বইয়ের পোকা
সুনন্দ মিত্র
কিতাব-ই পোকার দৌড় ঐ, বইয়ের মধ্যেই বদ্ধ,
বই পড়ে যে জ্ঞান, তা কি, পেরেছো করতে লব্ধ?
কত-না বর্ণ, আঁকিবুকি লাগে, কত-না নতুন শব্দ!
মিলেমিশে সব একাকার হয়ে, হয়ে গেছি আমি জব্দ।
চিনেছি অক্ষর, পেয়েছি ডিগ্রি, পড়েছি কত-না পুঁথি,
করেছি কি জ্ঞান, অর্জন কিছু?
জ্ঞানের আলো, ছড়িয়েছে কি কোন দ্যুতি?
নোবেল থেকে বুকার্স পেয়েছি, পেয়েছি কত-না মান,
লেগেছে কি, তা মানুষের কাজে? না মিছে শিক্ষার ভান?
শিক্ষিত হয়ে বিকৃত রুচি, না আছে মূল্যবোধ,
অহংকার-ই যে পতনের মূল, জানো কি তা, নির্বোধ?
ভুল বললেও ঠিক হয় সেটা, আছে যে তাদের ডিগ্রি,
ঠিক বল্লেও আমি অপরাধী, আমার যে, নেই কোন স্বীকৃতি।
কত না পড়েছি, কত না জেনেছি, আমি পণ্ডিত অভিমানী,
কাঁচকলা! কি লাভ, সে শিক্ষায়, যদি সত্যটা না জানি?
শিক্ষা মোদের জানতে শেখায়, ঘটায় মনের বিকাশ,
তাই! শিক্ষার দ্বার বন্ধ করেছো, রাখনিকো তার, কোন অবকাশ?
সরস্বতীর আশীর্বাদে, লক্ষ্মী কেনা যায় না,
লক্ষ্মীর ঝাঁপি থাকলে ভরা, ডিগ্রি কিনতে, অসুবিধে কিছু হয় না।
তবে সরস্বতীর মূর্তি পূজায়, শিক্ষিত কেউ হয় না,
জ্ঞানের আলো না ফুটলে পরে, শিক্ষিত তারে কয় না।
সরস্বতীর আশীর্বাদে! ডিগ্রী, কত-না কিনেছি,
দেশ থেকে দেশ, দেশান্তরে, কত-না দেশ ঘুরেছি।
কত পদ, আর মান-সম্মান, কত কি, না আমি কিনেছি,
সত্য স্বীকার? করতে যে ভয়, ভীষণ লজ্জা পাই,
মরা মরা বলে, রাম নাম জপে, শিক্ষিত আমি হয়েছি।
অক্ষর চিনে, কত বই পড়ে, শিখেছি কত-না কিছু,
অক্ষর তবে, আঁকিবুকি হয়ে, রয়ে গেছে বইয়ে,
জ্ঞান কি বেড়েছে কিছু???