সেই কবে কে যেন বলেছিলো, “নক্সালবাড়ী আর বেশ্যাবাড়ির মধ্যে একটাকে বেছে নেয়ার দায়িত্ব আপনার । “ উত্তাল সেই সময়ের কথা যেন রং বদলে এসেছে ফিরে ।
একটু পাল্টে কি বলা যায় শীতলকুচি ও কুঁচিকুঁচির হওয়ার মধ্যেও বেছে নেবার দায়িত্ব আপনার? রাষ্ট্র যখন অন্যায় করে সেটা যেমন অন্যায়, তেমনি রাষ্ট্র গঠনে যারা রাজনৈতিক বাধা হয়ে ওঠে তারা আরো ভয়ঙ্কর। পরিবর্তিত বিশ্বে নাকশালবাড়ি নয়, ঘরে ঘরে বেশ্যা নাগরী। নৈতিকতার দৈন্যতা যখন সমাজের নিচুস্তরে এক চালু প্রথা হয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রের উচিত জারজ অধিবাসীর হাত থেকে সমাজ কে মুক্তি দেয়া ।
“বন্দুকে নল ক্ষমতার উৎস “যদি তা যোগ্য হাতে থাকে । আর আমাদের বীর সামরিক বাহিনীর থেকে যোগ্য আর কে আছে ?
দেশ বিরোধী, ভারতবিরোধী যে কোনো শক্তিকে স্বাগতম জানান, একটি বুলেট দিয়ে এবং তা কপালের মাঝে যেন হয় । ভুল যেকোনো লোকের হয়, কিন্তু দেশের জন্য যারা -৪০ ডিগ্রী থেকে ৫৫ ডিগ্রী তে দাঁড়িয়ে থাকে, দেশের জন্য; যারা তাদের বিরুদ্ধে হাতা খুন্তি বঁটি ধরে তাড়া করে, তাদের সন্ত্রাসবাদী ও তাদের উস্কানো নেতাদের বিন লাদেনের তুল্য বলা উচিত নয় কি? জারজ বুদ্ধিজীবীদের মতামত অপ্রাসঙ্গিক ।
শরীর এর ক্যান্সার ব্যক্তির ক্ষতি করে; সমাজের ক্যান্সার দেশের । আর তাই এখনো ধিকি ধিকি করে জ্বলা ভারতের জীবন প্রদীপ একমাত্র আমাদের বীর জায়ানরাই বাঁচাতে পারেন, কিন্তু গণতান্ত্রিক কাঠামোতে দরকার সৎ নেতা তাই রং না দেখে, মানুষ দেখে ভোট করুন। দেশ বাঁচান পার্টি নয় ।
যে সমাজে বেশ্যা বৃত্তি আকর্ষণীয় জীবন যাত্রা হয়ে ওঠে আর ঠগবাজ নেতাগিরি আদর্শ সে সমাজ আর যাই হোক নেতাজি সুভাষ বা বিবেকানন্দ কি বিদ্যাসাগর দিতে পারে না ।
ভূষিমাল যদি শিক্ষক হয় তো জীবনে আদর্শ সমাজ তৈরী হবে না। আসুন নতুন করে দেশ গড়ি অন্তত নিজের কাজটুকু নিজে করি । আর শুরু হোক ভূষিমালকে নেতাগিরি করতে দেখলেই জুতিয়ে লম্বা করা ।