সপ্তডিঙ্গা মধুকর গেলো কেন রসাতল ?
সুমন মুন্সী, কলকাতা
সপ্তডিঙ্গা মধুকর গেলো কেন রসাতল?
প্রশ্ন করে সওদাগর,ক্যাপ্টেনেতে জবাব দিলে,
সপ্তসখী দাঁড়িয়ে ছিলে ভরা নদীর কূলে।
আকাশ বাতাস রুপের ছটায় ঝলসিয়া যায় সেথায়,
মাল্লা মাঝির কি দোষ বলি,রূপে সেরা সে সব নারী,
স্নিগ্ধ তাঁদের মাধুর্যে ইন্দ্র সভাও হার মানে ।
সেথায় একজন সখি আমার,মিষ্টি ভারী নামটি তাঁর,
সাথে ছিল তাঁর ছয়জন আর,
মিষ্টি হাসির রূপের মালিক অলংকারের নেইক বাতিক,
এমন তরো দেবীর কৃপায়,মাঝিমল্লার নেশা ধরে যায়,
সেই নেশাতেই বুঁদ হয়ে ভাই, জগৎ ভুলে বেসামাল সবাই।
সপ্ত ডিঙা মধুকর, ডুবলো পরে,পুড়লো কপাল, ভাঙল যে ঘর।
নদীর জলে ডুব দিয়ে সব,ভিড়লো যখন ঘাটের পরে,
হাসতে হাসতে দেবীরা কয়,এ ঘটে তোর ঠাঁই নয়।
হতাশ হয়ে ফিরে দেখে সপ্তডিঙা জলের তোলে,
সুধী বলেন সামলে চলো, দেবী দূর্গা সাক্ষাৎ যেন।
বেচাল করলে এক এক জন, ঝাঁসির রানী সম যেন,
সাথে আছে সখী যত, প্রত্যেকের রাশ ভারী তত,
সপ্তদুর্গা দাঁড়িয়ে ভাই, প্রণাম করে এগিয়ে যাই ।
ব্যবসা বাণিজ্য হলো শেষ, ভিক্ষা করে বাঁচবে কি দেশ?
শিক্ষা দীক্ষা নাই চলুক, আমোদ প্রমোদ বজায় থাকুক।
নির্বাচন যে বড় বালাই, ভিক্ষা আন্নে দেশ চালাই ।
উত্তর নেই উত্তরেতে, দক্ষিণ রায় দক্ষিণেতে।
সপ্তডিঙ্গা মধুকর গেলো কেন রসাতল?