Read Time:4 Minute, 28 Second
বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের উদ্যোগে “সম্প্রীতির বাংলাদেশ” শিরোনামে কলকাতায় আইসিসিআরে সেমিনার দাগ কাটল
ফারুক আহমেদ ও অন্তরা ত্রিপাঠি ,ছবি : সুমন মুন্সী
শেখ হাসিনা আজ আর শুধু জননেত্রী নন আজ তিনি মানবতার এক মূর্ত প্রতিক| বাংলাদেশ কে এক নতুন আলোকপ্রাপ্ত দেশে পরিনত করেছেন|
শনিবার কলকাতায় একটি বৃহৎ আকারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করল বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা। “সম্প্রীতির বাংলাদেশ” শিরোনামে আইসিসিআর হলে এই সেমিনারের আয়োজন ছিল চোখে দেখার মতো।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ও কবি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পবিত্র সরকার সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাংসদ অ্যাডভোকেট তারানা হালিম ও বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের মহাসচিব তথা তৌফিক হাসান উপস্থিত ছিলেন। সম্মানীয় অতিথিদের মূল্যবান আলোচনা ও বক্তব্য বাংলাদেশের পরিচয় নতুনভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হলেন।
কলকাতার আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত হল এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসভা। বিষয় সম্প্রীতির বাংলাদেশ। আয়োজনে তথ্যমন্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা। এই আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সবুজকলি সেন প্রমুখ। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর আলোকপাত করেন। প্রদর্শিত হয় কয়েকটি মহা মূল্যবান তথ্যচিত্র।
বাংলাদেশ শুধু একটি দেশ নয়, মাতৃভাষা এবং তার সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসা ও উৎসর্গীকরণের জন্য বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ। যেখানেই বাংলাদেশি নাগরিক থাকবে সেখানে তারা তাদের সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরবে। বিশ্বের সামনে তাদের সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরার প্রয়াস বহু দিন ধরে মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে। কলকাতা চিরকাল বাংলাদেশের পাশে মৈত্রীর বার্তা নিয়ে সাংস্কৃতিক আদান প্রদানে এগিয়ে এসেছে। সকলেই জানে কলকাতা ঐতিহাসিকভাবে বাংলা সংস্কৃতির সাথে সংযুক্ত সকল মানুষের জন্য একটি বিশাল ক্যানভাস।
তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় কলকাতার কলেজে কলেজে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলো ছড়িয়ে দিতে তিনি বিশেষ কেন্দ্রবিন্দু করেছিলেন এই শহরকে।
আজকের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলোন মো: মোফাখখরুল ইকবাল,প্রথম উপদেষ্টা, বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন, কলকাতা। “সম্প্রীতির বাংলাদেশ” শিরোনামে একটি সেমিনারে এপার বাংলার বহু সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছে। বিশেষ করে আজকের সাংস্কৃতিক কর্মসূচি সকলকেই মুগ্ধ করেছে।
অন্যদিকে এই সাংস্কৃতিক মহামিলনকে নিয়ে প্রবল উৎসাহী ছিলেন উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ও কবি ফারুক আহমেদ। এই উৎসব দুই বাংলার মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে বলে জানান ফারুক আহমেদ।
Advertisements