সরমা’র সুযোগ্য সন্তান
ডাঃ রঘুপতি সারেঙ্গী
বহুরূপী করোনা তার রূপ যতোই বদল করছে……
আলফা থেকে বিটা, বিটা তেকে গামা,এখন আবার ডেলটা LOCK-DOWN ও তালে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলেছে বিশ্বজুড়েই। এর শেষ কবে, কেই বা আর সঠিক করে বলতে পারে!
সারাটি পৃথিবী জুড়ে আর্থিক মন্দার করুণ পরিণতি।
মানুষের প্রান যাচ্ছে। বহু চাকুরের চাকুরী গেছে। বহু কল-কারখানা বন্ধ হওয়ায় শ্রমিক শ্রেনী’র কাজ গেছে। চাষি ফসল বলাতে ব্যর্থ হচ্ছে। বাজারে আগুন লেগেছে। মধ্যবিত্তের পকেটে উত্তরোত্তর টান বাড়ছে। দিশেহারা মানুষ ছুটছে হাসপাতালে একটু অক্সিজেন পাবার আশায়। কখনো, ভোর চার’টের সেই ব্রাহ্ম-মুহূর্তে উঠে পড়ছে….. না, কোনো যোগ অভ্যাসের জন্য নয়, নামাজের টানেও নয়….. বরং বলা ভালো কোভিসিল্ডের প্রেমে। কষ্ট তো হচ্ছেই কিন্তু এতো সবের পরেও, আন্ততঃ এই লিখা পর্যন্ত,না-খেয়ে মরা মানুষের সংখ্যা কিন্তু হাতে গোনা !
দূর্দিন যতোই প্রবল হোক মানুষের কাছে রয়েছে তার পরিবার- পরিজন। প্রতিবেশী। পাড়ার ক্লাব থেকে শুরু করে কতো মানব-দরদী সংগঠন।
রয়েছে সরকার। রয়েছে RBI । ইউনিসেফ এর মতো আন্তর্জাতিক সব সংস্থা!
অথচ ঘোড়ার ঠিক পরেই যার সাথে মানবকুলের সেই আদিম কালের ঘনিষ্ঠতা…… সুখে-দুঃখে, নিঃস্বার্থে পাশে থাকা ….সেই সারমেয় দের কথা আমরা সত্যিই কী ভুলে যাব ? হাতে একটা প্লাসটিকের প্যাকেট দেখলেই যারা করুণ চোখে হাউ-হাউ করে দৌড়ে আসে…. তাদের কী শুধু দু’টো লাকড়ির ঘা ই প্রাপ্য ? বসুন্ধরা যে কেবলই বীরদের ভোগ্যা নয়…. সেই শিক্ষাটুকু দিতেই তো এসেছে করোণা ! এই সহজ সত্যটুকু বুঝতে আমাদের আরও কতদিন লাগবে ?
যে ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি’র জন্য আমরা গর্ব অনুভব করি সে কী বলে জানেন ? জগৎ সৃষ্টি করার পরে, প্রজাপতি ব্রহ্মা তাঁর এই সৃষ্টিকে রক্ষা করতে প্রজার (আবাসিক) সংখ্যা বৃদ্ধিতে স্বয়ং মনযোগী হলেন। একে একে ৪ জন সনৎ কুমার, অসংখ্য গন্ধর্ব, এবং বিভিন্ন মুণী’র জন্ম দিলেন। জন্ম দিয়েই বংশ বৃদ্ধির নির্দেশ।
এদেরই মধ্যে অগ্রগন্য মুণী…..কশ্যপ। কশ্যপের পঞ্চাশ/ষাট জন পত্নী ছিলেন। অদিতি’র গর্ভে দেব-কুল , দিতি’র গর্ভে রাক্ষস-কুল, দনু’র গর্ভ থেকে দানব-কূল, বিনতা’র গর্ভে গরূড় আদি পক্ষীকূল, কদ্রু’র থেকে সর্পকূল আর সরমা’র দেহ থেকে জন্ম নিল কুকুর…..যে জন্য কুকুর এর আর এক নাম ‘সারমেয়’। ?
আমরা, মানুষেরাও এসেছি ঠিক এইভাবে । কোনো না কোনো মুণীকে আশ্রয় করেই।
কাছে হোক্ আর দূরেই হোক্ রক্তের একটা সম্পর্ক না থাকলে…কুকুর আমাদের এতো ভালোবাসে? ইংরেজি ছবি “হাচিকো”…সুযোগ হলে, একবার দেখবেন। মনীব ছিলেন এক অধ্যাপক। দুই মেয়ের বাবা। কলেজ যাওয়ার সময় হলে পোষ্যটি প্রতিদিন মণীবকে ট্রেনে তুলতে যেতো। আসার সময় হলে, একাই স্টেশনে যেত আনতে।
একদিন কলেজেই অধ্যাপক এর Heart-attack হোল। সবাই মিলে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তিনি আর বাড়ি ফিরলেন না।
শেষমেস, নিরাপত্তার কারনে মা-মেয়েরা ওই বাড়ি বিক্রি করে পাশের শহরে নতুন একটি বাড়ি কিনে পোষ্যটিকে ও আদর করে নিয়ে গেল। বাড়িটি খুব সুন্দর । কিন্তু, তাতে কী ? সে যে স্টেশন থেকে অনেকটাই দূরে! ভুল-ক্রমে, যানজটে আটকে পড়লে, অধ্যাপক মশাই ট্রেন থেকে নেমে তাকে দেখতে না পেলে যে পাগল হয়ে যাবেন!
তাই, এরা সবাই নতুন বাড়িতে থাকলেও মৃত্যুর দিন পর্যন্ত পোষ্যটি কিন্তু ওই পুরনো ঘরেই থাকতো। এমন একদিনও হয় নি যেদিন সন্ধ্যায় সে তার মণীব কে আনার জন্য স্টেশনে যায় নি! ওর মৃত্যুর পরে স্থানীয় মানুষ-জন মিলে পোষ্যটির একটি ব্রোনজ্ এর স্ট্যাচূ বানিয়ে স্টেশন চত্বরে রেখেছেন। সিনেমাটি নাকি এক নির্মম সত্যের ওপর আধারিত।
মহাভারতে, স্বর্গারোহন এর পথে, একে-একে সহদেব, নকুল, অর্জূন, দ্রৌপদী লুটিয়ে পড়ছেন। তখনও বেঁচে যুধিষ্ঠীর মহারাজ। স্বর্গেরাজ্যে পৌঁছেও দ্বারে আটকে পড়লেন। উভয়পক্ষে বাদানুবাদ চললেও প্রবেশ এর অধিকার মিলছে না।
অপরাধ ?…..সেই পোষ্য, প্রাণের এক সারমেয়।
মহারাজ বলেই বসলেন, সারাটি জীবন যে আমার সঙ্গ ছাড়েনি,স্বর্গের পথে আমি তা’র সঙ্গ ছাড়লে…. তো অধর্ম হবে। এমন স্বর্গ আমি চাই না….বলেই মর্ত্যের অভিমুখে যাত্রা শুরু। পরবর্তী ঘটনা-প্রবাহ দীর্ঘ্য।
এবার মানুষের প্রতি এদের কৃতজ্ঞতা এবং দায়বদ্ধতার জীবন্ত এক ঐতিহাসিক উদাহরণ দিয়েই এই লেখার ইতি টানবো।
১৯২৪ সালের ডিসেম্বর মাস। আলাস্কার একটা ছোট্ট শহর…”নোম”। আর্কটিক সার্কেলের দক্ষিণে ১৫০ মাইল দূরে। নভেম্বর থেকে জুলাই মাস অবধি সারা পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। গোটা শহর শীত আসার আগেই প্রয়োজনীয় রসদ জোগাড় করে রাখে কারণ কোনো দরকারে বহির্বিশ্বের কাছে পৌঁছানো একপ্রকার অসম্ভব।
সেই শহরে মাত্র একজনই ডাক্তার, চারজন নার্স আর ২৫ বেডের একটা ছোট হাসপাতাল। ডাক্তার কার্টিস ওয়েলচ সব বন্দোবস্ত করে রেখেছিলেন শুধু মারণ-রোগ ডিপথেরিয়ার ভ্যাকসিনটাই একমাত্র ছিল না। যদিও তার দোষ নেই কারণ উনি আগেই অর্ডার দিয়ে রেখেছিলেন কিন্তু কোনো কারণে বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সেই ভ্যাকসিন নোমে এসে পৌঁছয়নি।
কপাল খারাপ থাকলে যা হয়, সেটাই হলো শেষ পর্যন্ত। ১৯২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সেই সাংঘাতিক মারণ-রোগ থাবা বসালো নোমের শিশুদের ওপর।
কোয়ারেন্টাইন করা সত্ত্বেও জানুয়ারীর শেষে দুটি শিশুর মৃত্যু, ২০টা কনফার্মড কেস আর ৫০টা সম্ভাব্য কেস। ডাক্তার বুঝে গেলেন যে বিপর্যয় আসতে চলেছে আর অচিরেই এই ছোট্ট শহরের ১০০% মানুষের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।
