Read Time:3 Minute, 25 Second
বাংলায় মৎস্য দপ্তরের পরিকাঠামোয় জোর
মাছ ভাত ছাড়া বাঙালী খুঁজে পাওয়া কঠিন | নানা অসুবিধা থাকলেও বাঙালী মাছ ভাত পেলে সব কষ্ট মেনে নেয়| আর সেই বাংলার মত্স্য দপ্তর সকলের অজান্তে বাঙালীর রসনা তৃপ্তির কাজ করে যায়|
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে ব্রতী হয়েছেন। বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জোর দেওয়া হয়েছে মৎস্য দপ্তরেও। নেওয়া হয়েছে প্রচুর পদক্ষেপ, পাল্টে ফেলা হয়েছে পুরো পরিকাঠামো। আনা হয়েছে নতুন যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি।
রাজ্যে ব্লক স্তরে গবেষণাগার তথা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে দপ্তর। এর মাধ্যমে জল ও মাটি পরীক্ষা করা হবে যাতে বৈজ্ঞানিক ভাবে মাছ চাষ করা যায়। এখনও পর্যন্ত ৩০৮টি এরকম গবেষণাগার গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে ২৫টি ব্লক স্তরে গবেষণাগার তথা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
২০১৭-১৮ সালে দপ্তর হিমঘর নির্মাণের মাধ্যমে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে; এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ কোটি টাকা। এছাড়া কোল্ড চেন প্রকল্পের অধীনে আরও ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে ট্রান্সিট ও টার্মিনাল বাজার ও রিটেল আউটলেট তৈরী করতে। ইন্সুলেটেড বাক্স সম্বলিত সাইকেলও বিতরণ করা হয়েছে।
পর্যটন ক্ষেত্রে আরও উন্নতির লক্ষ্যে পরিকাঠামো আরও মজবুত করা হচ্ছে। বেনফিশ, স্টেট ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড, ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিশারিজ কর্পোরেশন লিমিটেড তাদের নিজেদের ট্যুরিস্ট লজগুলিকে দক্ষতার সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছে।
এই মুহূর্তে রাজ্যে ৭টি মাইনর ফিশিং হারবার ও ১৩টি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার আছে। আইস প্ল্যান্টের নির্মাণ ও দীঘার মোহনায় মাছের বাজারের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়াও, বেনফিশ আধুনিক মাছের বাজার তৈরী করেছে নদীয়ার কল্যাণীতে, বীরভূমের বোলপুরে, হাওড়ার উলুবেড়িয়া ও দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে।
বেনফিশ বিভিন্ন জেলায় হিমঘর তৈরী করেছে। যেমন, বীরভূমের বোলপুরে, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, নদীয়ার কল্যাণীতে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবারে।
Advertisements