রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ – ঘুরে আসুন রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি

0
3465
Tagore
This is an undated photo of Sir Rabindranath Tagore, Hindu poet, writer and philosopher, in Calcutta, India. Tagore was born in Calcutta in 1861 and was the first Asian to receive the Nobel Prize in literature in 1913. He was knighted in 1915, but denounced the honor in 1919 to protest against British policy in Punjab. He died on Aug. 7, 1941. (AP Photo)
0 0
Azadi Ka Amrit Mahoutsav

InterServer Web Hosting and VPS
Read Time:9 Minute, 28 Second

ঘুরে আসুন রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি

লোকমান হোসেন পলা

বাংলাদেশ ও ভারতের সাহিত্য, সঙ্গীত ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এবং উভয় দেশের জাতীয় স

Rabindranath's House at Shilaidaha,Bangladesh
Rabindranath’s House at Shilaidaha,Bangladesh

ঙ্গীতের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বলা হয়, কবিত্ব আসে প্রকৃতি থেকে। আর সেই প্রকৃতির টানে রবীন্দ্রনাথ ছুটেছেন পথে-প্রান্তরে, রণে-বনে-জঙ্গলে। যেখানেই গিয়েছেন কল্পনার রাজ্যে সৃষ্টি করেছেন এক অপার মহিমার রাজ্য। কালের বিবর্তনে সেই কল্পনার রাজ্যগুলো আজ স্মৃতিচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ গ্রামে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। উপমহাদেশে জোড়াসাকোর ঠাকুর পরিবারের জমিদারির তীর্থস্থান ও কবিগুরুর সাহিত্য আর ইতিহাসের অন্যতম স্থান এই কুঠিবাড়ি। ১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারের দায়িত্ব নিয়ে কুঠিবাড়িতে আসেন।

পদ্মা নদীর তীর ঘেষা সবুজ অরণ্যে আর নীল সাদা মেঘের গোধূলি লগ্নে প্রকৃতির নয়নাভিরাম দৃশ্য এবই সেই সাথে পড়ন্ত বেলায় সোনালি রোদে খেয়া পারাপারের চিত্র আর জেলেদের মাছ ধরার নানা আয়োজন যেকাউকে আকৃষ্ট করবে। এখানে ফুটে উঠেছে চিরায়ত গ্রামীণ জীবন-যাপনের সাথে প্রকৃতির নৈসর্গিক প্রেম। যেখানে কবিগুরু রচনা করে গেছেন সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালি, গীতাঞ্জলীর মতো বিখ্যাত সব গ্রন্থ।
যা দেখবেন।

পদ্মা নদীর ঢেউয়ের আকৃতির প্রাচীর বেষ্টিত তিনতলার পিরামিড বাড়িটি প্রবেশের আগেই বহু দূর থেকে আপনাকে হাতছানি দেবে। দূর থেকে তাকালে মনে হবে, অসাধারণ একটি প্রতিকৃতি যেন কাগজ দিয়ে তৈরি। বাড়িটির চারপাশে রয়েছে সবুজ ঘাসের গালিচা, তার ওপর নানা রঙের ফুল গাছের সমারোহ। আর সৌন্দর্য বিলিয়ে দেওয়া ঝাউ গাছ, সেই সঙ্গে পাখির কলতান, আশপাশের প্রাকৃতির সৌন্দর্য যেকোনো পর্যটককে মুগ্ধ করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

এ যেন শান্তিরও বাড়ি। ফটক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলে রবীন্দ্র সংগীতের মৃদু সুরের মুর্ছনা আপনাকে স্বাগত জানাবে। বাড়িটির ওপর থেকে নিচ তলার ষোলটি কক্ষজুড়েই রয়েছে কবিগুরুর কুঠিবাড়ীর জীবনের বিভিন্ন চিত্রকর্ম, চিঠিপত্রের অনুলিপি, কবিগুরুর নিজ হাতে আঁকা চিত্র। যেগুলো এখনো রচনা করে চলেছে কবিগুরুর স্মৃতির পৃষ্ঠা থেকে পৃষ্ঠা, উঠে এসেছে ছেলেবেলা থেকে রবীন্দ্রনাথের জীবনের নানা চিত্র।
এ ছাড়া রয়েছে রবীন্দ্রনাথের ব্যবহার করা সোফা, আলমারি, লোহার সিন্দুক, আরাম চেয়ার, খাট-পালং। যেগুলোর ওপর দৃষ্টি পড়তেই আপনাকে নিয়ে যাবে ১৮ শতকের পুরোনো জমিদারি ঐতিহ্যে। আর সেখানে যত্নে রাখা হয়েছে আট বিহারার পালকি। কথিত আছে, স্থলপথে পালকি ভ্রমণ ছিল তাঁর সবচেয়ে প্রিয়।

সেখানে রয়েছে চপলা ও চঞ্চল নামে দুটি স্প্রিডবোট এবং পদ্মাবোট নোঙর। লক্ষণীয় হলো যে, প্রদর্শনীগুলো বহুবছরের পুরোনো হলেও নিবিড় তত্ত্বাবধানে সংরক্ষণ করায় এগুলোর উজ্জ্বলতা এখনো দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেয়।

বাড়িটির পশ্চিম পাশে রয়েছে কবিগুরুর প্রিয় দীঘি ও বকুলতলা। যে জায়গাটি সাক্ষী হয়ে আছে কবিগুরুর অসংখ্য গান-কবিতার সঙ্গে। বাড়িটির পূর্ব দিকে রয়েছে মার্বেল পাথরে খদিত রবীন্দ্রনাথের চিত্র ও রবীন্দ্র রচিত কিছু বাণী, যা আপনাদের অভয়বাণী দেবে। বাড়িটির সামনে রয়েছে খোলামঞ্চ, যেখানে প্রতি বছর রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর একটু সামনেই রয়েছে ফাঁকা মাঠ, যেখানে মেলার আয়োজন করা হয়। তার পাশেই রয়েছে অনেক দোকান। যেখানে রয়েছে কারুকার্যে খচিত রবীন্দ্রনাথের প্রতিমূর্তি, একতারা, কাঠের নানা শোপিস। কুঠিবাড়ির সবখানে মিশে আছেন রবীন্দ্রনাথ।

আরো দেখতে পারেন।

শিলাইদহ কুটিবাড়ির সাথে ঘুরে আসতে পারেন লালনের আখড়া থেকেও। লালনের কুঠিবাড়ি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে। কুঠিবাড়ি থেকে সিএনজি বা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় করে মিলিত হতে পারেন লালন সাইজির ছেউরিয়া গ্রামের আরশিনগরে। যেখানে চিরনিন্দ্রায় শুয়ে আছেন লালন শাহ ও তাঁর মা মতিজান ফকিরানী এবং সাঁইজির ৩২ জন সাথী। এখানে রয়েছে আধুনিকায়ন লালন একাডেমি। লালন আঙিনায় উত্তরসূরি বাউল সম্রাটের গানের আসন বসিয়ে থাকেন। সেখানে আপনার ভ্রমণ বিলাসের কিছুটা সময় কাটিয়ে নিতে পারেন।

লালন শাহের মাজার থেকে সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটায় গিয়ে কিছুটা জিরিয়ে নিতে পারেন। অর্থাৎ লালন শাহের আখড়া থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ওই ভিটা।
কীভাবে যাবেন।

ঢাকা থেকে বাস বা ট্রেনে কুষ্টিয়ায় যেতে পারেন। এ জন্য গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে এসবি সুপার ডিলাক্স, হানিফ, শ্যামলী, একেজে ট্রাভেল বাসে উঠতে পারেন। এসি বাসে খরচ পড়বে ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা। আর নন-এসি বাসে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ঢাকা থেকে প্রতিদিন চিত্রা ও সুন্দরবন নামের দুটি ট্রেন ছেড়ে যায় কুষ্টিয়ার উদ্দেশে। কমলাপুড় থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাড়ার সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট এবং চিত্রা ছাড়ার সময় সন্ধ্যা ৭টা। তবে ট্রেনে গেলে আপনাকে নামতে হবে কুষ্টিয়ার পোড়াদাহতে। সেখান থেকে মাত্র ২০ টাকায় কুষ্টিয়া শহরে আসতে হবে। এই শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে শিলাইদহ গ্রাম। সেখানে যেতে খরচ হবে মাত্র ৩০ টাকা। কুঠিবাড়িতে প্রবেশ করতে আপনাকে দিতে হবে মাত্র ২০টা।
কোথায় থাকবেন।

কুঠিবাড়ির আশপাশে থাকার জন্য রয়েছে ডাকবাংলা। পূর্ব অনুমতি থাকলে সেখানে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। তবে কুষ্টিয়া শহরে থাকার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হোটেলসহ সাধারণ মানের হোটেল। বন্ধ-খোলার

সময়সূচীঃ
গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালেও দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আর সবসময়ের জন্যেই শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্যে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। রবিবার সাধারণ ছুটি এবং সোমবার বেলা ২.০০ থেকে খোলা থাকে|

Collected by Faruque Ahamed

About Post Author

Antara Tripathy

Chief Editor & CEO of IBG NEWS (09/Aug/2018-Present), Secretary of All Indian Reporter's Association,West Bengal State Committee. Earlier Vice President of IBG NEWS (01/Jan/ 2013-08/Aug/2018). She took over the charge from the Founder Editor of the Channel.
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Advertisements

USD





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here