জীবনের গল্প গুলো বড্ডো অন্য রকম..কখনো সাদামাটা কখনো তামাটে আলোর মতো ধোঁয়াটে সমবেদনা..
অক্ষরের সুতোয় মলাটের ইতিহাস বরাবর অহংকারের পরাজয় মেনে নেয়.. গল্পের সিঁড়ি সিরিয়ালের শাশুড়ি বৌ এর ঝগড়ার মতোই, কোনো ভাবেই ফুরাতে চায় না…
কিন্তু এতে কি “দৃষ্টিকোণ ” পাল্টায় !!
এক কথায় বললে, না…
তবে ভাবনার নিরিখে “দৃষ্টিকোণ ” পাল্টানো সম্ভব..
এই ব্যস্ততার কেবিন ঘরের জীবনেও দৃষ্টিকোন পাল্টে পাল্টে যায়… যদি দেখার মতো চোখ আর ভাবনার মতো গোচর থাকে..
দশটা পাঁচটার এই অন লাইনের জীবনে সব চেয়ে বেশি কোনঠাসা হয়ে পড়ছে আমাদের সন্তানেরা..
খেলার মাঠ যবে থেকে গুগুল হয়ে উঠেছে ঠিক তবে থেকে শৈশব চুরি হয়ে গ্যাছে আমাদের জীবন থেকে..
হাজারো হোমটাস্কের ভীড়, ফার্স্ট হতেই হবে নইলে সোসাইটিতে মিসেস সেনের কাছে মুখ দেখাতে পারবো না বা মুখার্জ্জীদার বৌ এই নিয়ে হোয়াটস্যাপ এ স্ট্যাটাস দেবে…. এই সব ভাবনা আমাদের সমস্ত বিবেক মূল্যবোধ কে অনেক দিন আগেই শেষ করে দিয়েছে..
তাহলে পরে রইলো, কি !!
হ্যাঁ, রইলো সাগরিকা মুখোপাধ্যায়ের লেখায় কৌস্তভ ও শুভজিৎ এর পরিচালনায় ছবি হিসেবে ছোট কিন্তু মূল্যবোধের মূল্যায়নে বড় ” দৃষ্টিকোণ “
কোটি টাকার ছবি বানিয়েছেন কৌস্তভ, শুভজিৎ, সাগরিকার টিম.. গল্পের বুনন, ডায়লগ (কিছু অংশ বাদ দিলে ) বেশ মন ছোঁয়া..
প্রত্যেকেই যথাযত কিন্তু আলাদা করে বলবো, গিনির কথা…. ও সত্যিই গিনি….ভিতরের যন্ত্রনাকে অদ্ভূত ভাবে চোখেমুখে ফুঁটিয়ে তুলেছে…দাগ ভালো… সেটা অল্প হলে ক্ষতি নেই… পরের লেখায় সেই দাগ আর চোখে পরে না যদি সাদা পৃষ্ঠায় বেঁচে ওঠে লেখা… লেখাই তো সব দাগ মুছিয়ে দেয়…
কেনো যে সব্বার বাবা, গিনির মতো হয় না !!
কৌস্তভদের কাছে আছে এমনই সব আধুনিক ভাবনাস্ত্র যা দিয়ে হয়তো একদিন এই মেকি গুগল দুনিয়ার প্লাস্টিক উধাও হবে…
শুধু ঘর ভর্তি আগামীর তারার ডেস্কে জেগে উঠবে আধুনিক কবিতার সম্ভাবনা..
@অভিজিৎ পাল