নয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিল করতে জোরালো ভূমিকায় আন্দোলনে নামলো কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়
বিশেষ সংবাদদাতা, কল্যাণী:
নয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিল করতে জোরালো ভূমিকায় আন্দোলনে নামলো কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক, গবেষক, ও শিক্ষাকর্মীর একটা বড় অংশ।
জামিয়া মিলিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পা মেলালো কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।
জামিয়া মিলিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিগ্রোর প্রতিবাদে পুলিশের অমানবিক অত্যাচারের প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে এক বিশাল পদযাত্রা বের হয়।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে বুধবার দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্র-ছাত্রী-গবেষক-শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা জমায়েত হন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধীতা করে তাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই পদযাত্রা ছিল চোখে দেখার মত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার প্রতি জোরালো স্লোগান তোলেন ছাত্র-ছাত্রী-গবেষক ও শিক্ষকরা।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা ছাত্রদের পুলিশের উৎপীড়ন ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের চরম বিরোধিতা করে উচ্চশিক্ষা দপ্তরে প্রতিবাদ পত্র পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা তুহিন ঘোষ জানান, “কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের দমনপীড়ননীতির একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। আমরা এটা মানছি না। ছাত্র যুব সমাজ তা হতে দেবে না এবং এই আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার জারি থাকবে।”
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার জয়েন্ট আহ্বায়ক অধ্যাপক সুজয় কুমার মন্ডল জানান “কেন্দ্রীয় সরকারের অসাংবিধানিক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-২০১৯ এবং জামিয়া মিলিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ওপর পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের জন্য কল্যাণী ওয়েবকুপা ইউনিট ধিক্কার জানিয়ে মহা মিছিল মিটিং করেছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় লোকসংস্কৃতি বিভাগের গবেষক রাজেশ খান জানান, “আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার দিবসের দিনে আজকের এই আন্দোলন ছিল বিবিধ কারণে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিভেদকামী শক্তি যেভাবে আমাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়াতে চাইছিল তা চরমভাবে ধাক্কা খাবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যেভাবে এই আইনকে রুখে দেওয়ার জন্য সকলে আমাদের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন তাতে ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার আরোও সুরক্ষিত হবে।”
এদিন পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এবং মূলবান বক্তব্য রাখেন ওয়েবকুপার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক নন্দকুমার ঘোষ, ড. সুজয় কুমার মন্ডল, অধ্যাপক পার্থসারথি দে, অধ্যাপক মানসকুমার সান্যাল, অধ্যাপক জাহিদ হোসেন, অধ্যাপিকা স্বাথী দে, ড. বিভা কুমারী, ড. বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, ড. মনোরঞ্জন জানা, ড. রমেশ মন্ডল, ড. মলয় আদক, ড. দেবলীনা দেবনাথ, শ্রী বিশ্বজিৎ মিত্র, শ্রী পথিকৃৎ বন্দোপাধ্যায়, ড. তপতি ভদ্র, অধ্যাপক দেবাশীষ দাস, ড. মহারাজ বিশ্বাস, ড. সুভাশিষ সাহু, প্রিয়ম সরকার, গবেষক ফারুক আহমেদ, নাজিরুল হক, শিক্ষাকর্মী অঞ্জন দত্ত, বিকাশ আচার্য, প্রশান্ত দাস সহ অন্যান্যরা।
প্রতিবাদ জানিয়ে পথসভায় মা মেলান কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের গবেষক, রসয়ান বিভাগের অফিস কোর্ডিনেটর তথা উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, “জামিলায় মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের সুতীব্র ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাই।
জামিলায় মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর অমানবিক লাঠিচার্জ করে দিল্লি পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটানো হয় এবং অভিযোগ উঠছে লাইব্রেরিতে ঢুকে ভাঙচুর করে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করেছে। গোটা দেশের মানুষ ছিঃ.. ছিঃ… করে ধিক্কার জানাচ্ছেন এই ঘটনার।
গোটা পৃথিবীর শুভ বুদ্ধির মানুষও নিন্দা জানিয়েছেন। আবার অনেকেই তীব্রভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে পথেও নেমেছেন। কলকাতা, আলিয়া, যাদবপুর, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীরা জামিলায় মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর অমানবিক লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে আন্দোলন করছেন। বিনা অনুমতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে দিল্লির পুলিশ তাণ্ডব চালিয়েছে যা জাতীয় লজ্জা বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করছেন। অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিল করতে হবে, এই দাবীও উঠছে সর্বত্র।
ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে পদদলিত করে, ভারতীয় সংবিধানের আত্মাকে অপমানিত করে যে ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক বিভাজনমূলক নাগরিকত্ব আইন বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার রূপায়িত করতে চাইছেন, আমরা তাকে তীব্র ধিক্কার জানাই। এই বিদ্বেষমূলক আইনের প্রতিবাদে যে সমস্ত মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন, তাঁদের সকলের কাছে আবেদন, আইন হাতে তুলে নেবেন না, দেশের মানুষের কল্যাণে সভা-সমাবেশ-বিক্ষোভ-আন্দোলনকে ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেবার জন্যে আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই জরুরি। আমরা জানি সামনের দিনগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন। তাই লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে অখণ্ড স্বাধীন ভারতকে রক্ষা করতেই হবে। এটাই হোক আমাদের জান-মান নিয়ে বাঁচার অগ্নিশপথ।”
