
আমারই মৃত আত্মার শব আমি।
সুমন মুন্সী, কলকাতা
আমি একটি আস্ত পাষন্ড, বিবেক স্বত্বা শত খণ্ডিত আমি ।
নীরবে দেখেছি অনুভূতিদের মরতে,
প্রতিবাদ করিনি, ফিরে আঘাত করতে ।
সহস্র ধারায় জগৎ করে অভিযোগ,
কেন করিনা কোনো, কর্মের খোঁজ ।
বেকার আমি, অপদার্থ আমি,সবার বোঝা আমি,
দুবেলা কেবল করি অন্ন ধ্বংস।
সৎ আমি, অসৎ আমি, জারজ বিবেকের দংশন আমি,
দেবতার দরবার হতে বারে বার ফিরিয়াছি শূন্য হাতে ।
তবু জাজাতির পাঁজর জড়ায়ে, আগামীর স্বপ্ন দেখি,
হতাশা কেন ধরে না আমায়, এতটা কেন উদাসীন আমি?
উদাসী হাওয়া ভেসে বেড়ায় আমার স্বপ্ন গুলো,
একে একে সত্যি হয়, অন্যের অঙ্গনে আমার স্বপ্ন গুলো।
তবু পাষন্ডের মতো স্বপ্ন দেখি, আশায় বুক বাঁধি,
একটা স্বপ্নেও আমি নিজে থাকি না কোথাও।
শুধু তোমাদের জন্যই স্বপ্ন দেখি, দিন বদলের গান বাঁধি ।
স্বপ্নের রং নাকি সাদা কালো বলে বিজ্ঞানী,
রঙিন দেখা স্বপ্ন গুলো আসলেই ভূষাকালি ।
আবার যদি সুযোগ দাও, সিকান্দরকে হারাতে পারি,
পুরু হয়ে প্রশ্ন করি সিকান্দরকে “কি চাও আমার কাছে?”
রক্তে রাঙানো নামাবলীতে হাত মুছে ফেলে, কেয়ামতে মাফ চেয়ে ফেলি ।
পাষণ্ড আমি, অমানবিক সমাজের কাছে মানবিক হতে চাই,
যে রক্তে আফগান তেজ ছিল, ছিল গান্ধার শিল্পের আশীষ, আজকে তাদের হাতে, শুধুই বিষ।
আফগানিস্তান আমি, আমি সিরিয়া, আমি লেবানন, আমিই আমেরিকা,
সুদূর মিশর থেকে মেসোপটেমিয়া হয়ে ভারত ঘুরে জাপানও আমি।
বুদ্ধের বাণী আমি, মোহাম্মদের দোয়াও আমি, আমিই কৃষ্ণের বাঁশি,
আমারই জন্য তৈরী যীশুর ওই হোলি ক্রস,কিংবা সাম্যবাদের বাণী।
তবু বাঁচাতে আসেনি কেউ, আমার নারীত্বের সম্ভ্রম,
কালের জয়ধ্বনির মাঝে, নীরব হয়েছে আমার কান্না ।
আমি কে? এখনো প্রশ্ন কারো আমি কে?
আমারই মৃত আত্মার শব আমি।
সব আমি, সবই আমি।