বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস উপলক্ষে আয়ুষ মন্ত্রক দু’দিনের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজন করবে
By PIB Kolkata
বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস উপলক্ষে সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন হোমিওপ্যাথি, ন্যাশনাল কমিশন ফর হোমিওপ্যাথি এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি নামে হোমিওপ্যাথির তিনটি শীর্ষক সংস্থা আয়ুষ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে নতুন দিল্লিতে দু’দিনের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজন করছে। ৯ ও ১০ই এপ্রিল ২০২২-এ নতুন দিল্লির ভারতরত্ন সি. সুব্রামানিয়াম প্রেক্ষাগৃহে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। হোমিওপ্যাথির প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডরিখ স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের জন্মদিনটি বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। এবছর হ্যানিম্যানের ২৬৭ তম জন্মবার্ষিকী। এবারের সম্মেলনের মূল ভাবনা হলো – ‘হোমিওপ্যাথি : সুস্থতার জন্য মানুষের পছন্দ’। ৯ই এপ্রিল এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় আয়ুষ, বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। উপস্থিত থাকবেন আয়ুষ এবং নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডঃ মহেন্দ্রভাই মুঞ্জপাড়া। সম্মেলনের প্রতিনিধিদের মধ্যে থাকবেন হোমিওপ্যাথির গবেষক, আন্তঃবিভাগীয় ধারার বিজ্ঞানীরা, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, হোমিওপ্যাথির ছাত্র-ছাত্রী, শিল্পপতি এবং বিভিন্ন হোমিওপ্যাথিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কতটা পথ অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে, কী কী সাফল্য এসেছে এবং এর উন্নয়নে ভবিষ্যতে কী কী পন্থা পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে – এই সব কিছু খতিয়ে দেখার সুযোগ এনে দিয়েছে এই সম্মেলন। হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রে চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণা, এসংক্রান্ত তথ্য, বিভিন্ন নীতি সংক্রান্ত বিষয়, পঠন-পাঠনের মান এবং দিশা নির্দেশ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়া দরকার। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে যে পরিবর্তন এসেছে তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পরিষেবা ও গবেষণাতেও বদল আসা দরকার। এজন্য চিকিৎসা পরিষেবা ও গবেষণাকে সংযুক্ত করা প্রয়োজন। একটি সার্বিক চিকিৎসা পরিষেবা হিসেবে হোমিওপ্যাথিকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কার্যকর কৌশল উদ্ভাবন এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে আলোচনা ও মত বিনিময়ের মূল লক্ষ্য হলো কিভাবে সাধারণ মানুষের কাছে হোমিওপ্যাথির গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ানো যায় এবং মানুষ যাতে তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে হোমিওপ্যাথিকে বেছে নেন, তার দিশা নির্দেশ করা।