রাজনীতি এবং প্রেসার কুকারের সেফটি ভালভ
অনির্বাণ চক্রবর্তী
রাজনীতি এবং প্রেসার কুকারের সেফটি ভালভ .দাদা, আমরা একে অপরের পরিপূরক।। মিলে মিশে করি কাজ ,নাই মোদের লাজ”
এই আমরা কারা? প্রথমজন যারা মহান গনতান্ত্রিক পদ্ধতি অর্থাৎ ৫১ টা গাধার দাম ৪৯ টা তেজী ঘোড়ার থেকে বেশী – এই পদ্ধতিতে সিংহাসনে বসে তারা এবং দ্বিতীয় জন ঠিক তার পরেই সর্বোচ্চ গাধার সংখ্যা নিয়ে বিরোধী দল গঠন করা কোনো একটি রাজনৈতিক দল। খুব হিসেব করে,অংক কষে পা ফেলতে হয়।বলাতো যায়না কখন ৪৯ টা ঘোড়া ৫১ টা গাধাকে হারিয়ে দেয়।
১৯৪৭ সালের ১৫ ই অগাষ্ট ৫০+১= ৫১ টি গাধা প্রেসার কুকারের সেফটি ভালভ হয়ে, ইংরেজদের দালালী করে, ৪৯ টি তেজী ঘোড়া র কাউকে জেলে আবার কাউকে সাইবেরিয়ায় মৃত্যু মুখে ঠেলে স্বাধীন ভারতবর্ষের মাটিতে প্রথম রাজনৈতিক ব্যবসার দোকান খোলে। সেই ব্যবসা স্বাধীন ভারতবর্ষের রাজনীতি কে আজও নিয়ন্ত্রণ করে। আজ ইংরেজ নেই কিন্তু রয়েছে শাসক আর তার সাথে শাসক বিরোধী ৫১ টি গাধার ধূর্ত দল। প্রশ্ন জাগে গাধা কি করে ধূর্ত হয়? না গাধারা ধূর্ত নয়, গাধার দলে রয়েছে কিছু ছদ্মবেশী হায়না যারা পরিচালিত করে এই ৫১ টি গাধাকে। এই পরিচালনা আজ নতুন নয়,এ হয়ে আসছে ১৯৪২ সাল থেকে।
সবচেয়ে বড়ো সমস্যা কয়েকটি হায়না এই ৫১ টি গাধাকে এক জায়গায় জড়ো করতে পারলেও ৪৯ টি তেজী ঘোড়া কখনোই এক জায়গায় হতে পারেনা।কারন গাধার নেই বুদ্ধি আছে শুধু লোভ।আর যেহেতু বুদ্ধি নেই তাই ইগো সমস্যাও নেই। কিন্তু তেজী ঘোড়া গুলোর রয়েছে ইগো,একাই কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে। তাই সহজেই একাকী ঘোড়াকে ৫১ টি গাধা সহজেই আড়াল করে দিতে পারে। কেউ ধাক্কা দেয় পায়ে আবার কেউ পেটে।ওই যে “একটা লাঠি সহজে ভাংগে কিন্ত এক গোছা লাঠি ভাংগা যায়না “। ছোটো থেকেই পড়ে আসছি কিন্তু বুঝেছে শুধু গাধার পালের হায়না গুলো। অবশ্য আমাদেরই বা কি দোষ, বইয়ের প্রথম পাতা বলে সর্বদা সত্য বলিবে আর সেই বইয়ের শেষ পাতায় লেখা, অন্ধকে অন্ধ বলিও না, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না”।
আর লেখার এনার্জি পাচ্ছিনা বুঝলেন দাদা, দিদিরা? ১৯৪৭ সাল থেকে আপনারা অপেক্ষা করছেন আমরা মিডিয়া ও অপেক্ষা করছি একটি সবচেয়ে শক্তিশালী তেজী ঘোড়ার জন্যে যে ঐ হায়না গুলোর মতো ৪৯ টা তেজী ঘোড়াকে এক জায়গায় আনতে পারবে।সমস্যা হলো একদম খালি পেট আর ভরা পেট মানুষকে বিদ্রোহী বানায়, আধা পেট নয়।ঠিক যে কারনে আপনার বাড়ির সামনের রাস্তায় কুকুর গুলো আপনাকে কামড়ায় না কারন তারা জানে আপনার উচ্ছিষ্ট তাদের ভাগে আসবে আর তাদের পেট টা ভরবে।যেমন আমাদের পেট ভরছে ” ভাতায়”।
যাইহোক ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন,উচ্ছিষ্ট ভোগী হয়ে দিন কাটান আর উচ্ছিষ্ট খেয়ে পেট কামড়ালে হাসপাতালে ভর্তি হলে কার্ড তো আছেই।।
(সময়ের অগ্নিবাণ)