লাল গ্রহের দিকে ছুটে যাচ্ছে মহাকাশযান। এর আগে বাংলার কেউ পা রাখেনি সেখানে। স্বপ্ন সফল হতে যাচ্ছে এক বাঙ্গালী মেয়ের। তার থেকে অনেক দূরে পৃথিবীতে তার বাবা মা এর সামনে তখন বেশ কিছু লোক। সিক্রেট মিশন সম্পর্কে তারা বোঝাচ্ছে অনেককিছু। বাবার শুধু মনে পড়ছে , মেয়ে তারা দেখতে ভালোবাসতো খুব। পৃথিবীর একদিকে যখন আলো,অন্যদিকে তখন বেশ খানিকটা অন্ধকার।
বৃষ্টির জল মাটি ধুয়ে বোঝাচ্ছে শহরের মন খারাপ, অথবা ঘটতে চলেছে এমন কিছু যার কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে না। একলা মেয়ের দিকে তাকিয়েই যারা ভেবে ফেলে এরপরের অংশটা খুব মজাদার তাদের থেকে বাঁচিয়ে নেওয়ার জন্যও ঠিক তৈরী থাকে আরেকজন। কিন্তু সত্যি কি সে বাঁচায় মেয়েটিকে? না শুরু হয় অন্য আরেকটা গল্প, যে গল্পে মিশে থাকে অনেকটা ভয় ? একটা অদ্ভুত অস্বস্তি ঘিরে থাকে একটা গোটা বাড়ি জুড়ে। শেষে কি হয়? এইখানেই দর্শকদের জন্য রয়েছে আসল চমক। দিন রাত্রি মেশানো এরকম দুটো গল্পকেই বেঁধে ফেলেছেন পরিচালক প্রসেনজিৎ চৌধুরী তাঁর নতুন সিনেমা ‘দিন রাত্রির গল্প’ তে। সিনেমার গল্প প্রসেনজিৎ এবং সুপ্রীতি চৌধুরীর। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে আছেন শান্তনু দত্ত। VFX এর দায়িত্বে দীপঙ্কর দাস।
সিনেমাটির সম্পাদনা করেছেন প্রদীপ দাস। মুহূর্তদের ক্যামেরাবন্দী করেছেন মৃন্ময় মন্ডল। এই সিনেমার গল্পের সঙ্গে জুড়ে আছে কিছু মানুষের অনবদ্য অভিনয়। প্রদীপ মুখার্জী , রুমকি চ্যাটার্জী,দেবেশ রায় চৌধুরী, সুপ্রীতি চৌধুরী, সৌরভ চক্রবর্তী , রায়তী ভট্টাচার্য নিজের চরিত্রের প্রতি সুবিচার করেছেন। তবে আলাদা করে বলতে হবে রজতাভর কথা। অভিনয় নিয়ে নিরন্তর কাটাছেঁড়া করে চলেছেন তিনি। ‘ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খুনি, আমাদের ঈশ্বর’ ঠাণ্ডা গলায় বলা এই কথাগুলো বুকের অনেক ভিতরে রেখে দিয়ে যায় কাঁপুনি। বাংলার প্রথম স্পেস ফিকশন এর সাথে মিলে যাওয়া সাসপেন্সে তাই এবারে বাঙ্গালীর বাজিমাত।
তারা দেখা এক নেশার মত কিছু মানুষের কাছে। এই জগত থেকে বহুদূরে নিশ্চিন্তে জেগে থাকা আলো দেখে যে শান্তি, তার দিকে এগিয়ে গেলেও কি মনের ভিতর সেই একই শান্তি কাজ করে? সেই প্রশ্ন নিয়ে আসছে বাংলার প্রথম Space Fiction। পরিচালক প্রসেনজিৎ চৌধুরী তাঁর আগামী সিনেমা ‘দিন রাত্রির গল্প’ তে নিয়ে এসেছেন অরুণিমা চ্যাটার্জীকে। নাসার থেকে এক গোপন অভিযানে যাচ্ছেন অরুণিমা চ্যাটার্জী, অথচ তার বাবা মা জানেন না সেটা। সাতদিন মেয়ের খোঁজ না পেয়ে যখন দুজনেই চিন্তিত, বাড়িতে আসে এক অদ্ভুত কল। নাসার থেকে লোক আসছেন মেয়ের খবর জানাতে। রহস্য আরো ঘনীভূত হয় যখন জানা যায় মঙ্গলগ্রহে প্রথম পা রাখতে চলেছেন অরুণিমা। এরপরের চমক নাহয় উহ্যই থাক। দর্শক চমকে যাবেন এর পরের ঘটনাপ্রবাহে। এক জোরালো সূর্যের আলোয় শুধু ধাধিয়ে যেতে পারে চোখ। শুধু আলো নয় , এই ছবির খানিকটা জুড়ে রয়েছে অন্ধকারও। এক গভীর কালো রাতের গল্প বুনেছেন পরিচালক। এক বৃষ্টির রাতে অচেনা পথে দুজনের দেখা। সেই দুর্যোগের রাতে একজন আশ্রয় দেবে অপরজনকে। সেই গোটা বাড়িতে জেগে আছে যেন এক অদ্ভুত অস্বস্তি। আশ্রয়দাতা জানতে চেষ্টা করেন মৃত্যুর রহস্য, সঠিক পথ অনুসরণ করলে কথা বলা যায় মৃত্যুর সাথেও বলে মানেন তিনি। শুরু হয় গল্পের রোমাঞ্চকর অধ্যায়। কে এই মানুষ? কি করেন? তবে কি সত্যিই আছে আলৌকিক -এরকম নানা প্রশ্ন দর্শককে বসিয়ে রাখবে শেষ পর্যন্ত। এমনকি সিনেমার শেষেও চমকেই উঠবেন তারা। অনায়াস দক্ষতায় দুটো গল্পকে এক করে বেঁধে ফেলেছেন প্রসেনজিৎ চৌধুরী এবং সুপ্রীতি চৌধুরী। সিনেমার সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু দত্ত। মুহূর্তদের ক্যামেরাবন্দী করেছেন মৃন্ময় মন্ডল। সিনেমাটির VFX এর দায়িত্বে রয়েছেন দীপঙ্কর দাস। সম্পাদনা করেছেন প্রদীপ দাস।সুপ্রীতির অভিনয়ক্ষমতা মুগ্ধ করে। কিছু অসামান্য চরিত্র দেখবেন দর্শকেরা এই সিনেমায়। প্রতিটি চরিত্রই মনে দাগ রেখে যাবে। প্রদীপ মুখার্জী , রুমকি চ্যাটার্জী, রজতাভ দত্ত , দেবেশ রায় চৌধুরী, সৌরভ চক্রবর্তী , রায়তী ভট্টাচার্য-র মত কিছু অসামান্য অভিনেতারা জুড়ে আছেন এই সিনেমায়। অরুণিমার বাবার চরিত্রে প্রদীপবাবুর অভিনয় আপনার চোখের কোণকেও একটু ভিজিয়ে তুলবেই। সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার নায়কের অভিনয় মুগ্ধ করেই আমাদের সবসময়। তবে আলাদা করে বলতে হবে রজতাভর কথা। অভিনয় নিয়ে নিরন্তর কাটাছেঁড়া করে চলেছেন তিনি। ‘ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খুনি, আমাদের ঈশ্বর।’ ডায়লগ থেকে যাবে গভীরে। আর কিছুদিন পরেই বাঙ্গালির প্রথম স্পেস ফিকশন মুক্তি পাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে। আপনিও তাহলে সঙ্গী হোন এই যাত্রার।