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর আবেদন “গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করুন, কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পথ অবরোধ, রেল অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা গন্ডগোল করছেন, রাস্তায় নেমে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বাসে আগুন লাগিয়ে, ট্রেনে পাথর ছুড়ে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ফারুক আহমেদ আরও বলেন,”ভারতের বহু সমাজ সচেতন মানুষ, বিদেশের মিডিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা জামিলায় মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর বর্বরোচিত পুলিশ হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জামিলায় মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভুল পদক্ষেপের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে আন্দোলন করছেন।
ভারতের সংবিধানের উপর চরম আঘাত এসেছে, সংবিধানকে রক্ষা করতেই হবে।
সংবিধান বিরোধী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিল করতে ভারতের জনগণ পথে নেমেছেন এবং সভা-সমাবেশ ও আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরাও তীব্র গতিতে আন্দোলনের মাত্রা বাড়িয়ে নয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিল করতে উঠে পড়ে লেগেছেন।
আমরা জানি বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না দেশের সাধারণ মানুষ। তাঁরা জানেন ভারত হল বৈচিত্র্যময় নানা ভাষার নানা জাতের মানুষের মিলন ক্ষেত্র। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ দেশ হল ভারত। মিশ্র সংস্কৃতি আমাদের অর্জিত বৈভব, আর তা আমরা কখনোই নষ্ট হতে দেব না।
কংগ্রেস দলের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জামিলায় মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। দেশের আগামী ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। পুলিশ আইনের রক্ষক হয়েও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে যা সত্যি খুব দুঃখ ও বেদনার কারণ হিসেবে মানুষকে ব্যথিত করেছে।
জামিলায় মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর অমানবিক লাঠিচার্জের চিত্র গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, যা চোখে দেখে সবাই ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করছেন এবং আঙুল তুলছেন।
নতুন নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে উদার সহিষ্ণু ভারতের কোটি কোটি মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে সংবিধানকে সামনে রেখে সভা-সমাবেশ করে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে রুখে দাঁড়াচ্ছেন। বিভেদকামী সরকারের পতন সুনিশ্চিত করতে জনতার একতা দেখে মুগ্ধ হই।
১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েছিল। মহম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছিলেন, হিন্দু আর মুসলমান দুটি পৃথক জাতি, তাই দুটি আলাদা দেশ হওয়া দরকার। হিন্দু মহাসভার নেতা সাভারকারও একই নীতিতে বিশ্বাস করতেন। কিন্তু ভারতের সংবিধান প্রণেতারা জিন্নাহ বা সাভারকারের পথ নেননি। তাঁরা ভারতবাসীকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৭২ বছর পর সেই সংবিধানকে অস্বীকার করে মহাত্মা গান্ধী থেকে বাবাসাহেব আম্বেদকরের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে ক্যাব-এর নামে দ্বিজাতিতত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের সরকার। নাগরিকত্ব আইন সিএএ পাশ করেছে ঠিকই, কিন্তু বিভাজনের রাজনীতির ঘৃণ্য পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে বিজেপি সরকার কতটা সফল হবে তা কিন্তু সময় বলবে। কারণ, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে রক্ষা করতে দেশবাসী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আমরা সবাই জানি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আরএসএস তথা হিন্দু মহাসভার নেতারা স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করেছিলেন এবং দেশ বিভাজনের মূলেও ছিলেন তাঁরাই। আজ তাঁদের উত্তরসূরিরা আমাদের দেশপ্রেম শেখাচ্ছেন! এর চেয়ে বড় প্রহসন আর কী হতে পারে!!
যারা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে তারা দেশের সাধারণ মানুষের কখনও কল্যাণ করতে পারে না, তা আমরা দেখছি এই নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ সরকারের শাসনকালে।
চিটিংবাজ ব্যবসায়ীরা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়েছে, আর তাদেরকে ধরে আনতে বিজেপির সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কালো টাকা ফেরত আনতে পারেনি নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সাধারণ মানুষের একাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী এই প্রতিশ্রুতিও পূরণ করতে পারেন নি।
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ফলে প্রতিদিন কত সাধারণ মানুষ নিঃশব্দে শেষ হয়েছেন এবং হচ্ছেন। নোটবন্দী থেকে জি এস টির মতো অবিমৃষ্যকারী পদক্ষেপে সারা দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের শেষ কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, কোন বক্তব্য নেই। ধর্মের বড়ি খাইয়ে গোটা দেশকে আজ ধ্বংসের দিকে ঠেলে নিয়ে চলেছেন তিনি।
দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চরমভাবে ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদী সরকার । বিগত ৪৫ বছরের পরিসংখ্যানে বেকারত্ব সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষ দিন দিন দিশেহারা বোধ করছেন। সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে উপযুক্ত রোজগারের সুযোগ সুবিধা থেকে অসংখ্য মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। এসবের প্রতিকারে নরেন্দ্র মোদীর সরকার নিশ্চুপ।
দেশের নাগরিকদের হাজার সমস্যার সমাধান করতে না পেরে অন্য দিকে দৃষ্টি ঘোরাতে গোটা বিশ্বের মানুষের সামনে সংবিধান বিরোধী নতুন নাগরিকত্ব আইন হাজির করে নরেন্দ্র মোদী সরকার কি বার্তা দিতে চাইছে তা বুঝতে হবে।”