
দেশে উদ্ভাবন এবং স্টার্ট-আপ ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিৎ – ডা. সুভাষ সরকার
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডা. সুভাষ সরকার আজ ২০২১ সালের উদ্ভাবন সংক্রান্ত অর্জনের নিরিখে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্রমতালিকা – অটল র্যাঙ্কিং অফ ইনস্টিটিউশনস অন ইনোভেশন অ্যাচিভমেন্টস (এআরআইআইএ)-এর ঘোষণা করেছেন। অনুষ্ঠানে এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান অধ্যাপক অনিল সহস্রবুদ্ধে, কারিগরি শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শ্রী রাকেশ রঞ্জন, শিক্ষা মন্ত্রকের মুখ্য উদ্ভাবন আধিকারিক ডঃ অভয় জেরে এবং শিক্ষা মন্ত্রকের উদ্ভাবন অধিকর্তা ডঃ মোহিত গম্ভীর উপস্থিত ছিলেন।
এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডা. সরকার বলেন, এআরআইআইএ-এর ক্রমতালিকা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে উন্নতমানের গবেষণা, উদ্ভাবন এবং শিল্পোদ্যোগের বিষয় নতুনভাবে ভাবনা-চিন্তা করতে অনুপ্রাণিত করবে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থনীতিতে নিয়ে যেতে যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সাম্প্রতিক কাশী সফরের সময় তিনটি সঙ্কল্পের কথা উল্লেখ করেন। এই তিনটি সঙ্কল্প হল – (১) উদ্ভাবনের গুরুত্ব, (২) স্বচ্ছ ভারত এবং (৩) আত্মনির্ভর ভারত। স্বচ্ছ ভারত এবং আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে সফল করতে উদ্ভাবনই একমাত্র পথ। তাই, আমাদের উদ্ভাবন এবং শিল্পোদ্যোগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ডা. সরকার বলেন, বিশ্বের সবথেকে বড় শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে ভারতে। এ দেশের উদ্ভাবন এবং নতুন উদ্যোগ বা স্টার্ট-আপ ব্যবস্থাপনাকে আরও সক্রিয় করে তুলতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভাবনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং তাঁরা যাতে স্টার্ট-আপ সংস্থা তৈরি করতে উৎসাহিত হন, সেক্ষেত্রে এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে ভাবতে উৎসাহিত করা, বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে সেগুলির সমাধান করতে সাহায্য করা এবং শিল্পোদ্যোগী ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর ফলে, শিক্ষাক্ষেত্রের পাশাপাশি সামাজিক ক্ষেত্রেও বিপ্লব আসবে। সম্প্রতি ২০২০-র নতুন শিক্ষানীতি ঘোষিত হয়েছে। এই শিক্ষানীতির মাধ্যমে উদ্ভাবন এবং স্টার্ট-আপ সংস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহের সঞ্চার হবে। ডা. সরকার নিখিল ভারত কারিগরি শিক্ষা পরিষদের এবং শিক্ষা মন্ত্রকের উদ্ভাবন শাখার বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তিনি এআরআইআইএ-এর চতুর্থ পর্ব প্রকাশ করেন এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে আহ্বান জানান।
নিখিল ভারত কারিগরি শিক্ষা পরিষদের (এআইসিটিই)চেয়ারম্যান অধ্যাপক অনিল সহস্রবুদ্ধে বলেন, এআরআইআইএ-এর মাধ্যমে যে ক্রমতালিকা তৈরি করা হবে সেখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচিত হয়। এর সাহায্যে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানাতে পারে। কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব শ্রী রাকেশ রঞ্জন জানান, এআরআইআইএ আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন দিকে চলতে সাহায্য করে। এর ফলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক স্তরে আরও প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা গড়ে উঠবে। ২০২১-এর এআরআইআইএ-এর ক্রমতালিকা কয়েকটি ভাগে ঘোষিত হয়েছে। এগুলি হল : কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যপুষ্ট কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (যেমন আইআইটি, এনআইটি ইত্যাদি), রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্যের বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বছরে ১,৪৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এআরআইআইএ-এ যুক্ত হয়েছিল যা প্রথমবারের তুলনায় দ্বিগুণ।
এআরআইআইএ-এর ক্রমতালিকা দেখার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ- https://www.ariia.gov.in/