কার্টিস ওয়েলচ টেলিগ্রাম করলেন আলাস্কার অন্য বড়ো শহরে আর আমেরিকার পাবলিক হেল্থ সার্ভিস ডিপার্টমেন্টে। জানা গেল, ভ্যাকসিন আছে কিন্তু মুশকিল হলো নোমে পৌঁছে দেওয়ার উপায় নেই। চারদিক বরফে ঢাকা তার ওপর আর্কটিক রিজিয়ন। জাহাজ চলাচল বন্ধ। প্লেন চালানোও একপ্রকার অসম্ভব কারণ ৫২১ মাইল দূরের ফেয়ারব্যাংকস থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত “water-coooled” প্লেন –৫০ডিগ্রী ফাহরেনহাইটে পরীক্ষিত নয়। তাছাড়া, দিনের আলো থাকে খুব কম সময়..সাথে তুষার ঝড়ের প্রবল আশংকা।
তাহলে উপায় কি? বিনা ভ্যাকসিনে নোমের সমস্ত মানুষ মারা যাবে এইভাবে? তা হয় না।
নেওয়া হলো এক দুঃসাহসিক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
ঠিক করা হলো, আলাস্কার এক শহর “নেনানা”-তে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখান থেকে নোমের লোকেদের ভ্যাকসিন গিয়ে নিয়ে আসতে হবে ৬৭৪ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে। ভ্যাকসিন আনতেও হবে খুব চটপট..দেরি হলে সংক্রমণ গোটা শহর টাকেই গ্রাস করবে। আনার উপায় একমাত্র “স্লেজ-ডগ”। এও এক সাংঘাতিক প্রায়-অসাধ্য প্ল্যান.. বিপদ পদে পদে। মৃত্যু ঘটার সম্ভবনাটাই বেশি।
কিন্তু, নোম কে বাঁচাতে হলে এটাই শেষ ও একমাত্র উপায়। ঠিক করা হলো “রিলে” পদ্ধতিতে কাজটা করতে হবে। ১৫০টি কুকুর আর তাদের ২০জন মালিক/স্লেজ-ড্রাইভার বেছে নেওয়া হলো।
সবথেকে কঠিন পর্যায়ের জন্য বাছা হলো সেরা স্লেজ-ড্রাইভার “লিওনহার্ড সেপ্পালা”কে আর তার টিমের সেরা সাইবেরিয়ান হাসকি “টোগো”কে সেই টিমকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য।
শুরু হলো এক আপাতঃ অসম্ভব দুঃসাহসিক রেস যা ইতিহাসের পাতায় আজও স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে।যার নাম দেওয়া হয়েছে “The Serum Run”।
২৭শে জানুয়ারি,১৯২৫… শুরু হলো রেস।
বিল শ্যানন…ড্যান গ্রীন…জনি ফলজার…স্যাম জোসেফ…টিটুস নিকোলাই…ডেভ কর্নিং…এডগার কালান্ড…হ্যারি পিটকা…বিল ম্যাকারটি…এডগার নলেনার…জর্জ নলেনার…চার্লি এভান্স…টমি প্যাটসন…জ্যাক নিকোলাই…ভিক্টর অন্জিএক…মাইলস গোনাঙ্গনান…হেনরি ইভানফ। এই ১৭ জনের আর তাদের টিমের কুকুরদের হাত ঘুরে ভ্যাকসিন এসে পৌঁছলো “শাকতুলিক” শহরের বাইরে।
ততক্ষণে লিওনহার্ড সেপ্পালা নোম থেকে মরণপণ লড়াই করে টোগো কে নিয়ে শাকতুলিকে পৌঁছে ভ্যাকসিনের ব্যাটন হাতে তুলে নিলো। নোম থেকে শাকতুলিক ২৬০ মাইল। –৩০ ডিগ্রী ফাহরেনহাইট তাপমাত্রা, –৮৫ ডিগ্রী ফাহরেনহাইটের কনকনে বাতাস আর ঝড় সহ্য করে টোগো স্লেজ টেনে ৩১শে জানুয়ারী প্রস্তুত হলো ফেরার পথে। ফেরার পথ এই তিনদিনে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।
“Norton sound”এর উন্মুক্ত বরফ যেন হিমশীতল মৃত্যুর হাতছানি। মৃত্যু সেখানে খেলা করে জীবনের সাথে…মোকাবিলা করা দূরের কথা,
কেউ ভাবতেও পারেনা সেখানে জীবনের বাজি রাখতে।
দিনের স্বল্প আলো আর রাতের অন্ধকারে শক্তিশালী তুষার ঝড়ের মাঝে টোগো এগিয়ে চললো অসীম সাহসে লিওনহার্ড সেপ্পালাকে নিয়ে। তার পিঠে বাঁধা জীবনদায়ী ভ্যাকসিন… যেভাবে হোক নোম কে বাঁচাতে হবেই। তুষার ঝড়ে লিওনহার্ড সেপ্পালা পথ হারিয়ে ফেললো। সামনে রাস্তা দেখা যাচ্ছেনা।
তাই মৃত্যু ছাড়া গতি নেই। টোগো হার মানলো না।
সে একা রাস্তা চিনে, পুরো টিমের সাথে ৮৪ মাইল স্লেজ টেনে রাত ৮টা নাগাদ এনে পৌঁছে দিলো “Issac’s point”এর একটা রোড হাউসে। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে পুরো টিমকে বাঁচিয়ে টোগো তখন হিরো।
৬ ঘন্টা বিশ্রাম নিয়ে রাত ২টোর সময় টিম বেরিয়ে পড়ল আবার। সময় পেরিয়ে যাচ্ছে…বাঁচাতে হবে নিজের শহরকে, নিজের মানুষদের।
তাপমাত্রা তখন –৪০ ডিগ্রী ফাহরেনহাইট। পায়ের তলায় বরফের চাদর ভেঙে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি মুহূর্তে মৃত্যু ছুঁয়ে যাচ্ছে তাদের। সাথে বিষাক্ত ঝড় সারা শরীরকে অবশ করে হাইপোথারমিয়া সৃষ্টি করছে। গভীর অন্ধকারের মাঝে স্লেজ টেনে টোগো এগিয়ে চলে যতক্ষণ না তারা “Little Mckinley” পর্বতের সামনে পৌঁছায়।
এবার, শুরু হলো ৫০০০ ফিট উচ্চতার পাহাড়ি চড়াই। এও এক অসম্ভব রেস…অবাস্তব অসম লড়াই। লিওনহার্ড সেপ্পালা তখন প্রায় নিঃশেষ। শরীর, মন তার আর কোনোটাই সায় দিচ্ছে না কিন্তু টোগো তখন সাক্ষাৎ ঈশ্বর।
একটি সাইবেরিয়ান হাসকির ওপর ভর করেছে ঐশ্বরিক ক্ষমতা। তার প্রিয় মানুষদের সে যেভাবে হোক রক্ষা করবেই… মালিককে মরতে সে দেবে না।মৃত্যুর চোখে চোখ রেখে এক সারমেয়র ঐতিহাসিক কীর্তির চিত্রনাট্যের শেষ চ্যালেঞ্জ।
ওই বিভীষিকার মধ্যে জীবন বাজি রেখে টোগো পুরো টিমকে টানতে টানতে পাহাড় টপকে নেমে এলো “গোলোভিন”এর রোডহাউসে। টোগো এর মধ্যে ২০০ মাইল রাস্তা অতিক্রম করেছে ওই ভয়াল পরিস্থিতির মাঝে যেখানে পা রাখতে মানুষের বুক কেঁপে ওঠে। আসা যাওয়া মিলিয়ে ৩৪০ মাইল যা এক কথায় ভাবাটাই দুরূহ, বিশেষতঃ আলাস্কার ওই ভয়াবহ পরিবেশে।
এখান থেকে লিওনহার্ড সেপ্পালার হাত থেকে ভ্যাকসিন নিলো চার্লি ওলসেন আর শেষ রিলেতে গুননার কাসেন তার কুকুর বালটো কে নিয়ে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিলো নোম শহরে।সাড়ে পাঁচ দিনের মাথায় ভ্যাকসিন পেলো নোম। গোটা শহরের মানুষ বাঁচার সুযোগ পেলো।
সারা পৃথিবীতে হৈহৈ পড়ে গেল এই অসম্ভব রেস সফল হওয়ার জন্য।
স্লেজ-চালকদের অনেকেই ফ্রস্ট-বাইট সহ নানা রকম রোগের শিকার হলো। ১৫০ জন কুকুরের অনেকগুলিই শহীদ হলো এই যুদ্ধে। তারা নিজেদের জীবন দিয়ে মানুষকে রক্ষা করে গেল যদিও সুপারহিরো “টোগো” সুস্থ্য শরীরেই ফেরৎ এলো।
ইতিহাসের পাতায় “The Serum Run” এর সাথে “টোগো” র নাম ও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়ে গেল ধুনিক মানব-সভ্যতার ইতিহাসে।
এরপরও যদি এদের প্রতি আমাদের কোনো মানবিক মূল্যবোধ না জাগে তবে, সে কী আর জাগবে কোনো কালে…. সন্দেহ একটা কিন্তু রয়েই গেল।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ ডাঃ বিশ্বজিত রায়,সুপার-ইন-টেনডেন্ট,লুম্বিনীপার্ক মেন্টাল হসপিটাল, কোলকাতা।

Dr. Raghupati Sharangi, a renowned homeopath and humanitarian who lives for the people’s cause. He is also a member of the Editor panel of IBG NEWS. His multi-sector study and knowledge have shown lights on many fronts.