অসহিষ্ণুতার রাজনীতি, অবিবেচক প্রশাসন – খেলার গুটি হতভাগ্য জনগণ
রাজ্যের চার মন্ত্রী বিধায়ক সিবিআই দ্বারা গ্রেপ্তার । দুর্নীতি করলে গ্রেপ্তার ও শাস্তি প্রাপ্য এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত থাকতে পারেনা । কিন্তু প্রশ্ন হলো এখন কেন?
আসুন দেখা যাক আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি ও মত, যা আমি মতপ্রকাশের ব্যক্তি স্বাধীনতার অধীন প্রকাশ করছি।
এই চারজন সহ আরো অনেকে শুধু আজ নয়, বেশ কিছু বছর ধরেই সন্দেহ তালিকায় এবং এনারা অপরাধী কি অপরাধী নয়, তা আদালতের বিচারে ঠিক হবে । যদি গেরেপ্তার করা হলো, তবে ইলেক্শন শুরুর আগে বা চলাকালীন কেন করা হলো না?
কেন বিচারে সকল অভিযুক্তকে এক আসনে বসানো হবে না? রং দেখে ঢং করা আইনের জন্য বিপদজনক ।
কেন কোভিড লকডাউন পরিস্থিতিতে এই গ্রেপ্তার করে, জন বিক্ষোভের কারণে করোনার সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে?
রাজ্যপাল নিজে আইনজীবী তিনি বিধানসভার স্পীকারকে এড়িয়ে কেন অতিসক্রিয় হলেন? যদি স্পীকার না বলতেন, তবে তিনি অনুমতি দিতেন, সে ক্ষেত্রে কেউ কোনো অভিযোগ করতে পারতেন না?
এমন নয় যে এদের গ্রেপ্তার ফলে বাংলার করোনা চলে যাবে ও আর্থিক উন্নতি হয়ে যাবে ।
অবশ্যই দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক, কিন্তু তার জন্য বৃহত্তর জনমানুষকে বিপদে কেন ফেলা হচ্ছে? যে জন বিস্ফোরণ হচ্ছে আমি নিশ্চিত, সংক্রমণ বেড়ে যাবে ও লকডাউন বাড়াতে হবে, মানুষ পরবে আরো বিপদে । কোরোনা যদিও ছেড়ে দেয়, ক্ষুধায় মরবে ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের মতো ।
কোনো অবস্থায় ল এন্ড অর্ডার হাতের বাইরে চলে গেলে, কারো জন্যই তা শুভ ফল দেবে না । শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মানুষের অধিকার, কিন্তু মানুষের জীবন ও সম্পদের বিনিময়ে নয় ।
আজ নেতাদের গ্রেপ্তার এ যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তা করোনার চতুর্থ ওয়েভ নিয়ে আসবে সরাসরি, এটা কি দেশের প্রশাসন জানেন না? কেন্দ্র রাজ্য সমান দায়ী থাকবে অতিরিক্ত মৃত্যুর জন্য ।
দুর্নীতি দমনের সঠিক সিদ্ধান্ত, কিন্তু ভুল টাইমিং, কেউ আইনের উর্ধে নয়, আবার আইন মানুষের জন্য, সুস্থ্য জীবনের জন্য । জনবিরোধী কাজ তা আইন সিদ্ধ ছিল ব্রিটিশ সরকারের আমলে, সেই একই কাজ স্বাধীন ভারতে কিন্তু জনমনে বিরূপ মনোভাব প্রভাব ফেলবে। যা গনবিক্ষোভকে ও বিদেশী শত্রুদের উৎসাহী করবে ভারতের ক্ষতি করার জন্য ।
দেশে ইমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার করে সব রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার সাসপেন্ড করে, সেনার অধীন রাষ্ট্রপতি শাসন হোক, এমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার হোক ।
প্যান্ডেমিক কমলে আবার সরকার চালু হোক রাজ্য ও কেন্দ্রে, এর ফলে মোটা দাগের রাজনীতি বন্ধ হোক আর মানুষ বাঁচুক ।
পরীক্ষা বন্ধ, রোজগার বন্ধ আর অপদার্থের রাজনীতি, যা রাজ্য ও দেশ দুই এর অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে ।
সুস্থ্য দেশ গড়ার জন্য আপনাদের সকলকে নির্বাচিত করেছি, দেশকে বাঁচানোর শপথ নিয়ে অর্বাচীনের আচরণ কাম্য নয় । মানুষের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ হোক।
এখন দেশ বিপন্ন সকলে সংযত হন, প্রতিবাদ হোক বা প্রতিরোধ, কিন্তু স্বাস্থ্য বিধি দয়া করে মেনে করুন । অসি নয় মশির যুদ্ধ চলুক, শিক্ষার অঙ্গনে শিক্ষিতের লড়াই হোক।
আপনাদের সকলের বিবেক জাগ্রত হোক।