আনুগত্যের দাস না দাসের আনুগত্য
ড:পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় , কলকাতা, ০৯ অগাস্ট ২০২০:
আপনি কি কোনো রঙের ধামা ধরা? কোনো গোষ্ঠীর অনুগত? বিচার বিবেচনা সম্পন্ন পরিণত সচেতন মানুষ হওয়া সত্ত্বেও অকারণে অন্ধের মতো কোনো মতবাদকে বিশ্বাস করে তার পাশে দাঁড়ান?
এসব করুন।আপনার অধিকারে করুন।ক্ষতি নেই।কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আপনি একজন সচেতন নাগরিকও তো? নিজের হকের নাগরিক অধিকারগুলো বুঝে নেন তো? আপনি ভোট দেন,আপনি ট্যাক্স দেন,আপনি আইন-শৃঙ্খলা মানেন।সুতরাং নিজের সাধ্যে ও যোগ্যতায় খেয়ে পরে মাথা গুঁজে নিরূপদ্রবে দেশে বাস করবেন,এ চাহিদার মধ্যে অন্যায় বা আপত্তির কিছু নেই।
আমরা এই ব্যাপারটা এখন ভুলতে বসেছি।আমাদের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক পরিকাঠামোতে দেশে দুটো নির্দিষ্ট শ্ৰেণী।ভোটার ও ভোটপ্রার্থী।যাঁরা ভোটার তাঁদের চেতনাকে যাই থাকুক না কেন,কার্যক্ষেত্রে তাঁদের নিরপেক্ষ হতে হবে।রং বা গোষ্ঠীর প্ৰতি দুর্বলতাকে আমল না দিয়ে দেশের সামগ্রিক ভালোমন্দের বিচার করে যোগ্যতম প্রার্থীকেই নির্বাচিত করতে হবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।অন্যথা নাগরিকত্বের মর্যাদা থাকবে না।আপনার শিবির প্রীতি শাসন ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও ফাঁকফোকর তৈরি করবে, এবং তা হবে আপনার দোষে।
আপনার বিশ্বাস আপনার থাক।অন্যের বিশ্বাসও অন্যের।চাপিয়ে দেওয়া নয়।গা-জোয়ারি নয়। অন্ধ সমর্থন নয়। গণতন্ত্রে নাগরিকের অধিকারই আল্টিমেট।তাঁরাই শেষ কথা বলেন।জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের হয়ে কথা বলবেন,এটাই স্বাভাবিক।মনে রাখবেন।প্রকৃত সভ্য দেশগুলিতে এমনই হয়।আমাদের দেশেও না হওয়ার কোনো কারণ নেই।ভাবুন।শুভবুদ্ধির উন্মেষ হোক।
●●●●●●●●●●●●●●●
পলাশ_বন্দ্যোপাধ্যায়
০৯.০৮.২০২০