
চাতুর্য্য
পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়
আকাশ নিয়ে কবিতা লিখতে বসে
যখন তা একঘেয়ে হয়ে গেল,
তখন আমি বাতাসের কাছে গেলাম।
কিছুদিন পর তাও ভাল লাগল না।
ভাবলাম,মাটি খুব ভালো নিশ্চিত।
মাটির মানুষ হয়ে
তাই তারও সাধনা করলাম খানিক।
এই পরিস্থিতিতে
একদিন নজর পড়ল জলের দিকে।
বুকে সেও যথারীতি তুলল জলতরঙ্গ।
এবং একসময়
শুকিয়ে গেল মোহের তাপে।
তারপর পাহাড় এল, নদী এল,
জঙ্গল এল, ঢেউ ও জ্যোৎস্না এল,
মিলিয়ে গেল মরীচিকার মতো।
আমার কবিতা লেখার হাতের
সাময়িক উত্তেজনা
কলের পুতুলের মতো তাদের সকলকে
প্রথমে আমার বুকে ঠাঁই দিলেও
তার পরে নির্দয় হয়ে নামিয়ে দিলো পায়ের নিচে।
এরকম করতে করতে
শেষে আমি কবিতা লিখতেই ভুলে গেলাম।
অথবা, বলা যায়,
আমাকে ছেড়ে চলে গেল
অভিমানী কবিতা।
আমার মধ্যে আসলে
একটা জিনিসের অভাব।
ভালবাসা।
এ ছাড়া কবিতা কবিতা হয়ে ওঠে না।
ছন্দ, কবিতা, প্রেমে থাকে। চাতুর্য্যে নয়।