ফেরার গল্প সব্বার জীবনে থাকে… কিছু ফেরা মিথ্যে ই থেকে যায়…
তাই হয়তো আজও রাধার জন্য কৃষ্ণের ঘুম আসে না…তিন বন্ধুর জীবনের গল্প বলে “ফেরার গান “…. যে দারুন ছবি আঁকতো, সুর বাঁধতো, কিন্তু কালের নিয়মে তাকে কৃষক হতে হয়… কৃষকের শরীরে বেঁচে থেকেও সে তার স্বপ্ন কে, ইচ্ছে কে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে… যন্ত্রনার মহামারী তাকে পুড়িয়ে করেছে ছারখার… তবুও সে দিন বদলের স্বপ্ন দেখে.. গুমরে কাঁদে তবু বেঁচে থাকে স্মৃতির আশ্রয়ে দ্বিতীয়জন জনপ্রিয় কবি, গীতিকার হওয়া সত্ত্বেও জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া একজন মানুষ… আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়…কিন্তু যে মানুষটা কোনো দিন হতাশার গান লেখেনি তাকেও আজকে কালের নিয়মে হেরে যেতে হয়… তৃতীয়জন গায়ক হতে চেয়েছিলো, সে হতেও পেরেছে কিন্তু মিথ্যে স্বপ্নের আশ্রয় তাকেও আজও শান্তি দেয়নি…সেক্রিফাইসের গল্প তার জীবন জুড়ে.. আসলে ফেরার স্বপ্ন সব্বাই দেখে কিন্তু কেউ কেউ পারে কেউ পারে না… ফেরার গান কোনো মিষ্টি প্রেমের গান নয়… কষ্ট, যন্ত্রনা ও আক্ষেপের গান…তবুও তো অশান্ত সময়ের শেষে সুসময় আসে|
এই প্রথম বাংলাদেশের ষ্টুডিও জয়ার ইউটুব চ্যানেল থেকে রিলিজ হলো এই ধারার রক বালারয়ড… গানটি গেয়েছেন ও সুর করেছেন নতুন মুখ দীপ্ত দাস ও অভিষেক ঘোষ… তারা এই বন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন..যদিও তারা বাস্তবেও বন্ধু… অভিষেক নিজে একজন কৃষকের সন্তান কিন্তু চাষআবাদের সাথে সুর করে, ছবি আঁকে, গান বাঁধে.. . দীপ্ত নতুন কণ্ঠ.. খুব ট্যালেন্টেড একজন যুবক… নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে আর পুরো ভাবনাটি ভেবেছেন কবি /গীতিকার অভিজিৎ পাল.. বহু কবিতার বই তার প্রকাশিত… ফেরার গান কোয়ারেন্টাইনের প্রজেক্ট.. কেউ কোথাও তারা বাড়ি থেকে কোথাও জানাননি… সমস্ত কাজটাই হয়েছে অভিজিৎ এর তত্ত্বাবধানে..বাড়িতে বসে . একদম নতুন ভাবনার ভিডিওগ্রাফি ও গানের দৃশ্যায়ান হয়েছে “ফেরার গান” এ… সৌম্যদীপ হালদার গানটির মিউজিক দিয়েছেন…. বাংলাদেশের সমস্ত মোবাইল কোম্পানির কলার টিউন এ “ফেয়ার গান ” এর কোড এসে গ্যাছে.. প্রত্যেকেই অসম্ভব চেষ্টা করেছে তাদের সেরাটা দিতে…. শ্রোতা ভক্তদের ভালোবাসাই শিল্পীর গ্রহনযোগ্যতা… বেঁচে থাকা… তাই ফেরার গান হয়ে উঠুক আমাদের গান.. ফেরার.. গান… ষ্টুডিও জয়া কে অসংখ্য ধন্যবাদ দু দেশের ফেরার গল্পটা বলার জন্য… রাজন সাহা কে বিশেষ ধন্যবাদ এই সেতু টা রচনার জন্য…..
অভিজিৎ এর ভাবনা, গল্পের বিন্যাস অনুযায়ী যতটা সম্ভব স্বর্ণাভ দাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভিডিওটির এডিট ও কালার কারেকশন এর কাজটি করেছে… প্রত্যেকের স্বপ্নের প্রজেক্ট এই “ফেরার গান”.. এবং বাড়িতে বসে কাজ করাটা খুব একটা সহজ ব্যাপার ছিলো না… ডি ও পি এর কাজটি করেছে শিবাশীষ ও মিলন..ফেরার গান, ঘরে ফেরার কথা বলে… গানের নিজস্বতা ও স্বকীয়তা শিল্পীর জাত চিনিয়ে দেয়…
(গানের লিংকটি নিচে দিয়ে দেয়া হলো )