আগুনের পরশমণি
সুমন মুন্সী
চল,চল, চল উর্দ্ধগগনে বাজল মাদল,
নিম্নে ভূমিতে যত সব চোরের দল।
পায়ের জুতো হাতে তোল,
দেশ বাঁচাতে জুতিয়ে বল,
ধান্দাবাজদের মাসী, পিসি,
কিংবা ন্যাকার যত দাদা, দিদি,
দেশটা এবার জাগবে জেনো,
জুটিয়ে সাহস বলবে শোনো,
গদি এবার ছাড়ও ধান্দাবাজ সবাই,
নেতা এবার কোনো খাঁটি মানুষকে চাই ।
অনেক হলো ধান্দাবাজের নেতাগিরি,
দড়ি ধরে মারবো টান,
খান খান হবে শয়তানের নেতাগিরি ।
কেন বোঝোনা, রাজা তুমি উলঙ্গ আজ,
নেই কি তোমার কোনোই লাজ?
বাচ্ছা বুড়ো সবাই খোঁজে, বীর সুভাষ আপনি কোথায় আছেন?
যেদেশে মানুষ পুড়ে কাঠ হয়ে যায়,
নেতা টিভি বোমার গল্প ফেঁদে খায়,
গণমাধ্যম আজ, রাজার তাঁবেদার আজ,
নেই তাঁর আর কোনোই কাজ,
আম্ফান থেকে যেকোনো চোরাই কাজ,
ধান্দাবাজের দোসর সে যেন,
মনে হয় চোরদের আর এক মহারাজ?
বিবেকটাকে চোরের কাছে বন্ধক রেখে,
বলে, পেটের দায়ে কলম খানা সে বিক্রি করে,
গণতন্রের চতুর্থস্তম্ভ!
তাঁর আজ নেই কোনোই গর্ব?
মানুষ যদি জুতো ধরে, অধিকারকে বুঝে নিতে,
আগুন বিপ্লবের ডাক দিয়ে আজ,
কামাই করাই হলো নতুন এক কাজ,
মানুষ আর নেইকো বোকা, সাদা কালো সবই জানা,
অপমানের বদলা নিতে, অধিকারকে বুঝে নিতে,
বীর সুভাষ বা ক্ষুদিরাম, কিম্বা মাস্টারদা আবার যদি জন্ম নেয় হেতা,
কোন আইনে তাঁদের বাঁধবে বোলো,
স্বাধীনদেশের বিবেকহীনের শেষ বিচারে?
মানুষই গণতন্ত্রের মন্দিরেতে,
মানুষ পাঠিয়ে জবাব দেবে।
আবার তোরা মানুষ হবি, এই আশাতেই বাঁচে কবি,
মিথ্যাচারের এই দুনিয়ায় স্বপ্নেই শুধু,
সোনার দিন দেখা যায়।
আবার তোরা মানুষ হবি এই আশাতেই দিন গুনি।
সেই আগুনের পরশমণি, খ্যাপা কবি কি মিছাই খুঁজি?
রক্তঋণে পাওয়া স্বাধীনতা, অমৃতসম তাঁর কথা,
আগুনের পরশমণি, সুভাষ তোমায় আজও মানি।
চলো দিল্লী একবার ডাকতো দিন,
শয়তানদের থেকে দেশকে মুক্তি দিন,
আগুনের পরশমনি সুভাষ মোদের নয়নমণি।