সখী, মনের হোলি কি মনের হলি?
সুমন মুন্সী
হৃদয়ে কোন ফাগুন হাওয়া দিয়েছে রঙের ডাক,
সুন্দরীদের চাঁদের হাটে, এই বামুনের কপাল শুধুই ফাঁক ।
সপ্তসখী মাঝে দেখো মোদের সইও আছে,
সাহদেবের মনের দেবী মুচকি শুধুই হাসে।
একতারাতে দিয়ে তান বাউল গান সে ধরে,
হৃদ মাঝারে রাখিব বলে, ছলনা শুধুই করে ।
বাঁশির ওই মাতাল সুরে, মেঠো মাটির টানে,
সপ্তসখীর কন্ঠে দেখো সাত সুরও যে বাজে ।
চাঁদনী রাতে ফাগুন হাওয়ায়, দোল পূর্ণিমার আলো,
উদাস নয়নে ছায়া ফেলে যায়, পুরোনো স্মৃতি গুলো।
দুকূল ভাঙা প্লাবনের পর, কাছে যখন এলে,
আধমোছা সীমান্তে, সোহাগের সুর খেলে।
কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে দোল পূর্ণিমা চাঁদ হাসে,
মনের মানুষ কাছে এলে ,তবেই জোৎস্না জেনো হাসে ।
নাচে গানে মাতিয়ে নিয়ে, মোবাইলে ছবি দিলে,
মনের জ্বালা জুড়ায় কিসে সে খেয়াল কি আছে?
প্রশ্ন করি সব সখীদেরকে, নেহাতই আমি শিশু,
অন্তরেতে যে শিশুর পিতা ঘুমিয়ে আছে, সেই শুধু বিশু।
চালচলনে ভদ্রলোক নেইকো বেচাল কোনো,
সিংহ বিক্রম অভিমানী, মস্ত বোকা সে এক জেনো ,
সব কাজেতেই অপদার্থ, লাগে না জেনো কোনো কাজে ,
একথা শুনে শুধু এক অভিলাষ জানালাম মন খুলে,
আমিও যাইনা কেনো , কোনো এক সুন্দরীর কাছে,
রং খেলার বয়স কি শুধুই তাঁদের এক আছে ?
কথা শুনে বঁটি হাতে অন্তরা এলো তেড়ে,
হেসে বলি তাকিয়ে দেখো সুন্দরী হেতাই আছে দাঁড়িয়ে,
আয়না পানে চেয়ে দেখ, লজ্জা পেলো বেজায়,
আয়না মাঝে আমার রানী বিরাজ শুধুই করে।
“অসভ্য” বলে মহারানী বিদায় নিলো সেই তখুনি ,
বললো আছে অনেক কাজ,
লুচি ছাড়া খায়না যে,সে আমার মহারাজ ।
আজ খেলবো হোলি রং দেবোনা, তাই কখনো হয়?
হোলির দিনে সখী আর সখা সবাইকে দিলাম রং,
তোদের মনের মাঝে অক্ষয় হোক ভালোবাসার রং ।