ড: পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা ,২৫.০৭.২০২০
আপনার শিশু ও তাকে নিয়ে ভেবে দেখার মনে রাখার বিষয়
●প্রতিটি শিশু আলাদা।আচার আচরণ শৈলী ও যোগ্যতাতে।তাদের ঠিকঠাক বিকাশ চাইলে,তাদের সমগ্রতা, ভালোবাসার জায়গাগুলো আগে জেনে নিতে হবে।যার ক্রিকেটার হওয়ার কথা সে ব্যবসায়ী হতে পারবে না।
●অনেক শিশুর একাধিক ব্যাপারে আকর্ষণ এবং বড় হওয়ার যোগ্যতা থাকে।
তার মধ্যে একটা পেটের খোরাক আর একটা মনের, এটা হতেই পারে এবং হওয়া কাঙ্খিত।ভালোলাগাকে মানুষ তখনই নারচার করতে পারে যখন সে আর্থিক ভাবে সে স্বচ্ছল হয়;মনে রাখতে হবে।
●কাজের ফাঁকে ফাঁকে শিশুকে ‘কোয়ালিটি সময়’ দেওয়া বলে কিছু হয় না।ওটা সোনার পাথর বাটি।আপনি যে শিশুকে ভালোবাসেন তা আপনার আচরণে ও তার বোধে সে বুঝুক এটাই কাম্য।
●প্রতিদিন কাজ থেকে ফেরার সময় তার জন্য নতুন নতুন খেলনা নয়,মাঝে মাঝে বই কিনে আনুন।ছোটবেলা থেকে পড়ার অভ্যাস শিশুর সুস্থ ভাবনার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটায়।
●প্রতিটি আচরণের নিজের মতো করে ব্যাখ্যা চায় শিশু।ব্যাখ্যা তাকে দিতে হবে।কৌতূহল অবদমিত হলে তার ভাবনার বিকৃতি আসতে পারে।
●কিছু ঘটনা শিশু শিশু বয়সে যুক্তি দিয়ে মেলাতে না পারলেও স্মৃতিতে রেখে দেয় এবং বড় হয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার করে গোপনে।সুতরাং চেষ্টায় থাকবেন শিশুকালে তার সামনে ঘটা তুচছাতিতুচ্ছ ঘটনাও যেন আপনার তরফ থেকে আব্যাখ্যাত না থাকে।
●শাসন এবং অনুশাসনের বেড়ি বড় সাংঘাতিক বস্তু।তা যেন শিশুর সঙ্গে আপনার বন্ধুত্বকে অপমান না করে।অন্যথা আপনি তার মন মানসিকতা,ভাবনার স্তর টেরই পাবেন না।বড্ড ক্ষতি হয়ে যাবে।গভীর ক্ষত তৈরি হবে।..স্মরণে রাখবেন।
পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়
২৫.০৭.২০২০