৪টি রাজ্যে সাফল্যের সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকাকরণের মহড়া
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক গতকাল ও আজ আসাম, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও গুজরাট – এই ৪টি রাজ্যে কোভিড-১৯ টিকাকরণের পূর্বে দু’দিনের এক মহড়া কর্মসূচির আয়োজন করে। সর্বজনীন টিকাকরণ কর্মসূচির অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে এবং অন্যান্য রোগের টিকাকরণে দেশব্যাপী সাফল্যের প্রেক্ষিতে এই মহড়া অভিযানে প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যাঁদের কোভিড-১৯ টিকাকরণ করা হবে, সেই সমস্ত শ্রেণীর মানুষের ব্যাপারে বয়স-ভিত্তিক টিকাকরণের মহড়া পরিচালিত হয়। স্থির হয়েছে যে, স্বাস্থ্য কর্মী, অগ্রভাগে থাকা কর্মী এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই মহড়া অভিযানের উদ্দেশ্যই ছিল কোভিড-১৯ টিকাকরণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়ায় সমন্বয় বজায় রাখা। এজন্য প্রয়োজনীয় টিকাকরণ কেন্দ্র, টিকাকরণ কেন্দ্রের মানচিত্র নির্মাণ, স্বাস্থ্য কর্মীদের বিভিন্ন তথ্য নথিবদ্ধ, টিকা হাতে পাওয়ার পর তার প্রাপ্তি স্বীকার, জেলা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে টিকা বন্টন, পর্যায়ক্রমে টিকাকরণের পরিকল্পনা, টিকাকরণ দল মোতায়েন, টিকাকরণ কেন্দ্রে টিকা পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত, টিকা দেওয়ার নকল অভিযান এবং ব্লক, জেলা ও রাজ্যস্তরে পর্যালোচনা বৈঠক আয়োজন রয়েছে।
প্রকৃত টিকাকরণের পূর্বে তথ্য প্রযুক্তির প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে টিকাকরণ পদ্ধতি রূপায়ণের কার্যকরিতা যাচাই করে দেখা হয় এই মহড়া অভিযানে। জেলাশাসকদের পাশাপাশি, জেলা ও ব্লকস্তরীয় কর্মসমিতিগুলিকে এই মহড়া অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।এ ধরনের মহড়া আয়োজনের ক্ষেত্রে কোথায় কি ধরনের ঘাটতি বা বাধা-বিপত্তি রয়েছে, সে সম্পর্কে অবগত হওয়া সম্ভব হয়েছে, যাতে প্রকৃত টিকাকরণের সময় এ ধরনের বিপত্তিগুলি দূর করা যায়। দু’দিনের এই মহড়া-টিকাকরণ কর্মসূচি অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলা, গুজরাটের রাজকোট ও গান্ধীনগর জেলা, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা ও শহীদ ভগৎ সিং নগর এবং আসামে সনিতপুর ও নলবাড়ি জেলায় পরিচালিত হয়।
জেলা প্রশাসন এই মহড়া টিকাকরণ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট দল গঠন করে, যাতে উপভোক্তাদের তথ্য আপলোড করা যায়, উপযুক্ত টিকাকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা যায়, কি পরিমাণে টিকা বন্টন করা হয়েছে, তা লিপিবদ্ধ করা যায়, এমনকি টিকা দানকারী ও সুবিধাভোগীদের বিস্তারিত তথ্য রেকর্ড করে রাখা যায়। মহড়ার প্রথম দিনের বিভিন্ন তথ্য পরদিন অর্থাৎ ২৯শে ডিসেম্বর পর্যালোচনা করে দেখা হয়। রাজ্য ও জেলাস্তরীয় মহড়া কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের সঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক যুগ্মসচিব ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দু’দিনের মহড়ার বিভিন্ন খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখেন। যে ৪টি রাজ্যে মহড়া-টিকাকরণ কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে সমগ্র প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এমনকি, তথ্য প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টিকাকরণের বিভিন্ন দিক আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় মতামত ও পরামর্শ সংগ্রহ করা হয়। এই মহড়া কর্মসূচির ফলে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রকৃত টিকাকরণ আরও সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।