাওনিও তাই,কি আর পেতে!
ছিলো তো স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন গড়ার তৃপ্তি পাওয়া।
যদি কীট ভিড় করে রোজ স্বপ্ন ফলার শস্য ক্ষেতে।
তবে সেই নষ্ট ফসল শিক্ষাগুরুর হয় কি চাওয়া?
তোমাদের দোষ কিছু নেই,শুধুই দিলে জীবন জুড়ে।
আমাদের গুন কিছু নেই তাই হয়েছি নষ্ট পাজি।
তোমাদের উথলানো শোক পাঁজর ভাঙা হৃদয়পুরে।
ভাঙনের পসরা দিয়ে আমরা ভরাই সাধের সাজি।।
সে যদি মানুষ হওয়া,তাই যদি হয় শিক্ষাগুরু।
তোমাদের ব্যার্থতাতেই উদবাহু নাচ হৃদয় নাচে।
তোমাদের ঝাপসা চোখের সাক্ষী যখন শেষের শুরু।
বিলাসের রং ফোয়ারায় সত্তারা সব দিব্যি বাঁচে।।
বলি তাই বিদ্রোহী হও,মূল্য কি এই শিক্ষা পুজোর?
যেখানে শিক্ষা, ভাঙা আস্তাকুঁড়ে থমকে থাকে।
জীবনের শেষ লড়াইয়ে সেই ঘরানার ছাত্র খুঁজো।
যারা সব নিঃস্ব হয়েও ধন্য,যদি সমাজ ডাকে।।
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
ড:[পলাশ বন্দোপাধ্যায় ,কলকাতা ,০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
■শিক্ষা আবার সমাজমুখী হোক।
■সকল মানুষ গড়ার কারিগরদের বিনম্র শ্রদ্ধা।
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
তোমাদের পুজোর ছলে বছরভরে একটি দিনে।
শ্রদ্ধায় স্মরণ করার ভান করি সব স্বার্থবাদী।
সবই সেই মানুষ হওয়ার ছদ্মবেশে স্বার্থ চিনে।
কিভাবে চিনবে জগৎ এমন কেবল ফন্দি ফাঁদি।।
তোমরা শিখিয়েছিলে,বেশ! হয়েছি মানুষ তাতে।
মানুষের সংজ্ঞা টা কি? মানুষ সেজে মানুষ ভোলা?
লাগাতার ইঁদুর দৌড়ে সফল বেগে উঠলে জাতে-
ভুলে সব অতীত শপথ আকাশ ধরার ফায়দা তোলা?
তোমাদের শিক্ষা ছিলো সবাই মিলে বাঁচতে হবে।
তোমরা শিখিয়েছিলে, নিজের থেকে গোষ্ঠী বড়।
তোমরা বলতে কেবল, সহজ এবং অসম্ভবে-
নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে প্রথম নিজের সমাজ গড়ো।।
আমরা পাল্টে গেছি, উল্টে গেছে কথার মানে।
প্রথমেই নিজের ভালো ভাবতে বসে সকল ভুলি।
আমাদের বদলে যাওয়ার ইচ্ছে দেখে সমাজ মানে-
তোমাদের সব শেখানোই কথার কথা, তুচ্ছ বুলি।।
তোমরা চাওনি কিছু,পাওনিও তাই,কি আর পেতে!
ছিলো তো স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন গড়ার তৃপ্তি পাওয়া।
যদি কীট ভিড় করে রোজ স্বপ্ন ফলার শস্য ক্ষেতে।
তবে সেই নষ্ট ফসল শিক্ষাগুরুর হয় কি চাওয়া?
তোমাদের দোষ কিছু নেই,শুধুই দিলে জীবন জুড়ে।
আমাদের গুন কিছু নেই তাই হয়েছি নষ্ট পাজি।
তোমাদের উথলানো শোক পাঁজর ভাঙা হৃদয়পুরে।
ভাঙনের পসরা দিয়ে আমরা ভরাই সাধের সাজি।।
সে যদি মানুষ হওয়া,তাই যদি হয় শিক্ষাগুরু।
তোমাদের ব্যার্থতাতেই উদবাহু নাচ হৃদয় নাচে।
তোমাদের ঝাপসা চোখের সাক্ষী যখন শেষের শুরু।
বিলাসের রং ফোয়ারায় সত্তারা সব দিব্যি বাঁচে।।
বলি তাই বিদ্রোহী হও,মূল্য কি এই শিক্ষা পুজোর?
যেখানে শিক্ষা, ভাঙা আস্তাকুঁড়ে থমকে থাকে।
জীবনের শেষ লড়াইয়ে সেই ঘরানার ছাত্র খুঁজো।
যারা সব নিঃস্ব হয়েও ধন্য,যদি সমাজ ডাকে।।
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
ড:[পলাশ বন্দোপাধ্যায় ,কলকাতা ,০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০