বাংলাদেশের কুষ্টিয়া অঞ্চলের সাগরখালী নদীকে গানের সুরে অমর করলেন প্রদীপ বসাক
বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়া অঞ্চলের আমলাসদরপুর অঞ্চলের প্রাণের পরশ । দেশভাগের যন্ত্রনা বুকে নিয়ে রেবন্ত গোস্বামী ছেড়ে এসেছিলেন তাঁর প্রাণের পরশ , উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত এই নদী আদতে পদ্মার শাখা, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ভেড়ামারা অঞ্চলের থেকে যার শুরু। শৈশবের সেই সোনালী দিনগুলিকে মনে রেখে “সাগরখালী” কে নিয়ে লিখলেন কবিতা । ছাপা হলো সন্দেশে কয়েক বছর আগে ।
কিন্তু যে দেশ মাটি তার প্রতিটা স্বাসে জড়িয়ে শুধু কবিতায় মন কি ভরে ? যোগাযোগ হলো রবীন্দভারতীর প্রাক্তনী সুরকার গায়ক প্রদীপ বসাকের সাথে । প্রদীপ বাবু ফোক সং নিয়ে প্রচুর কাজ করেছেন, তাঁর সুরের পরশ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত পেয়ে থাকেন বিভিন্ন চার্চ , বেলুড়মঠ সহ নানা প্রতিষ্ঠান । সলিল চৌধুরীর অমর সুর কে আশ্রয় করে নিজের মতো সাজালেন সাগর খালির এই গান । কিন্তু তার সাথে গাইবে কে , লোকডাউন চলছে , কারো সাথে যোগাযোগ করা যাবে না ।
চিন্তায় পড়লেন সুরকার ও গীতিকার এমন সময় মিউজিক অর্র্যাঞ্জমেন্ট করবেন বলে এগিয়ে এলেন গোস্বামী বাবুর পরিবারের সেতু গোস্বামী । তার সুযোগ্য হাতে সুর পেলে আকার । কিন্তু গায়িকা কে হবেন ? প্রদীপ বাবু বললেন, আগে আমার সুরে খ্রীষ্টীয় ভক্তিগীতিতে গেয়েছেন – জটিলেশ্বর মুখার্জি ‘নির্মলা মিশ্র, বনশ্রী সেনগুপ্ত, অরিন্দম গাঙ্গুলী, ধীরেন বসু, সৈকত মিত্র, দেবারতি সোম ও আরও অনেকে। কিন্তু এই গান কাকে দেবেন ।
প্রদীপ বাবুর মনে পড়লো অসম্ভব প্রতিভাময়ী তাঁর সহপাঠিনী মধুমিতা সেনের কথা । যেমন ভাবা তেমনি কাজ । গায়িকা এক কোথায় রাজি । ঝুমুর , ভাটিয়ালি,চট্কা ,গোয়ালপুরিয়া সহ নানা ফোক ধারায় অনায়াস বিচরণ । শিক্ষার শুরু ক্লাসিকাল দিয়ে তারপর MA মিউজিক রবীন্দ্র ভাড়াটি থেকে । স্বাভাবিক ভাবে মাটির গান মধুমিতা কে টানবেই । থিয়েটার ও নাটকে হাত পাকানও থেকে অভিনয়ের এক সুন্দর মিশ্রণ হয় তাঁর গানে ।
শুরু হলো রেকর্ডিং, লোকডাউনের ভ্রুকুটি এড়িয়ে তৈরী হলো সাগরখালী ।বাংলা নববর্ষে শিল্পীদের তরফ থেকে একটুকরো ভালোবাসার এই উপস্থাপনা সকলের সাথে ভাগ করে নিলাম ।
শ্রোতাদের জন্য গানের ইউটুবের লিংক এখানে দেয়া হলো ।