থেমে গেলো ভারতীয় ফুটবলের বিখ্যাত ভোক্যালটনিক এক যুগের অবসানের মধ্যে দিয়ে ময়দানের ইন্দ্রপতন। চলে গেলেন ফুটবলের মহাগুরু পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। আজীবন বাঙালি ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের দুই শিবিরে বিভক্ত থাকলেও ইস্টার্ন রেলের পিকে ছিলেন ময়দানের সকলের চোখের মণি । হয়েছিলেন ১৯৬০ এর মেলবোর্ন অলিম্পিকে ভারতের ফুটবল অধিনায়ক । মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
নিউমোনিয়া, পারকিনসন-সহ নানা ব্যাধি আক্রমণ করেছিল পিকে-র শরীরে। বিগত এক মাসের বেশি সময় ধরে বেসরকারি হাসপাতালে চলছিলো যমে মানুষে লড়াই । ২০ মার্চ শুক্রবার দুপুর দুটো আট মিনিটে শেষ বাঁশী বেজে গেলো আর এক যুগের অবসান হলো ।
প্রদীপ দা চলে গেলেন এমন সময় যে করোনার কারণে সকলের এক জায়গায় শ্রদ্ধা জানানোর উপায় রইলো না ।
বিকাল ৫ থেকে ৫:৩০ র মধ্যে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর নিজ বাসভবনে। সেখানে ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত মরদেহ শায়িত থাকবে। এরপর ৭ টায় নিমতলা মহা শ্মশানে শেষ কৃত্য সম্পন্ন হবে কিংবদন্তি ফুটবলারের , জানালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ
পশ্চিমবঙ্গ সরকার
নবান্ন, ৩২৫ শরৎ চ্যাটার্জি রোড, হাওড়া ৭১১১০২
স্মারক সংখ্যা: ৭৪/আইসিএ/এনবি
তারিখ: ২০/০৩/২০২০
মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা
কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ প্রদীপ কুমার ব্যানার্জি (পি কে ব্যানার্জি)-র প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ৮৩ বছর বয়সে কলকাতায় প্রয়াত হন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৩ সালে তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান প্রদান করে। এছাড়া তিনি অর্জুন পুরস্কার, পদ্মশ্রী, ফিফা অর্ডার অফ মেরিট, এশিয়ান গেমস স্বর্ণপদক সহ অজস্র সম্মান ও পুরস্কার পান।
তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়া জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল।
আমি প্রয়াত পি কে ব্যানার্জির আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের
আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়