ঘরোয়া উপায়ে বাঁচুন হিট স্টোক থেকে
মেরি পাল
গরমের তীব্রতা দিন দিন যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে মানুষের হিট স্টোকের সম্ভাবনাও প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে । প্রখর রোদে বিভিন্ন কারণেই মানুষকে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়, এই সময় মানুষের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশী থাকে । বডি টেম্পেরেচার যদি 40 ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে আসে তখন শরীরের গুরুতপূর্ন অর্গান ড্যামেজ হতে শুরু হয়। যা হিট স্টকের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয় । শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে গেলে, ঘাম বেড়ানোর সাথে সাথে ফুলুইড লেবেলটাও কমতে থাকে যার ফলে ডিহাইড্রেসান শুরু হয়ে যায় ।
হিট স্টোকের বেশ কিছু লক্ষন আছে যেগুলি হিট স্টোক থেকে বাঁচতে জানা প্রয়োজন
হিট স্টোকের লক্ষন
1- মাথাব্যথা
2- ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া .
3- হাত রেট বেড়ে যাওয়া .
4- স্কিন লাল হয়ে উঠা .
5- বমি হওয়া .
6- অতিরিক্ত ঘাম বেড়ানো .
গরমে হিট স্টোকের হাত থেকে বাঁচতে বডি ইলেক্ট্রোলাইট পূরণ করা ও ফুলুইড লেবেলকে মেনটেন করা খুব দরকার , আর সেগুলি যাতে ঘরোয়া উপায়েই মেনটেন করা যায় সেই জন্য আজ আমরা বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করছি ।
১- কাঁচা পিয়াজ – গরমে হিট স্টোক থেকে বাঁচতে সব থেকে ভালো উপাদান হল পিয়াজ . প্রতিদিনের খাবারে যদি কাঁচা পিঁয়াজের চাটনি কিংবা স্যালাড থাকে তাহলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভবে হবে , যা হিট স্টোক থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে .
২ – তেঁতুল – তেঁতুলে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস থাকে যা বডিকে ইলেক্ট্রোলাইট করতে সাহায্য করে . গরম জলে তেঁতুল বেশ কিছুক্ষুণ ভিজিয়ে রেখে তারপর সেই জলে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে . সেইসাথে তেঁতুলের জল পেটের রোগ সারাতে সাহায্য করে .
৩ – আমপান্না – গরমের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই আমপান্নাকে রিফ্রেসিং ড্রিংক হিসাবে ব্যবহার করে তবে এর সাথে সাথে আমপান্না হেলথ টনিক হিসাবেও কাজ করে . কাঁচা আম শরীরকে ঠান্ডা রাখে সেই সাথে আমপান্নায় ব্যবহৃত অন্যান্য জিনিস যেমন জিরে , মৌরি , গোলমরিচ , বিটনুন এনার্জি আনে সেই সাথে শরীরকে ইলেক্ট্রোলাইটও করে . হিট স্টোকের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন দু থেকে তিন বার এই ড্রিংক খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন .
৪- ঘোল ও নারিকেলের জল – গরমে অতিরিক্ত ঘাম বেড়িয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি দেখা দেয় ঘোল সেই ঘাটতি মিটিয়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে . সেইরকম নারিকেলের জল শরীরকে রিহাইড্রেড করতে সাহায্য করে .
৫ – ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা – তীব্র গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ধনেপাতা ও পুদিনাপাতার জল খুবই উপকারী .ধনেপাতা ও পুদিনাপাতার জলে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে সেইসাথে গরমে ত্বককে ভাল রাখতেও ধনেপাতার রস খুব উপকারী .
৬ – মৌরি – গরমে মৌরির জল খুবই উপকারী . রাতে মৌরি জলে ভিজিয়ে সকালে সেই জল খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে .
৭ – আপেল সিডার ভিনিগার – গরমে অতিরিক্ত ঘাম বেরিয়ে যাওয়ায় শরীরে পটাশিয়াম , মেগনেশিয়ামের বেলেন্স নষ্ট হয়ে যায় সেটা রাখতে আপেল সিডার ভিনিগার খুব উপকারী . ফলের রস কিংবা প্লেন জলে কয়েক ফোঁটা আপেল সিডার ভিনিগার ও সামান্য একটু মধু মিশিয়ে বডি রিইলেক্ট্রলাইট হয় ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে .
গরমে হিট স্টোকের হাত থেকে বাঁচতে হলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি . আশাকরা যায় গরমে সুস্থ থাকতে এই সমস্ত উপায় সবার উপকারে লাগবে ।