
বাহনচালক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিঃশুল্ক কোভিড পরীক্ষা সহ একাধিক দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিল বিএমএস
এম রাজশেখর (৩০ জুলাই ২০):-বাহনচালক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিঃশুল্ক কোভিড পরীক্ষা সহ একাধিক দাবীতে প্রধানমন্ত্রী কাছে স্মারকলিপি দিল ‘ভারতীয় মজদুর সংঘ’ সংক্ষেপে বিএমএস।
বিএমএস-এর সর্বভারতীয় নেতৃত্বের আহ্বানে গত ২৪ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত চলছিল ‘সরকার জাগাও সপ্তাহ’। এই কর্মসূচির অঙ্গ রূপে দেশের প্রত্যেক জেলা থেকে জেলাশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পাঠানো হয়।
কোরোনা আবহে লকডাউনের কারণে জেলাশাসকের কাছে ই-মেল মারফত স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর ভারতীয় মজদুর সংঘ-র উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি লালন ঠাকুর জানান, “সাম্প্রতিক অতীতে সারা দেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভয়াবহ দুর্দশার যে খণ্ড চিত্র উঠে এসেছে তা যথেষ্টই পীড়াদায়ক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের সহায়তার জন্য যেমন আগ্রহ প্রকাশ করেছি তেমনই সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে সমস্ত বাহনচালক বন্ধু এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিঃশুল্ক কোভিড পরীক্ষার দাবী জানিয়েছি।”
বিএমএস উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক বিজয় কুমার জানান, “সপ্তাহ ব্যাপী এই কার্যক্রমে রেল, ডাক, প্রতিরক্ষা, পাটশিল্প, ইস্পাত কারখানা-র মতো সরকারী ও আধা সরকারী সংস্থার সাথে জড়িত কর্মীরা তাঁদের নিজ নিজ দাবিদাওয়া সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলাদা আলাদা দিনে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ আমলা মারফত প্রধানমন্ত্রীর অবগতির জন্য প্রেরণ করেছেন, অন্যদিকে বেসরকারী সংস্থা, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মতো বিভিন্ন সংগঠন, ন্যাশনাল হেল্থ মিশন-এর মতো সরকার অনুমোদিত কর্মীরা আজ নিজ নিজ জেলাশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবিদাওয়া সম্পর্কিত স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।”
‘সরকার জাগাও সপ্তাহ’ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির অন্যতম দুই মুখ ভিক্টর চৌধুরী ও শুভ্র মজুমদার জানান, “দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যেমন আন্তর্জাতিক শ্রম আইনকে উল্লঙ্ঘন করে শ্রমিকদের বাড়তি সময় ধরে খাটানো চলছে, ঠিক তার পাশাপাশি সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে বেড়েছে স্বল্প পারিশ্রমিকে খাটিয়ে নেওয়ার প্রবনতা, কর্মী সংকোচন, সরকারী সংস্থার আংশিক বিলগ্নিকরণ বা সম্পূর্ণ বেসরকারীকরণ-এর মতো ঘটনা। এই সমস্ত কিছুর উপর কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই ‘সরকার জাগাও সপ্তাহ’ পালন করা হয়েছে।”