বিশ্ব বাঁশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাঁশ সংক্রান্ত এক ওয়েবিনারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বিশ্ব বাঁশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীন কেন অ্যান্ড ব্যাম্বো টেকনোলজি সেন্টার এবং ভারতীয় শিল্প মহাসংঘ (সিআইআই) পৃথকভাবে ২টি ওয়েবিনার আয়োজন করে। এই ওয়েবিনার দুটিতে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, মোদী সরকার দেশীয় বাঁশ শিল্পের প্রসারে একাধিক পরিকল্পনা করছে। এই শিল্প কোভিড পরবর্তী ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ডঃ সিং আরও বলেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দেশে আকর্ষণীয় বাণিজ্যিক গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসাবে বাঁশের বড় ভূমিকা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, একাধিক শিল্প সংস্থা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুবিস্তৃত কৃষিজ সম্পদকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে এবং এই সুযোগ কোনোভাবেই হাতছাড়া করা যায় না।
মহামারীর ঘন কালো আকাশে বাঁশ শিল্প ক্ষেত্রকে রূপালী রেখার সঙ্গে তুলনা করে ডঃ সিং বলেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে এই শিল্প ক্ষেত্র সমগ্র দেশের পাশাপাশি, উত্তর-পূর্বের অর্থনীতির সঠিক দিশা-নির্ধারণে বড় ভূমিকা নেবে। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত গঠনের যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে বাঁশ শিল্প এক নতুন গতি সঞ্চার করতে পারে।
ডঃ সিং বলেন, বাঁশ শিল্পের প্রসারের বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে শতাব্দী প্রাচীন ভারতীয় অরণ্য আইন সংশোধন করা হয়েছে এবং বাঁশকে বনজ সামগ্রীর তকমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, বাঁশ শিল্পকে কাজে লাগিয়ে জীবন-জীবিকার প্রসার ঘটবে। কাঁচা বাঁশ নির্মিত সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়ে ডঃ সিং বলেন, এর ফলে দেশীয় বাঁশ শিল্প, বিশেষ করে ফার্নিচার, হস্তশিল্প, ধূপকাঠি তৈরি প্রভৃতি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। জাতীয় বাঁশ মিশনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এক কার্যকর জ্বালানি শক্তি হিসাবে বাঁশকে কাজে লাগিয়ে নতুন ভারতের নতুন চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে।