Read Time:3 Minute, 58 Second
পল মৈত্র,দক্ষিন দিনাজপুর: কেমিক্যাল দুধ ও প্লাস্টিক ডিমের পর এবার প্লাস্টিক চাল ছেয়ে গেছে বালুরঘাটে। রান্না করার পর ভাত দেখেই সন্দেহ হয় এক পরিবারের। সাধারণ ভাতের তুলনায় অনেকটাই বেশী সাদা এই ভাত। রান্না করা ভাতে নেই কোন স্বাদ গুটি করে মাটিতে ফেললে তা লাফাতে শুরু করছে রাবারের মত। এমনকি সাধারণ চালের থেকে এই চালটির গন্ধও অন্যরকম। আগুনে ধরলেও পুড়ছে না। এতেই প্লাস্টিক চাল আতঙ্ক ছড়ায় বালুরঘাট শহরের উত্তর চকভবানী এলাকায়। এদিকে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারির।
মাছে ভাতে বাঙ্গালি। বাঙ্গালি মানেই দুই বেলা পাত পেড়ে ভাত খাওয়া। প্রত্যেকের বাড়িতে দু’বেলা রান্না হয় ভাত। এর জন্য বাজার বা মহাজনের কাছ থেকে চাল ক্রয় করে থাকে সাধারণ মানুষ। বালুরঘাট শহরের উত্তর চকভবানী এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ দাস বুধবার পতিরাম এলাকা থেকে চাল কিনে নিয়ে আনেন। পেশায় তিনি পশু চিকিৎসক। এদিন সেই চাল রান্না করেন প্রথম প্রদীপবাবুর স্ত্রী ইতি দাস। দুপুরে খাওয়ার জন্য মামাকে নেমন্ত্রণ করেছিলেন ইতিদেবী। রান্নার করার সময় থেকে সন্দেহ। এরপর সেই ভাত খেতে গিয়ে দেখে কোন স্বাদ নেই। এবং অন্য রকম। এরপর সেই ভাত গুটি করে নিচে ফললে সেটা ভেঙে না গিয়ে লাফাতে শুরু করে। এরপর আগুনে ধরলে সেটি পুড়ে গলতে শুরু করে। এবং সাধারণ চালের থেকে সাদা ধবধবে এই চালটি দেখে সন্দেহ হয়। এতেই প্লাস্টিক চালের আতঙ্ক ছড়ায়।
বিষয়টি খাদ্য সুরক্ষা দফতরকে জানানো হয়। যদিও দফতের আধিকারিক তিন জেলার দায়িত্বে থাকায় তিনি আজ মুর্শিদাবাদে রয়েছেন। তিনি এসে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। এবং ওই চালের নমুনা সংগ্রহ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে বাড়ির মালকিন ইতি দাস জানান, গতকালই তার স্বামী পতিরাম থেকে চাল কিনে নিয়ে আসে। আজ তার মামাকে খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করেছিলেন তিনি। কালকের আনা নতুন চাল দিয়ে ভাত রান্না করেন তিনি। সেই ভাত খেতে গিয়ে অন্যরকম স্বাদ বুঝতে পারেন তার মামা অসীম দাস। এরপরই তাদের সন্দেহ হয়। নানান ভাবে পরীক্ষা করে দেখার পর সেটি প্লাস্টিক চাল সন্দেহ হয়।
অন্য দিকে জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্নাকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিন জেলার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার করে দক্ষিণ দিনাজপুরে থাকেন তিনি। আজ তিনি মুর্শিদাবাদে রয়েছেন। বিষয়টি না দেখা পর্যন্ত ব্লা মুশকিল প্লাস্টিক কি না অন্য কিছু। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে বিশ্বজিৎবাবু জানিয়েছেন।
Advertisements