হীরক মুখোপাধ্যায় (২৪ এপ্রিল ‘২০):- চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের লাঞ্ছনা এবং শারীরিক নিগ্রহ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জারি করা অধ্যাদেশ-কে প্রফুল্ল চিত্তে স্বাগত জানাল ‘ইণ্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন'(আইএমএ)-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখা।
আজ আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখার তরফ থেকে প্রাক্তন সভাপতি তথা আইএমএ বারাসাত শাখার সভাপতি ডাঃ তপনকুমার বিশ্বাস দূরভাষের মাধ্যমে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান,” ‘কোভিড ১৯-এর পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হয়ে চলা শারীরিক নিগ্রহ-র বিরুদ্ধে সম্প্রতি আমাদের জাতীয় শাখা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ জানিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় সরকার অভিযোগের গুরুত্ব অনুধাবন করে সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টা নিষ্পত্তি করার যে সার্থক পদক্ষেপ নিয়েছে তা সাধুবাদের যোগ্য।”
বলে রাখা ভালো, কেন্দ্রীয় সরকার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখলেও ‘আইন শৃঙ্খলা’ যেহেতু রাজ্য সরকারের বিচারাধীন বিষয় তাই কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা এই আইন পশ্চিমবঙ্গে কতটা মান্যতা পাবে সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন!
নিকটতম অতীতে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটে গেছে, সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই আজও অধরা, শুধু তাই নয় যাঁরা ধরা পড়েছিলেন তাঁরাও আজ অনেকে জামিনে মুক্ত।
আজ দূরভাষের মাধ্যমে কথা বলার সময় নিজের চিন্তা প্রকট করে ডাঃ তপনকুমার বিশ্বাস বলেন, “ভারতের বুক থেকে কবে যে ‘নভেল কোরোনা ভাইরাস’ সম্পর্কিত রোগ ‘কোভিড ১৯’- নির্মূল হবে সেটা এই মুহুর্তে হলফ করে কেউই বলতে পারছেননা।
এমতাবস্থায় চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার অন্যতম ব্যবস্থা হতে পারে ‘টেলি মেডিসিন’।”
প্রসঙ্গতঃ জানিয়ে দেওয়া ভালো কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে ও ‘মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইণ্ডিয়া’ এবং ‘টেলিমেডিসিন সোসাইটি অব ইণ্ডিয়া’-র অনুরোধে ‘এপোলো হসপিটালস গ্রুপ’ তাদের ২,৫০০ প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের মাধ্যমে দেশের ৫ লাখ চিকিৎসককে ‘টেলিমেডিসিন’ সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে।
সাক্ষাৎকার চলাকালীন আগ্রহ প্রকাশ করে ডাঃ তপনকুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, “আমি আশা করবো, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেইসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে
পিপিই কিট তুলে দেবে যাঁরা ‘কোভিড ১৯’ নামক রোগের বিরুদ্ধে প্রাণ হাতে নিয়ে সামনে থেকে লড়ছেন।”