সংলাপ
পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়
–যা কিছু ঘটেছে শুনি
তার সব কিছু বুঝি খাঁটি?
–কি হয়েছে? কি হয়েছে?
করুণ? চমকপ্রদ? কি সে?
–জানো না? সকলে জানে!
সব লেখা আছে পরিপাটি!
–হবেও বা, বুঝি না তা,
বোধ নেই অমৃতে, বিষে।
–বেশ! তবে চুপ! কেন
কৌতূহলীর মতো ন্যাকা?
–ওই! ভালো লাগে শুনে!
তাই যেচে জিজ্ঞাসা করি!
–আগুনে পুড়েছে লোকে
মারা গেছে বহু, খেয়ে ছ্যাঁকা!
–ওহ! এই? করব কি?
আমি বুঝি সে আগুনে মরি?
–অদ্ভুত! তবে শুনি
তুমি নাকি সামাজিক প্রাণী?
–হ্যাঁ তো! না তো চাল ডাল
ঘর বাড়ি পাবো কোথা থেকে?
–ওহো! হো! এসব কিছু
তাহলে তোমার কাছে ত্রাণ-ই?
–ত্রাণ কেন? ভয় আছে,
যারা দেবে, বসে যদি বেঁকে?
–তাইতে ঘুমিয়ে থাকো?
বেশ! তবে ওঠো কেন জেগে?
–এ বোঝো না? খালি পেটে
ঘুমালেও খিদে পায় বড়!
–তাজ্জব কথা শুনি!
বিবেক ওঠে না তাতে রেগে?
–বিবেকের দফারফা!
নাগরিক মানে, জড়সড়।
–তাহলে ঘুমোও খেয়ে
কাজ নেই জেগে চাপ নিয়ে।
–ঠিক কথা! তবে শুনি
শুধু ঘুমনোও বড় চাপ।
–যদি রাজা যায় চলে
ঢ্যাঁড়া পেটানোর দান দিয়ে?
–ঠিক কথা, রাজারই তো
চিরকাল প্রবল প্রতাপ!
–বেশ! আমাকেও নাও!
আমি তবে সাথী হই তবে?
–সে কি হে? বিগড়ে গেলে?
তোমারও তাহলে এই দশা?
–প্রবল পায়ের চাপে
সভ্যতা ভাঙে হাতি যবে…
–পথে এস! তাই বলো!
তুমিও আমার মতো মশা?