ধান সংগ্রহের পরিমাণ সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছেছে, গত বছরের রেকর্ড এবার ছাপিয়ে গেছে
নতুন দিল্লি, ৫ জুন, ২০২১
চলতি ২০২১-২২-এ রবি বিপণন মরশুমে বিভিন্ন রাজ্য থেকে গতবারের মত এবারও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে গম সংগ্রহ সুষ্ঠু ভাবে এগিয়ে চলেছে। গতকাল পর্যন্ত সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১৩ লক্ষ ৯১ হাজার মেট্রিক টন, যা সর্বকালীন রেকর্ড। এমনকি, ২০২০-২১ রবি বিপণন মরশুমে সংগৃহীত গমের পরিমাণকেও এবার অতিক্রম করেছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৫ লক্ষ ৬ হাজার কৃষক এই গম সংগ্রহ থেকে লাভবান হয়েছেন। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে এবার ৮১ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকার বেশি গম সংগ্রহ করা হয়েছে।
২০২০-২১ খরিফ মরশুমে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। গতকাল পর্যন্ত খরিফ ও রবি মরশুম মিলিয়ে ৮ কোটি ৫ লক্ষ ২১ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলে, ১ কোটি ১৯ লক্ষের বেশি কৃষক লাভবান হয়েছেন। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ২২ হাজার টাকার বেশি ধান সংগ্রহ করা হয়েছে, যা সর্বকালীন রেকর্ড এবং গতবারের তুলনায় বেশি।
বিভিন্ন রাজ্যের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে ২০২০-২১ খরিফ বিপণন মরশুম এবং ২০২১-এর গ্রীষ্মকালীন মরশুম থেকে ১ কোটি ৭ লক্ষ ৮১ হাজার মেট্রিক টন ডাল শস্য ও তৈলবীজ সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই খাদ্যশস্য তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, হরিয়ানা, ওড়িশা প্রভৃতি রাজ্য থেকে মূল্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সংগ্রহ করা হবে। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং কেরালা থেকে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার মেট্রিক টন কোপরা সংগ্রহের অনুমতি মিলেছে।
নোডাল এজেন্সিগুলির মাধ্যমে সরকার গতকাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৯২৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ৭ লক্ষ ৫১ হাজার ২৭৯ টনের বেশি মুগ, উরাদ, অড়হর, ছোলা, মুশুর, সর্ষে এবং সয়াবিন সংগ্রহ করেছে। এর ফলে, ৪ লক্ষ ৪৩ হাজারের বেশি কৃষক লাভবান হয়েছেন।
বাজারে ডাল শস্য ও সর্ষে এসে পৌঁছোনোর সঙ্গে সঙ্গে তা সংগ্রহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।