মেয়ের আবদারে স্কুলের বাচ্চাদের পাত পেড়ে খাওয়ালেন অভিভাবক ।।
তৃতীয়শ্রেণির ছাত্রী রহিমা খাতুন প্রাণচঞ্চলা ছটফটে। পড়াশোনার পাশাপাশি সে খেলাধুলা এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য কাজেও করিৎকর্মা। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সাথেও তার বন্ধুত্ব। রহিমা দেবকুন্ড পূর্বপাড়া প্রাথমিক পড়ে। তার বাবা দেবকুন্ড গ্রামের ইয়াকুব আলী কিছুদিন আগে লটারিতে ২৬ লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। টাকা পাওয়ার পরে সে তার নিজস্ব বন্ধুবান্ধব এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের মিষ্টিমুখ করিয়েছেন। সেই থেকে রহিমার আবদার তার স্কুলের বন্ধুবান্ধবীদেরও খাওয়াতে হবে। মেয়ের আবদার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে যোগাযোগ করে ইয়াকুব। একদিন মাংস-ভাত, রসগোল্লা সহ মিষ্টিমুখ করানোর কথা ইচ্ছা পোষণ করেন। ইয়াকুব আলীর সহায়তায় দেবকুন্ড পূর্বপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করেন আজ। মাংস, সরু চালের ভাত পাঁচ-তরকারি, চাটনি সহ রসগোল্লার ব্যবস্থা করা হয় আজকের মিডডে মিলের খাওয়া-দাওয়ার মেনুতে। খাওয়া-দাওয়ার করে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা খুব খুশি। কারণ বছরের শেষে শীতের হালকা আমেজে তারা পিকনিকের মজা খুঁজে পায়। ইয়াকুব বলেন, বাচ্চাদের খাওয়াতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ওদের সাথে একসাথে বসে খেয়ে খাওয়া-দাওয়া করে নিজের ছেলেবেলা ফিরে পেলাম।