বিশ্ব লোকসংস্কৃতি দিবস পালন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে
২২ শে আগষ্ট বিশ্ব লোকসংস্কৃতি দিবস। এই উপলক্ষে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগে ভার্চুয়ালি পালিত হল বিশ্ব লোকসংস্কৃতি দিবস। আর এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক আন্তর্জালিক আলোচনা চক্র। আলোচনাচক্র বিষয় ছিল “ভারত ও বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি চর্চার প্রেক্ষিত ও বর্তমান অবস্থা”।বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মানস কুমার সান্যাল মহাশয়, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অমলেন্দু ভ্যুঁইয়া, শিক্ষা অনুষদের অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ শিকদার এবং নিবন্ধক প্রফেসর দেবাংশু রায়।
বিশ্ব লোকসংস্কৃতি দিবসকে সামনে রেখে ভার্চুয়ালি একটি আন্তর্জাতিক আন্তর্জালিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওড়িয়া বিভাগের প্রফেসর কৈলাশ পট্টনায়ক। দু’জন বক্তায় বিশ্ব লোকসংস্কৃতি দিবসের উপযোগিতা উল্লেখ করে প্রাণবন্ত লোকসংস্কৃতি চর্চা করা কেন প্রয়োজন তা তুলে ধরেন। এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি চর্চার প্রেক্ষিত ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে লোকসংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সুজয়কুমার মণ্ডল বিশ্ব লোকসংস্কৃতি দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। আলোচনাচক্রের মর্ডারেটরের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক শেখ মকবুল ইসলাম, সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রল মিশনের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতিবিদ্। লোকসংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপিকা দেবলীনা দেবনাথ এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মণ্ডল আংশিকভাবে সঞ্চালনার দায়িত্ব কৃতিত্বের সঙ্গে সামলেছেন। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন লোকসংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপিকা কাকলী ধারা মণ্ডল ও অধ্যাপক অসীমানন্দ গঙ্গোপাধ্যায়।
এই অনুষ্ঠানে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করে লোক ও সংস্কৃতি বিভাগের এমফিল পোরশের ছাত্রী ইন্দ্রাণী সরকার ও অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপিকা ড. সোমা দাস। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক মানসকুমার সান্যাল মহাশয় এবং পৃষ্ঠপোষক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম পাল মহাশয়।
উপাচার্য অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করে জানান, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সহ বিদেশের লোকসংস্কৃতিচর্চা সম্মিলিত প্রয়াসে আরোও ত্ত্বরান্বিত হবে এবং এক্ষেত্রে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগ বিশেষ ভূমিকা নেবে এমনটা আমার বিশ্বাস। বিভাগীয় প্রধান ড. সুজয় কুমার মণ্ডল জানান, আমরা উপাচার্যের পরামর্শক্রমে পঠন-পাঠন ও গবেষণার জন্য বাংলাদেশের ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌচুক্তি স্বাক্ষর করতেই পারি।
এদিনের এই আলোচনা চক্রে অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের লোকসংস্কৃতি চর্চাকারীরা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অধ্যাপিকারা। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ছাত্রছাত্রীরাও অংশগ্রহণ করে।