আজকের একলব্য ও মহান ভারতের মহাভারত
ড:পলাশ বন্দোপাধ্যায় ,কলকাতা , ১ অক্টোবর ২০২০
নাগরিক চাহিদা,নাগরিক অধিকারবোধ এবং মৌলিক অধিকারের বঞ্চনা নিয়ে রাষ্ট্রের প্ৰতি আমাদের অনেক ক্ষোভ,এবং অভিযোগ।রাষ্ট্রব্যবস্থার প্ৰতি আমাদের সীমাহীন অনাস্থা।তার থেকে বিদ্রোহ,ও আন্দোলন।
এসব হওয়া বা করা দোষের নয়।তবে তার সাথে আমরা যেন নিজেদের নাগরিক কর্তব্যগুলোও মনে রাখি।তা পালনে উদাসীনতা,অনীহা না দেখাই।মাথায় রাখবেন,রাস্তায় জ্যাম না চাইলে বদলে আমাদেরও ট্র্যাফিক আইন মেনে চলতে হবে।ওভারটেকের।প্রবণতা ছেড়ে লেন ড্রাইভিং করতে হবে।দূষণহীন পরিবেশ চাইলে দূষণ যুক্ত গাড়ি চালালে চলবে না।অনিয়ন্ত্রিত বেআইনি কলকারখানা নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।প্ৰশ্বাসের বাতাসে অক্সিজেন পেতে হলে গাছ লাগানো ,সাথে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে।শব্দদূষণে বিরক্তি প্রকাশ করার আগে সামাজিক অনুষ্ঠানে শব্দবাজি পোড়ানো ও প্রচন্ড শব্দে মাইক চালানো বন্ধ করতে হবে।হর্ন দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
মশা মাছির জন্য কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যালিটি অথবা পঞ্চায়েতকে দোষ দেওয়ার আগে বাড়ির ময়লা যত্রতত্র ফেললে চলবে না।জল জমিয়ে রাখলে চলবে না।অতি বর্ষণ স্যানিটেশন সিস্টেমের গন্ডগোল করে রাস্তাঘাটে নোংরা জল জমালে বিরক্ত হওয়ার আগে যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলা বন্ধ করতে হবে।সাবওয়ে বা রাস্তায় পানের পিক ফেলা বা পান মশলার প্যাকেট ফেলা বন্ধ করে তারপর ,রাস্তা পরিষ্কার নয় কেন ,এ অভিযোগ করতে হবে।নিজের ট্যাক্সটা ফাঁকি দিলে চলবে না।
সরকারি বা বেসরকারি কাজে ঠিক পরিষেবা না পাওয়ার কমপ্লেন করার আগে ঘুষ দেওয়া ঘুষ নেওয়ার সংস্কৃতি ছাড়তে হবে।নিজের কাজটাও ঠিক মতো করতে হবে।চিকিৎসার ফল ভালো পেতে হলে ওষুধ খাওয়া ছাড়াও সেই সংক্রান্ত বিধিনিষেধ গুলো মানতে হবে।দোকান থেকে ওষুধ কিনে খেলে হবে না।পরীক্ষায় পাশ করতে গেলে ব্যাকডোরের কথা চিন্তা না করে টোকাটুকির চিন্তা না করে বদলে পড়াশোনাটা করতে হবে।শ্রদ্ধা পেতে গেলে শ্রদ্ধা করাটা শিখতে হবে।অসভ্যতায় রাগ করার আগে নিজেদের আগে সভ্য হতে হবে।
একটি দেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ততখানিই স্বচ্ছ এবং সঠিক যতখানি সঠিক সে দেশের আম নাগরিক।
এ নিয়মের কোনো ব্যতিক্রম নেই।উন্নত সুন্দর ও সভ্য দেশ হওয়ার অন্য কোনো শর্টকাট ফর্মুলা নেই। প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তি কোনোটাই একমুখী নয়।