বাদল সরকারের নাটকে নবীন পরিচালকের – ‘শহরের উপকথা ‘
সম্প্রতি শুটিং শেষ করলো বাংলা ছবি ‘শহরের উপকথা ‘ নবীন পরিচালক বাপ্পা, এটি তার প্রথম ছবি।বাদল সরকারের নাটক “বাকি ইতিহাস” থেকে এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন বাংলাদেশের জাতীয়পুরষ্কার প্রাপ্ত স্ক্রিপ্ট রাইটার আসরাফ শিশির ।
১৯৬৫ সালে বাদল সরকারের লেখা এই নাটকটি ২০২১ এও প্রাসঙ্গিক করে তোলার কঠিন কাজটি করেছেন পরিচালক বাপ্পা। বাপ্পা আশাবাদী, যে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এইরকম ছবির প্রয়োজনীয়তা বেশ প্রাসঙ্গিক, একদম অন্যধারার এই ছবি ।প্রথম ছবিতেই এমন এক জটিল গল্প নিয়ে কাজ করার সাহসীকতাকে সাধুবাদ জানাতেই হয় ।
আর সাধুবাদ জানাতেই হয় ‘শহরের উপকথা ‘ ছবির প্রযোজকদের । শ্রী কৃষ্ণ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মস , ও সহ প্রযোজনা রক্ষিত’স এন্ড সন্স প্রোডাকশান, ফুড পার্টনার- ওয়াই ওয়াই।
এই পরিস্থিতিতেও যে প্রযোজকরা এগিয়ে এসেছেন তারজন্য তাদের কে অনেক ধন্যবাদ ।
তার প্রথম ছবি ‘শহরের উপকথা ‘নিয়ে পরিচালক বাপ্পা জানিয়েছেন
“আমি কেন বাদল সরকারের নাটক “বাকি ইতিহাস” নিয়ে ছবি তৈরী করলাম…. মূলত নাটকটি লেখা হয়েছে ১৯৬৫ সালে কিন্তু আজ ২০২১ -এও খুবই প্রাসঙ্গিক। সামাজিক অবক্ষয়ের গল্প এটি। আমাদের জীবনে নিজেদের প্রতিদিনের রুটিং এর বাইরেও অনেক কিছুই ঘটে চলেছে। ঘটে যাওয়া নানা অন্যায়ে, আমরা শুধুই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ বা আমাদের কিছুই করার নেই বলে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছি ।
শুধু নিজেদের সার্থসিদ্ধির জন্য দৈনন্দীন জীবনযাত্রার বাইরেও যে সকল কর্মকাণ্ড সমাজ কে অবলীলায় ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তার বীরুদ্ধে কিছুই করার নেই আমাদের? সেই কথাই বলে এই গল্প। ইকোনোমিকাল ও সেক্সচুয়াল ক্রাইসিসের মধ্যে থেকে মানুষ প্রতিদিন নিজেদের মৃত্যুর পথ সুপ্রসস্থ করছে, আর তাই নিজেদের বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যকে কোথাও ভুলে গিয়ে বেঁচে থাকছে অর্থাৎ মরে বেঁচে আছে,তাই যদি বেঁচে থাকতে হয়ে তাহলে বাঁচার মতো করে বাঁচব, না হলে মরে যাব……মূলত মানুষের কঠিন বিবেককে আয়নার মত করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই ছবি বানানো সফল হবে তখনই যখন দর্শক এই সত্যিটার সম্মুখীন হবে।মহাভারতে নিশাদ আর তার সন্তানদের পুড়িয়ে হত্যা করা থেকে সিরিয়ার ক্ষুধার্ত লক্ষ লক্ষ শিশুর যন্ত্রণা আজ কঠিন বাস্তব! এটাই গোটা পৃথিবীর বাকি ইতিহাস…
এই ছবিতে কাজ করেছেন জয় সেনগুপ্ত, রাহুল ব্যানার্জি, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, অনিন্দ্য ব্যানার্জি, শুভাশিস মুখার্জি, বাসবদত্তা চ্যাটার্জি, রজত গাঙ্গুলি, লামা হালদার, প্রদীপ ভট্টাচার্য, দেবরঞ্জন নাগ, সন্দীপ মন্ডল, অরিত্র দত্ত, অর্পণ বসু শুভাশিস ব্যানার্জি , প্রমূখ।এইরকম বড় মাপের সমস্ত শিল্পিদের একইসাথে একই ছবিতে আমরা পেয়েছি। অবশ্যই একটা অন্যরকম ছবি হতে চলেছে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।বর্তমানে ছবির পোস্ট প্রোডাকশান চলছে। জোর কদমে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানোর পর রয়েছে এই ছবির বানিজ্যিক মুক্তির পরিকল্পনা।”
বাপ্পার মত নতুন যুব নির্দেশক আগামী দিনে আরও সাহসিক কাজ করে বাংলা ছবিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই অতিমারীর সময়েও সেই আশা করাই যায়।