Read Time:5 Minute, 3 Second
নব দিগন্তের তৃতীয় গ্র্যান্ড মিট
সংবাদদাতা, কলকাতা: রবিবার পার্ক সার্কাস এ অনুষ্ঠিত হল, নবদিগন্তের তৃতীয় গ্র্যান্ড মিট, এই দিন এই মিট এ উপস্থিত ছিলেন, নব দিগন্ত এর সদস্য, দাতা ও সুভাকাঙ্খি, পরিচালন সমিতির সবাই সহ ও পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট গুণীজনেরা। এই দিন অকালে ঝরে যাওয়া প্রাণ, মাত্র ২২ বছর বয়সে, নব দিগন্ত এর সদস্য মণিশঙ্কর সাউ এর আত্মার শান্তি কামনা করে, এক মিনিট নীরবতা পালন করে অনুষ্ঠান এর শুভ সূচনা হয়।
মিট এ নব দিগন্ত এর কার্যকলাপ বিস্তারিত আলোচনা করেন নব দিগন্ত এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার ফারুক হোসেন গাজী, তিনি বলেন নব দিগন্ত এখন সারা পশ্চিমবঙ্গের গরীব, দুঃস্থ, অসহায় মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য,খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করছে। এক প্রত্যন্ত গ্রাম, উত্তর চব্বিশ পরগনার খাস শাঁকদহ থেক যাত্রা শুরু আজ রাজ্যস্তরে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলা তে কাজ শুরু করেছে মাত্র ৪ বছরে।
আর মাত্র ৫ বছরের মধ্যে, অর্থাত্ “ভিশণ ২০২৩” তারা ঠিক করে এগোতে চাইছে, পশ্চিমবঙ্গের যে জায়গাতে তারা এখনও পরিষেবা দিয়ে উঠতে পারিনি, সেখানে পরিষেবা দিতে চায় ও “ভিশন ২০২৮” এর মধ্যে তারা জাতীয় স্তরে কাজ শুরু করতে চায়, তবে অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত নব দিগন্ত টিম কে বলতে শোনা যায় তাদের লক্ষ্যমাত্রা UNICEF ও WHO এর মত Organization গড়ে তোলা. “Helping the helpless ” এই ট্যাগ লাইন কে সামনে রেখে তারা এগিয়ে চলছে। নব দিগন্ত এর কার্যকলাপ প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের উপস্থিত ছিলেন উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষার সহ অধিকর্তা ফারুক আহমেদ, টাটা কোম্পানি এর ডেপুটি ম্যানেজার তন্ময় ঘোষ, অধ্যাপক ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এর মখলেসুর রহমান, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি সামিরুল ইসলাম, কলকাতা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর রবসান চৌধুরী, টি,ডি, এন বাংলা এর বসির আলি ও সম্পাদক মোকতার হোসেন মণ্ডল, নতুন গতি পত্রিকার আনজুম মুনির, টাইমস বাংলা পত্রিকা এর সম্পাদক মিজানুর রহমান রোহিত, ট্যাক্সি চালিয়ে বোনের স্মৃতি তে হাসপাতাল গড়ে তোলা শহিদুল ইসলাম, খবরা খবর অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর সাবিবুর রহমান খান, মাদ্রাসা দারুল ফালাহ এর ইসমাইল মোল্লা, এছাড়া অসংখ্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যাংক অফিসার, ইলেকট্রিক অফিসার, নার্স ও সমাজ সেবক সেবিকাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ও ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে আনজুম মুনির এর কন্ঠে আমি বাংলার গান গাই সবার মন ছুঁয়ে যায় , কবি ফারুক আহমেদ কবিতা পড়ে শোনান ও কবি জ্যোত্স্না রহমান এর লেখা কাব্যগ্রন্থ “মন পেরোলেই ঘর” থেকে কবিতা পড়ে শোনান তারই মেয়ে মৌসাম রহমান,মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র কৃতী আজাদ সুমধুর কন্ঠে গেয়ে ওঠে মানুষ মানুষের জন্যে, এছাড়া অনেকই নব দিগন্ত বিষয়ে আলোকপাত করেন ও সমাজের বিভিন্ন প্রাথমিক সমস্যা এর কথা তুলে ধরেন ও নব দিগন্ত এর মাধ্যমে কিভাবে তার সমাধান করা যায় তার পথ অনুসন্ধান করেন। সবাই নব দিগন্ত এর সাথে ভবিষ্যতের এই স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে সাহায্য করবেন বলে অঙ্গীকার করেন|
Advertisements