পিছিয়ে পড়া , অনুন্নত সম্প্রদায়গুলির প্রতি যে কোন রকমের নির্যাতন বন্ধের ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামদাস আটওয়ালে
By PIB Kolkata
কলকাতা, ২০ আগস্ট, ২০১৯
কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামদাস আটওয়ালে আজ কলকাতার মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই)-তে আয়োজিত “ভারতে সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়নঃ অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ লক্ষ’ শীর্ষক এক আলোচনাচক্রে অংশ নেন। এর আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার সমাজের দুর্বলতর শ্রেণী এবং তপশিলী জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর ক্ষমতায়নের লক্ষে কাজ করে চলেছে। দলিত এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর প্রতি অবিচার, অত্যাচার প্রতিরোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী জানান, ২০১৯-২০ সালে জাতীয় স্তরে দলিতদের প্রতি অত্যাচারের ঘটনার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা যথেষ্ট ভালো। তিনি বলেন সমাজে দলিত, সংখ্যালঘুদের প্রতি কোন রকমের অত্যাচার, নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে তা কড়াভাবে মোকাবিলা করা হবে। শ্রী আটওয়ালেএই ধরণের ঘটনা বন্ধের জন্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান। এই প্রসঙ্গে তিনি বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর এবং তাঁর দর্শনের কথা উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন আম্বেদকরজি সবসময় অহিংসা ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
শ্রী আটওয়ালে বলেন গত ৫ বছর ধরে সরকার তপশিলী জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য শ্রেনীর মানুষদের উন্নতির লক্ষে কাজ করে চলেছে। কেন্দ্রের বিভিন্ন কর্মসূচীর আওতায় পশ্চিমবঙ্গে চার লক্ষ উনোষাট হাজার তপশিলী জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রী এবং তিনলক্ষ ষাটহাজার অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত ছাত্রছাত্রী আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছেন। সরকার হাত দিয়ে আবর্জনা ও মল পরিষ্কার বন্ধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ জন্য যারা এই কাজ করেন, তাঁদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতে অন্য পেশায় যুক্ত করার উদ্দেশ্যে বিশেষ দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে আন্তঃসম্প্রদায় বিবাহ বৃদ্ধির হারের প্রশংসা করেন। এর ফলে সামাজিক ঘৃণা এবং জাতপাতের সংঘাত দুর হবে। কেন্দ্রের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প এ রাজ্যে চালু করার জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
শ্রী আটওয়ালে তপশিলী জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী, ভিন্ন ভাবে সক্ষম এবং সংখ্যালঘুদের জন্য দেশজুড়ে চালু হওয়া নানা কর্মসূচির কথা বিস্তারিতভাবে জানান। তাঁর মন্ত্রক অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণে যে সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বৃত্তি, আবাসিক বিদ্যালয় ও হোস্টেল চালু করেছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের বিশদে জানানো হয়। এছাড়া ভিন্নভাবে সক্ষম ও সাফাই কর্মীদের জন্য পেনশন, ব্যবসা ক্ষেত্রে উৎসাহ দেবার জন্য আর্থিক সংস্থান, দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচির কথাও তিনি জানান।