আচমকা জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ স্থানান্তরিত দূর্ভোগে রোগী ও তাদের পরিবার
দক্ষিন দিনাজপুরঃ জেলা হাসপাতালের ভবন সংস্কারের কাজ হ্ওয়ায় আচমকা স্থানান্তরিত হয়েছে ব্লাড ব্যাঙ্ক ও প্যাথলজি বিভাগ। গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিভাগ স্থানান্তরিত হলেও হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর তাতেই ক্ষোভ জমছে রোগীর পরিজনদের মধ্যে।
ভবন সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় ব্লাড ব্যাঙ্ক ও প্যাথলজি বিভাগের স্থান পরিবর্তন হয়েছে বেশ কিছু দিন আগেই। স্থান পরিবর্তন হলেও আগে থেকে কোনও নির্দেশিকা ছিল না। এবিষয়ে হাসপাতাল চত্বরের কোথাও কিছু লেখা পর্যন্ত নেই। ফলে একরকম হয়রানির শিকার রোগীরা। বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী ও তাদের পরিজনদের। ক্ষোভ জমছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যদিও প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতালের পুরোনো ভবনের নিচে রয়েছে ব্লাড ব্যাঙ্ক। দিন কয়েক আগে ব্লাড ব্যাঙ্ক ভবনের ভেতরের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে ব্লাড ব্যাঙ্ক বিভাগকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। পাশাপাশি স্থানান্তরিত করতে হয়েছে প্যাথলজি বিভাগকেও। আপাতত হাসপাতালের পুরোনো ভবনের দ্বিতীয় তলে রয়েছে ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং দশতলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নবমতলায় রয়েছে প্যাথলজি বিভাগ।
অভিযোগ, ব্লাড ব্যাঙ্ক ও প্যাথলজি বিভাগ অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হলেও হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। ফলে চিকিৎসার জন্য রক্ত আনতে ব্লাড ব্যাঙ্কে গেলে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের। আবার রক্ত পরীক্ষার জন্য প্যাথলজি বিভাগে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। যার ফলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার বিষয়ে রোগীর আত্মীয় নিরঞ্জন মণ্ডল ও মানিক দাস জানান, তারা রক্ত পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু এসে দেখেন প্যাথলজি বিভাগ ও ব্লাড ব্যাঙ্ক বন্ধ। কেউ নেই সেখানে। ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর অন্য এক রোগীর আত্মীয়র কাছ থেকে জানতে পারেন ব্লাড ব্যাঙ্ক ও প্যাথলজি বিভাগ স্থানান্তরিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ স্থানান্তরিত হলেও নেই কোনও নির্দেশকা। হাসপাতালের এমন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
বালুরঘাট হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্লাড ব্যাঙ্ক ও প্যাথলজি সেন্টার স্থানান্তরিত হয়েছে। তা অনেক আগেই জানানো হয়েছে। কোনওরকম সমস্যা হলে হাসপাতালের দুটি ভবনেই রয়েছে রোগী সহায়তা কেন্দ্র। তাতে আশা করি সমস্যা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
By Paul Moitra